ETV Bharat / state

WB Civic Poll 2022 : চন্দননগরের ভাগাড়ে জমে পাঁচ দশকের আবর্জনা, দুর্গন্ধে জেরবার জনতা

চন্দননগর পৌরনিগম এলাকার ভাগাড়ে জমে রয়েছে পাঁচ দশকের আবর্জনা ৷ যার দুর্গন্ধে অতিষ্ট সাধারণ মানুষ (People Suffer for Garbage Stench in Chandannagar) ৷ যা নিয়ে ভোটের ময়দানে শাসকদলকে চেপে ধরেছে বিরোধীরা (WB Civic Poll 2022) ৷ তবে, শাসক শিবিরের দাবি, বায়ো মাইনিংয়ে মাধ্যমে আবর্জনা থেকে সার তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে (Fertilizer production through bio-mining) ৷ বিরোধীদের কথায় সাধারণ মানুষ কান দেবে না বলে বিশ্বাস তৃণমূলের ৷

WB Civic Poll 2022
WB Civic Poll 2022
author img

By

Published : Dec 31, 2021, 5:59 PM IST

চন্দননগর, 31 ডিসেম্বর : 22 জানুয়ারি রাজ্য়ের চারটি পৌরনিগমের নির্বাচন ৷ যার একটি হল চন্দননগর পৌরনিগম (WB Civic Poll 2022) ৷ আর ভোটের আগে এই পৌরনিগমের নাগরিকদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে 4নং ওয়ার্ডে জিটি রোড ও দিল্লি রোডকে সংযুক্তকারী উড়ালপুলের দু’পাশে থাকা ভাগাড় ৷ যেখানে প্রায় পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে চন্দননগর পৌর এলাকার আবর্জনা জমা হয়ে রয়েছে ৷ আর সেই আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ট 4নং ও তার আশেপাশের ওয়ার্ডের বাসিন্দারা (People Suffer for Garbage Stench in Chandannagar) ৷ এমনকি মাঝে মধ্যে সেই ভাগাড়ের আবর্জনায় আগুনও জ্বলে ওঠে ৷

এই পরিস্থিতিতে আগামী 22 জানুয়ারির নির্বাচন শাসকদলের কাছে বেশ চ্যালেঞ্জিং হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে (Garbage Stench of Dumping Ground in Chandannagar) ৷ বিশেষ করে ভাগাড় সংলগ্ন ওয়ার্ডগুলিতে ৷ তবে, পৌরনিগমের তরফে ভাগাড়ের আবর্জনাকে পরিষ্কার করে বায়ো মাইনিংয়ের মাধ্যমে সার উৎপাদনের (Fertilizer production through bio-mining) কাজ শুরু হয়েছে ৷ গত মার্চ মাস থেকে সেই কাজ শুরু হয়েছে ৷ প্রায় পাঁচ দশকের এই আবর্জনা পরিষ্কার করতে অন্তত 3 বছর লাগবে বলে জানিয়েছেন পৌরনিগমের কমিশনার স্বপন কুণ্ডু ৷

আরও পড়ুন : SMC Election 2022 : শংকর ঘোষকে সামনে রেখে শিলিগুড়ি দখলের স্বপ্ন বিজেপির

পৌর কমিশনার আবর্জনার বায়ো মাইনিংয়ের কথা বললেও, বিরোধীরা এই ভাগাড় সমস্যাকে হাতিয়ার করে নির্বাচনের ময়দানে ঝাঁপাচ্ছে ৷ বিশেষ করে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি ৷ গেরুয়া শিবিরের নেতা পার্থ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বাম আমলের এই ভাগাড় সমস্যা তৃণমূলের 10 বছরের সরকারেও রয়ে গিয়েছে ৷ যার ফল ভুগতে হচ্ছে 8, 9 ও 33নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের ৷’’ তাঁর অভিযোগ কোনও সরকারই ভাগাড় সমস্যার সমাধানে কোনও কাজ করেনি ৷ সিপিআইএম নেতা গোপাল দাসের অভিযোগ, ভাগাড়ে জঞ্জালের পাহাড় তৈরি হয়ে গিয়েছে ৷ মাঝে মধ্যেই আগুন ধরে যায় ৷ আর তা নেভাতে দমকল ডাকতে হয় ৷

আরও পড়ুন : Chandernagore Municipal Corporation : চন্দননগর পৌরভোটের আগে তৃণমূল, বামফ্রন্ট আর বিজেপিতে সরগরম রাজনীতি

