ETV Bharat / state

বেহাল রাস্তার জন্য বিয়ে হচ্ছে না গ্রামের ছেলেমেয়েদের !

দশ বছর ধরে রাস্তার কোনও পরিবর্তন হয়নি । রাস্তায় ধানের চারা পুঁতে ও মাছ ছেড়ে বিক্ষোভ স্থানীয়দের ৷

ধানের বিজ পুঁতে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের
author img

By

Published : Aug 8, 2019, 10:10 PM IST

Updated : Aug 9, 2019, 12:02 AM IST

গোঘাট, 8 অগাস্ট : পাত্র-পাত্রী, ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইট বা ঘটক । ছেলেমেয়ের জন্য যোগ্য পাত্র বা পাত্রী আসলেও হচ্ছে না বিয়ে । নিজেদের যোগ্যতা বা অন্য কিছুকে দায়ি করতে গিয়ে দেখা যায় গ্রামে এমন অনেকে আছে যাদের বিয়ে ভেঙে যাচ্ছে । কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল বিয়ে ভাঙছে কারোর ব্যক্তিগত কোনও সমস্যার জন্য নয় । ভাঙছে এলাকার রাস্তার জন্য । রাস্তার এমন দশা যাতে না কি কেউ সম্বন্ধ করতে চাইছে না এলাকায় কারোর সঙ্গে । এমনই অভিযোগ তুলেছে হুগলির গোঘাটের নকুণ্ডা এলাকার বাসিন্দারা ।

বেহাল দশার কারণে অনেকদিন আগেই বাস বন্ধ হয়ে গেছে হুগলির গোঘাটের নকুণ্ডা এলাকার ওই রাস্তায় । বিয়ে তো ভাঙছে, ছেলেমেয়েরা ঠিকমতো স্কুলেই যেতে পারছে না । কী ভাবেই বা যাবে, বৃষ্টি হলে জল জমে । আর রাস্তা এমন এবড়েখেবড়ে যে সেখানে জলের উপর দিয়ে হাঁটা খুবই বিপজ্জনক । কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লেও আসতে পারে না অ্যাম্বুলেন্স । 2019-এ দাঁড়িয়েও এভাবেই ব্রাত্য ওই এলাকা । গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভোটের আগে একবার বিধায়কের দেখা মিললেও মেলেনি পরিষেবা । বাম আমলে একবার পিচ লাগানোর পর এখনও পর্যন্ত মেরামত হয়নি এক অংশও । তাদের দাবি, রাস্তার এমন অবস্থা যে ধান চাষ এবং মাছ চাষ দুটোই করা যাবে সেখানে ।

দশ বছর ধরে রাস্তার কোনও পরিবর্তন হয়নি । ফাটা রেকর্ডের মতো একই প্রতিশ্রুতি ভেসে আসে প্রতিবার । রাজনৈতিক দল, নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদ সবকিছুর বদলে তারা শুধু রাস্তা চায় । আজ ভাঙাচোরা রাস্তায় জমা জলে ধানের বীজ রোপন করে ও মাছ ছেড়ে প্রতিবাদ দেখায় গ্রামবাসীরা । সঙ্গে জানায়, ফাটা রেকর্ডের মতো একই উত্তর ভেসে এসেছে গত দশ বছর ধরে । তাদের কথা কেউ ভাবে না । একইসঙ্গে স্থানীয়দের হুঁশিয়ারি, এবার কোনও নেতা-মন্ত্রী এই এলাকায় এলে অনুরোধ নয় । গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেব ।

দেখুন ভিডিয়ো

তাদের মধ্যে একজন বলেন, দিদিকে বলোতে জানাতে বলেছে অনেকে ৷ কিন্তু ফল মিলবে কি না তার কোনও আশা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না ।

রাস্তা না হওয়ার পিছনে স্থানীয় নেতাদের কাটমানি খাওয়াকেও দায়ি করে তারা । বলে, "কাজ তো করে কিন্তু কাটমানি খাওয়ায় সবাই সিদ্ধহস্ত । ওরা থাকুক কাটমানি নিয়ে । কাটমানি খাওয়ার জন্যই তো রাস্তা হয়নি । রাস্তা না থাকার জন্য এই এলাকার ছেলেমেয়েদের বিয়ে পর্যন্তও হচ্ছে না । তাই আমাদের দাবি রাস্তা চাই । জীবন চাই ।"

আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারকে তাঁর এলাকার এই ঘটনা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "ওই রাস্তার জন্য টেন্ডার বরাদ্দ হয়ে গেছে । এখন বর্ষা চলছে । তাই কাজ শুরু করা সম্ভব নয় । কিন্তু পুজোর পরই কাজ শুরু হবে ।" অন্য দিকে আরামবাগ সাব ডিভিশনের PWD অ্যাসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়র নিরