শ্রীরামপুর, 26 ফেব্রুয়ারি : ভোটের মরশুমে রবিবার বাংলায় প্রথম ব্রিগেড । ব্রিগেডের ময়দানে একসঙ্গে দেখা মিলবে বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্বের । তবে জোট জটিলতার কারণে এতদিন পর্যন্ত ব্রিগেডের মাঠে অনিশ্চিত ছিল সিদ্দিকীদের উপস্থিতি । আজ ব্রিগেড নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট । শেষমেষ বামেদের ব্রিগেড সমাবেশে থাকবে আব্বাস সিদ্দিকীর দল ।
ফুরফুরার দরবার থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে সেই কথাই জানালেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের নেতা আব্বাস সিদ্দিকী । তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে বামেদের জোট হয়েছে । মোটামুটি 30 টি আসনে সমঝোতা হয়েছে । তবে কংগ্রেসের তরফে সদিচ্ছা নেই বলে জানিয়েছেন তিনি ।
ব্রিগেডের বামেদের সঙ্গে দেখা যাবে আইএসএফকে । কিন্তু সিদ্দিকীদের জোটের বিষয়ে কংগ্রেসের অবস্থান এখনও ধাঁধাঁই থেকে গেল । তবে ব্রিগ্রেড সমাবেশে বাম ও কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা যাবে আবাস সিদ্দিকী ও তাঁর দলের নেতাদের । সিদ্দিকী ও বামেদের মধ্যে জোট হলেও যদি কংগ্রেসের সঙ্গে মতানৈক্য হয়, সেক্ষেত্রে যে উদ্দেশ্যে জোট, তা ধাক্কা খাবে বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের ।
আরও পড়ুন : ব্রিগেডের মাঠ পরিদর্শনে বিমান বসু
বেশ কয়েকদফা আলোচনার পর সিদ্দিকীকে নন্দীগ্রামের আসন ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছে বামেরা । এবারের ভোটে সবথেকে হাই ভোল্টেজ বিধানসভা কেন্দ্র বলতে গেলে, নন্দীগ্রাম । মমতা নিজে লড়বেন সেখান থেকে । এখনও কিছু না চূড়ান্ত না হলেও, নন্দীগ্রামের স্বঘোষিত ভূমিপূত্র শুভেন্দুকে যদি বিজেপি মমতার উল্টোদিকে প্রার্থী করে, তাহলে কেউই অবাক হবেন না । নন্দীগ্রামে বিধানসভা কেন্দ্রে প্রায় 33 শতাংশ মুসলিম ভোটার । সেদিক থেকে দেখতে গেল নন্দীগ্রামের আসন সিদ্দিকীদের ছেড়ে দেওয়া বামেদের দিক থেকে বিচক্ষণ চাল বলে মনে করছেন অনেকেই ।
আলিমুদ্দিন সূত্রের খবর, নন্দীগ্রামের পর ভাঙড়ের আসনও সিদ্দিকীদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে । ভাঙড় এখন তৃণমূলের দখলে । গতবারের বিধানসভা ভোটে ভাঙড়ে নিজেকে "চাষার ব্যাটা" বলে পরিচয় দিয়ে আসা একদা বাম নেতা রেজ্জাক সাহেবকে পরাস্ত করতে পারেননি সিপিএম প্রার্থী রশিদ গাজি । আর এই ভাঙড় আসনটি মূলত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত । সূত্রের খবর, মূলত সেই কারণেই আসনটি সিদ্দিকীদের ছেড়ে দিচ্ছে বাম নেতৃত্ব ।