তবে, বিরোধী শিবিরের এই অভিযোগে গুরুত্ব দিতে নারাজ, চন্দননগর পৌরনিগমের বিদায়ী মেয়র রাম চক্রবর্তী ৷ তিনি জানান, আগামী কয়েক বছর পর এই ভাগাড় আর থাকবে না ৷ জনবসতি এলাকা থেকে ভাগাড় সরিয়ে কেএমডি পার্কে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে পৌরনিগম কর্তৃপক্ষ ৷ তাঁর মতে, বিরোধীরা রাজনীতি করতে অপপ্রচার করছে ৷ তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস উন্নয়নের নিরিখে চন্দননগরবাসী বিরোধীদের কথায় কর্ণপাত করবেন না ৷

চন্দননগর, 31 ডিসেম্বর : 22 জানুয়ারি রাজ্য়ের চারটি পৌরনিগমের নির্বাচন ৷ যার একটি হল চন্দননগর পৌরনিগম (WB Civic Poll 2022) ৷ আর ভোটের আগে এই পৌরনিগমের নাগরিকদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে 4নং ওয়ার্ডে জিটি রোড ও দিল্লি রোডকে সংযুক্তকারী উড়ালপুলের দু’পাশে থাকা ভাগাড় ৷ যেখানে প্রায় পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে চন্দননগর পৌর এলাকার আবর্জনা জমা হয়ে রয়েছে ৷ আর সেই আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ট 4নং ও তার আশেপাশের ওয়ার্ডের বাসিন্দারা (People Suffer for Garbage Stench in Chandannagar) ৷ এমনকি মাঝে মধ্যে সেই ভাগাড়ের আবর্জনায় আগুনও জ্বলে ওঠে ৷

এই পরিস্থিতিতে আগামী 22 জানুয়ারির নির্বাচন শাসকদলের কাছে বেশ চ্যালেঞ্জিং হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে (Garbage Stench of Dumping Ground in Chandannagar) ৷ বিশেষ করে ভাগাড় সংলগ্ন ওয়ার্ডগুলিতে ৷ তবে, পৌরনিগমের তরফে ভাগাড়ের আবর্জনাকে পরিষ্কার করে বায়ো মাইনিংয়ের মাধ্যমে সার উৎপাদনের (Fertilizer production through bio-mining) কাজ শুরু হয়েছে ৷ গত মার্চ মাস থেকে সেই কাজ শুরু হয়েছে ৷ প্রায় পাঁচ দশকের এই আবর্জনা পরিষ্কার করতে অন্তত 3 বছর লাগবে বলে জানিয়েছেন পৌরনিগমের কমিশনার স্বপন কুণ্ডু ৷

আরও পড়ুন : SMC Election 2022 : শংকর ঘোষকে সামনে রেখে শিলিগুড়ি দখলের স্বপ্ন বিজেপির

পৌর কমিশনার আবর্জনার বায়ো মাইনিংয়ের কথা বললেও, বিরোধীরা এই ভাগাড় সমস্যাকে হাতিয়ার করে নির্বাচনের ময়দানে ঝাঁপাচ্ছে ৷ বিশেষ করে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি ৷ গেরুয়া শিবিরের নেতা পার্থ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বাম আমলের এই ভাগাড় সমস্যা তৃণমূলের 10 বছরের সরকারেও রয়ে গিয়েছে ৷ যার ফল ভুগতে হচ্ছে 8, 9 ও 33নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের ৷’’ তাঁর অভিযোগ কোনও সরকারই ভাগাড় সমস্যার সমাধানে কোনও কাজ করেনি ৷ সিপিআইএম নেতা গোপাল দাসের অভিযোগ, ভাগাড়ে জঞ্জালের পাহাড় তৈরি হয়ে গিয়েছে ৷ মাঝে মধ্যেই আগুন ধরে যায় ৷ আর তা নেভাতে দমকল ডাকতে হয় ৷

আরও পড়ুন : Chandernagore Municipal Corporation : চন্দননগর পৌরভোটের আগে তৃণমূল, বামফ্রন্ট আর বিজেপিতে সরগরম রাজনীতি

তবে, বিরোধী শিবিরের এই অভিযোগে গুরুত্ব দিতে নারাজ, চন্দননগর পৌরনিগমের বিদায়ী মেয়র রাম চক্রবর্তী ৷ তিনি জানান, আগামী কয়েক বছর পর এই ভাগাড় আর থাকবে না ৷ জনবসতি এলাকা থেকে ভাগাড় সরিয়ে কেএমডি পার্কে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে পৌরনিগম কর্তৃপক্ষ ৷ তাঁর মতে, বিরোধীরা রাজনীতি করতে অপপ্রচার করছে ৷ তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস উন্নয়নের নিরিখে চন্দননগরবাসী বিরোধীদের কথায় কর্ণপাত করবেন না ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.