ETV Bharat / state

"যেখানেই মাতব্বর ভেবেছি সেখানেই হেরেছি", স্বীকারোক্তি তৃণমূল বিধায়কের

"যে সব জায়গায় আমরা ঐক্যবদ্ধ ছিলাম সেখানে জিতেছি । আর যেখানে নিজেদের মাতব্বর ভেবেছি সেখানে হেরেছি । সব জায়গায় তাই হয়েছে । আমরা নিজেদের সংশোধন করব না? আর আজকে BJP-কে শত্রু বলছি । " হুগলি জেলা তৃণমূলের বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে আজ একথা বলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল । এদিকে বক্তব্যের মাঝেই তাঁকে এসব কথা না বলার জন্য মঞ্চের নিচ থেকে বলা হয় । যদিও প্রবীরবাবু বলেন, তিনি এসব কথা বলবেনই ।

প্রবীর ঘোষাল
author img

By

Published : Aug 23, 2019, 10:24 PM IST

শেওড়াফুলি, 23 অগাস্ট : "যে সব জায়গায় আমরা ঐক্যবদ্ধ ছিলাম সেখানে জিতেছি । আর যেখানে নিজেদের মাতব্বর ভেবেছি সেখানে হেরেছি । সব জায়গায় তাই হয়েছে । আমরা নিজেদের সংশোধন করব না? আর আজকে BJP-কে শত্রু বলছি । " হুগলি জেলা তৃণমূলের বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে আজ একথা বলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল । এদিকে বক্তব্যের মাঝেই তাঁকে এসব কথা না বলার জন্য মঞ্চের নিচ থেকে বলা হয় । যদিও প্রবীরবাবু বলেন, তিনি এসব কথা বলবেনই ।

27 আগাস্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুগলিতে প্রশাসনিক সভা আছে । তার আগে আজ শেওড়াফুলির সত্যজিৎ রায় ভবনে হুগলি জেলা তৃণমূলের বর্ধিত সভা ছিল । সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রবীরবাবু লোকসভায় দলের ফল নিয়ে বলছিলেন । তারঁ মতে উত্তরপাড়া বিধানসভায় অনেক কাজ হচ্ছে তাঁকে না জানিয়েই । বিধায়ক বলেন, "দলের খারাপ সময়ে পৌরসভা ভাঙার কাজ করছে যারা তারা দলের মদত পাচ্ছে । ভোটটা ঐক্যবদ্ধভাবে করেছি বলেই কোন্নগরে আমরা জিতেছি । যেসব জায়গায় পুরো ঐক্যবদ্ধ হতে পারিনি, নিজেদের মাতব্বর ভেবেছি, সেখানে হেরেছি । সব জায়গায় তা হয়েছে । এই ভুলগুলো আমরা সংশোধন করব না? আর BJP-কে শত্রু বলছি ।"

এই কথা বলার সময় তৃণমূল কর্মীরা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে । এসব কথা রাজ্য কমিটির বৈঠকে গিয়ে বলতে বলা হয় বিধায়ককে । কিন্তু তিনি বলে যান, "আমাকে চুপ করানো যাবে না । সভায় জেলা সভাপতি আছেন তাই বলব ।"

রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে প্রবীরবাবুর ইঙ্গিত ছিল উত্তরপাড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান ও হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদবের দিকে । দিলীপবাবুর সঙ্গে প্রবীর ঘোষালের দ্বন্দ্ব সবাই জানে । কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ের ভোট সেনাপতি ছিলেন দিলীপ যাদব । কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় শ্রীরামপুর থেকে তৃতীয়বার সাংসদ হওয়ায় দিলীপ যাদবের দায়িত্ব কিছুটা বাড়ে । তপন দাশগুপ্তকে সরিয়ে তাঁকে দলের জেলা সভাপতি করা হয় । তাতেই উত্তরপাড়ার বিধায়ক বনাম উত্তরপাড়ার চেয়ারম্যানের ঠান্ডা লড়াই প্রকাশ্যে চলে আসে ।

পরে অবশ্য বিধায়ক বলেন, তাঁকে না জানিয়ে অনেক কিছু হচ্ছে । তা নিয়ে কিছু অভিযোগও আছে । তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে । এগুলি ছোটোখাটো ব্যাপার । মুখ্যমন্ত্রী আসছেন সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে । দিদিকে বলো নিয়ে ব্যাপক প্রচার চলছে আর জনসংযোগ কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন । সভায় ক্ষোভ নিয়ে বিধায়ক বলেন, "আমাদের গণতান্ত্রিক দল । এসব ক্ষোভ বিক্ষোভ থাকবে । এগুলি বড় ব্যাপার না ।"

