ETV Bharat / state

তেলিনিপাড়া ও গোন্দলপাড়ায় গোষ্ঠী সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা রাজ্য সরকারের - West Bengal Government

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সাহায্যে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই 23 লাখ 94 হাজার টাকা বরাদ্দ করেছে । যার মধ্যে থেকে হুগলি জেলা প্রসাশনের তরফে ভদ্রেশ্বর পৌরসভাকে তেলিনিপাড়ার 200 টি পরিবারের জন্য প্রায় 18 লাখ 33 হাজার টাকার চেক দেওয়া হবে ও 5 লাখ 61 হাজার টাকা দেওয়া হবে চন্দননগর গোন্দালপাড়া এলাকার 20টি পরিবারকে ।

ছবি
ছবি
author img

By

Published : May 19, 2020, 9:20 AM IST

ভদ্রেশ্বর ও চন্দননগর, 19 মে : ভদ্রেশ্বরের তেলিনিপাড়া ও চন্দননগরের গোন্দালপাড়ায় গোষ্ঠী সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য রাজ্য সরকারের । সেই সঙ্গে তাঁদের ঘর- বাড়ি মেরামত করার ব্যবস্থা করা হবে পৌরসভার পক্ষ থেকে । এদিকে গতকাল সন্ধে থেকে এই এলাকায় 144 ধারা উঠে গেছে। পরিস্থিতি পুরোপুরি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে । ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে তেলিনিপাড়া । কয়েকজনকে এখনও ক্যাম্পে রাখা হয়েছে । ঘটনায় মূল অভিযুক্ত অর্জুন সিংসহ এখনও পর্যন্ত 135 জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ।

ভদ্রেশ্বরের তেলিনিপাড়া এলাকায় সম্প্রতি কয়েকজন কোরোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যায় । যা নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করাকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে । ঘটনাকে কেন্দ্র করে বোমা, ইট-পাটকেল ছোড়া শুরু হয় । পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় । ভাঙচুর ও আগুন লাগানো হয় এলাকার একাধিক ঘর-বাড়ি ও গাড়িতে । জখম হন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পুলিশকর্মীরা । শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর । চারদিন ধরে এলাকায় ঝামেলা চলে । সেইসব ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে থাকে। এরপরই হুগলির জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও একটি নির্দেশিকা জারি করে জানান, 12 মে থেকে 17 মে পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে । যার জেরে শ্রীরামপুর ও চন্দননগর মহকুমা এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা । ধীরে ধীরে এলাকা শান্ত হয় । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে । পুলিশ টহলদারি চালাতে শুরু করে । ইন্টার পরিষেবাও চালু করা হয় । এরপর রবিবার এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন পুলিশ আধিকারিকরা । ড্রোনের মাধ্যমে এলাকা খতিয়ে দেখেন তাঁরা । সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন ।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সাহায্যে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে 23 লাখ 94 হাজার টাকা বরাদ্দ করেছে । যা জেলাশাসকের মাধ্যমে ভদ্রেশ্বর পৌরসভা ও চন্দননগর পৌরনিগমের হাতে তুলে দেওয়া হবে । সেখান থেকে টাকা তুলে দেওয়া হবে পরিবারগুলির হাতে । সেইমতো গতকাল হুগলি জেলা প্রসাশনের তরফে ভদ্রেশ্বর পৌরসভাকে তেলিনিপাড়ার 200 টি পরিবারের জন্য প্রায় 18 লাখ 33 হাজার টাকা চেক দেওয়া হয় । তেলিনিপাড়ার পাশাপাশি গোন্দালপাড়া এলাকার 20টি পরিবারের জন্য প্রায় 5 লাখ 61 হাজার টাকা দেওয়া হয় চন্দননগর পৌরনিগমকে । চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ ও ভদ্রেশ্বর পৌরসভার একটি দল গতকাল ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেন । সেই সঙ্গে তেলিনিপাড়ায় যাঁদের বাড়ি-ঘর পুড়েছে ও ভাঙচুর করা হয়েছে তা মেরামতের ব্যবস্থা পৌরসভা করবে বলে জানা গেছে । ইতিমধ্যেই পৌরসভার একটি দল ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখার জন্য এলাকা পরিদর্শন করে ।

চন্দননগর পুলিশ কমিশনার হুমায়ূন কবির বলেন, " আর্থিকভাবে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁদের কীভাবে সাহায্য করা যায় সেটা নিয়ে ভাবা হচ্ছে । তেলিনিপাড়ার ঘটনার মূল অভিযুক্ত অর্জুন সিংকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । পাশাপাশি ঘটনায় যুক্ত আরও 135 গ্রেপ্তার হয়েছে ।"

হুগলির BJP সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের আবার দাবি, কোরোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার যে টাকা দিয়েছে, তা থেকে তেলিনিপাড়ায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক ।

তৃণমূলের হুগলি জেলার সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ক্ষতিগ্রস্তদের সকলকে সাহায্য করা হবে ।"

ভদ্রেশ্বর ও চন্দননগর, 19 মে : ভদ্রেশ্বরের তেলিনিপাড়া ও চন্দননগরের গোন্দালপাড়ায় গোষ্ঠী সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য রাজ্য সরকারের । সেই সঙ্গে তাঁদের ঘর- বাড়ি মেরামত করার ব্যবস্থা করা হবে পৌরসভার পক্ষ থেকে । এদিকে গতকাল সন্ধে থেকে এই এলাকায় 144 ধারা উঠে গেছে। পরিস্থিতি পুরোপুরি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে । ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে তেলিনিপাড়া । কয়েকজনকে এখনও ক্যাম্পে রাখা হয়েছে । ঘটনায় মূল অভিযুক্ত অর্জুন সিংসহ এখনও পর্যন্ত 135 জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ।

ভদ্রেশ্বরের তেলিনিপাড়া এলাকায় সম্প্রতি কয়েকজন কোরোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যায় । যা নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করাকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে । ঘটনাকে কেন্দ্র করে বোমা, ইট-পাটকেল ছোড়া শুরু হয় । পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় । ভাঙচুর ও আগুন লাগানো হয় এলাকার একাধিক ঘর-বাড়ি ও গাড়িতে । জখম হন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পুলিশকর্মীরা । শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর । চারদিন ধরে এলাকায় ঝামেলা চলে । সেইসব ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে থাকে। এরপরই হুগলির জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও একটি নির্দেশিকা জারি করে জানান, 12 মে থেকে 17 মে পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে । যার জেরে শ্রীরামপুর ও চন্দননগর মহকুমা এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা । ধীরে ধীরে এলাকা শান্ত হয় । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে । পুলিশ টহলদারি চালাতে শুরু করে । ইন্টার পরিষেবাও চালু করা হয় । এরপর রবিবার এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন পুলিশ আধিকারিকরা । ড্রোনের মাধ্যমে এলাকা খতিয়ে দেখেন তাঁরা । সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন ।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সাহায্যে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে 23 লাখ 94 হাজার টাকা বরাদ্দ করেছে । যা জেলাশাসকের মাধ্যমে ভদ্রেশ্বর পৌরসভা ও চন্দননগর পৌরনিগমের হাতে তুলে দেওয়া হবে । সেখান থেকে টাকা তুলে দেওয়া হবে পরিবারগুলির হাতে । সেইমতো গতকাল হুগলি জেলা প্রসাশনের তরফে ভদ্রেশ্বর পৌরসভাকে তেলিনিপাড়ার 200 টি পরিবারের জন্য প্রায় 18 লাখ 33 হাজার টাকা চেক দেওয়া হয় । তেলিনিপাড়ার পাশাপাশি গোন্দালপাড়া এলাকার 20টি পরিবারের জন্য প্রায় 5 লাখ 61 হাজার টাকা দেওয়া হয় চন্দননগর পৌরনিগমকে । চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ ও ভদ্রেশ্বর পৌরসভার একটি দল গতকাল ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেন । সেই সঙ্গে তেলিনিপাড়ায় যাঁদের বাড়ি-ঘর পুড়েছে ও ভাঙচুর করা হয়েছে তা মেরামতের ব্যবস্থা পৌরসভা করবে বলে জানা গেছে । ইতিমধ্যেই পৌরসভার একটি দল ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখার জন্য এলাকা পরিদর্শন করে ।

চন্দননগর পুলিশ কমিশনার হুমায়ূন কবির বলেন, " আর্থিকভাবে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁদের কীভাবে সাহায্য করা যায় সেটা নিয়ে ভাবা হচ্ছে । তেলিনিপাড়ার ঘটনার মূল অভিযুক্ত অর্জুন সিংকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । পাশাপাশি ঘটনায় যুক্ত আরও 135 গ্রেপ্তার হয়েছে ।"

হুগলির BJP সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের আবার দাবি, কোরোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার যে টাকা দিয়েছে, তা থেকে তেলিনিপাড়ায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক ।

তৃণমূলের হুগলি জেলার সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ক্ষতিগ্রস্তদের সকলকে সাহায্য করা হবে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.