এই বিষয়ে জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, "উনি সিনিয়র । আমার কাজ হচ্ছে সবাইকে নিয়ে চলা । 'আমি' যতদিন থাকব ততদিন কিছু করতে পারব না । 'আমরা' যেদিন হব সেদিন সাফল্যের সঙ্গে কাজ কাজ করতে পারব । আমার কোথাও ভুলত্রুটি হতে পারে, কেউ মন খারাপ করতে পারে । বাট আই উইল রেক্টিফাই মাইসেল্ফ ।"

শেওড়াফুলি, 23 অগাস্ট : "যে সব জায়গায় আমরা ঐক্যবদ্ধ ছিলাম সেখানে জিতেছি । আর যেখানে নিজেদের মাতব্বর ভেবেছি সেখানে হেরেছি । সব জায়গায় তাই হয়েছে । আমরা নিজেদের সংশোধন করব না? আর আজকে BJP-কে শত্রু বলছি । " হুগলি জেলা তৃণমূলের বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে আজ একথা বলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল । এদিকে বক্তব্যের মাঝেই তাঁকে এসব কথা না বলার জন্য মঞ্চের নিচ থেকে বলা হয় । যদিও প্রবীরবাবু বলেন, তিনি এসব কথা বলবেনই ।

27 আগাস্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুগলিতে প্রশাসনিক সভা আছে । তার আগে আজ শেওড়াফুলির সত্যজিৎ রায় ভবনে হুগলি জেলা তৃণমূলের বর্ধিত সভা ছিল । সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রবীরবাবু লোকসভায় দলের ফল নিয়ে বলছিলেন । তারঁ মতে উত্তরপাড়া বিধানসভায় অনেক কাজ হচ্ছে তাঁকে না জানিয়েই । বিধায়ক বলেন, "দলের খারাপ সময়ে পৌরসভা ভাঙার কাজ করছে যারা তারা দলের মদত পাচ্ছে । ভোটটা ঐক্যবদ্ধভাবে করেছি বলেই কোন্নগরে আমরা জিতেছি । যেসব জায়গায় পুরো ঐক্যবদ্ধ হতে পারিনি, নিজেদের মাতব্বর ভেবেছি, সেখানে হেরেছি । সব জায়গায় তা হয়েছে । এই ভুলগুলো আমরা সংশোধন করব না? আর BJP-কে শত্রু বলছি ।"

এই কথা বলার সময় তৃণমূল কর্মীরা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে । এসব কথা রাজ্য কমিটির বৈঠকে গিয়ে বলতে বলা হয় বিধায়ককে । কিন্তু তিনি বলে যান, "আমাকে চুপ করানো যাবে না । সভায় জেলা সভাপতি আছেন তাই বলব ।"

রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে প্রবীরবাবুর ইঙ্গিত ছিল উত্তরপাড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান ও হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদবের দিকে । দিলীপবাবুর সঙ্গে প্রবীর ঘোষালের দ্বন্দ্ব সবাই জানে । কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ের ভোট সেনাপতি ছিলেন দিলীপ যাদব । কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় শ্রীরামপুর থেকে তৃতীয়বার সাংসদ হওয়ায় দিলীপ যাদবের দায়িত্ব কিছুটা বাড়ে । তপন দাশগুপ্তকে সরিয়ে তাঁকে দলের জেলা সভাপতি করা হয় । তাতেই উত্তরপাড়ার বিধায়ক বনাম উত্তরপাড়ার চেয়ারম্যানের ঠান্ডা লড়াই প্রকাশ্যে চলে আসে ।

পরে অবশ্য বিধায়ক বলেন, তাঁকে না জানিয়ে অনেক কিছু হচ্ছে । তা নিয়ে কিছু অভিযোগও আছে । তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে । এগুলি ছোটোখাটো ব্যাপার । মুখ্যমন্ত্রী আসছেন সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে । দিদিকে বলো নিয়ে ব্যাপক প্রচার চলছে আর জনসংযোগ কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন । সভায় ক্ষোভ নিয়ে বিধায়ক বলেন, "আমাদের গণতান্ত্রিক দল । এসব ক্ষোভ বিক্ষোভ থাকবে । এগুলি বড় ব্যাপার না ।"

এই বিষয়ে জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, "উনি সিনিয়র । আমার কাজ হচ্ছে সবাইকে নিয়ে চলা । 'আমি' যতদিন থাকব ততদিন কিছু করতে পারব না । 'আমরা' যেদিন হব সেদিন সাফল্যের সঙ্গে কাজ কাজ করতে পারব । আমার কোথাও ভুলত্রুটি হতে পারে, কেউ মন খারাপ করতে পারে । বাট আই উইল রেক্টিফাই মাইসেল্ফ ।"

Intro:"যে জায়গায় নিজেদের মাতব্বর ভেবেছি সেখানে হেরেছি।আর বিজেপিকে শত্রু বলছি" এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল।আজ শেওড়াফুলির সত্যজিৎ রায় ভবনে তার প্রস্তুতি সভায় তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব প্রকাশে এলো।আগামী 27 শে আগস্ট মুখ্যমন্ত্রী হুগলিতে প্রশাসনিক সভা করতে আছে।তাই তার আগে জেলার তৃনমূল বিধায়ক ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সভা করলেন জেলা নেতৃত্ব।এখানেই প্রবীর বাবুর প্রশ্ন এই ভুলগুলো আমরা সংশোধন করব না?তার মতে বিধানসভা উত্তরপাড়ায় অনেক কাজ হচ্ছে তাকে না জানিয়েই।বিধায়ক বলেন দলের খারাপ সময়ে পুরসভা ভাঙার কাজ করছে যারা তারা দলের মদত পাচ্ছে।ভোটটা ঐক্যবদ্ধ ভাবে করেছি বলেই কোন্নগরে আমরা জিতেছি।যেসব জায়গায় পুরো ঐক্যবদ্ধ হতে পারিনি নিজেদের মাতব্বর ভেবেছি সেখানে হেরেছি।সব জায়গায় তা হয়েছে।এই ভুলগুলো আমরা সংশোধন করব না?আর বিজেপিকে শত্রু বলছি।এই কথা বলার সময় তৃনমূল কর্মিরা চিৎকার চেচামেচি শুরু করে,এই কথা রাজ্যে গিয়ে বলতে বলা হয় বিধায়ককে।কিন্তু বিধায়ক বলে যান,আমাকে চুপ করানো যাবে না।সভায় সভাপতি আছেন তাই বলবেন।তার ইঙ্গিত উত্তরপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদবকে।দিলীপ বাবুর সঙ্গে বিধায়ক প্রবীর ঘোষালের দ্বন্দ্ব সর্বজনবিদিত।কল্যান বন্দোপাধ্যায়ের ভোট সেনাপতি ছিলেন দিলীপ যাদব।কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় শ্রীরামপুর থেকে তৃতীয়বার সাংসদ হওয়ায় দিলীপ যাদবের ভার কিছুটা বাড়ে।তপন দাশগুপ্তকে সরিয়ে তাকে দলের জেলা সভাপতি করা হয় তাকে।তাতেই উত্তরপাড়ার বিধায়ক বনাম উত্তরপাড়ার চেয়ারম্যানের ঠান্ডা লড়াই প্রকাশ্যে চলে আসে।

পরে অবশ্য বিধায়ক বলেন,তাকে না জানিয়ে অনেক কিছু হচ্ছে।তা নিয়ে কিছু অভিযোগও আছে। তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।এগুলো ছোটোখাটো ব্যাপার।মুখ্যমন্ত্রী আসছেন সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দিদিকে বলো নিয়ে ব্যাপক প্রচার চলছে আর জনসংযোগ কর্মসূচী নিয়ে ব্যস্ত আছি আমরা।সভায় ক্ষোভ নিয়ে বিধায়ক বলেন,আমাদের গণতান্ত্রিক দল এসব ক্ষোভ বিক্ষোভ থাকবে।এগুলো বড়ো ব্যাপার না।
জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন,উনি সিনিয়ার মানুষ,আমার কাজ হচ্ছে সবাইকে নিয়ে চলা।'আমি' যতদিন থাকব ততদিন কিছু করতে পারব না,'আমরা' যেদিন হব সেদিন সাকসেসফুলি কাজ কাজ করতে পারব।আমার কোথাও ভুলত্রুটি হতে পারে,কেউ মন খারাপ করতে পারে,বাট আই উইল রেক্টিফাই মাইসেল্ফ।

Body:WB_HGL_TMC MEETTING_7203418Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.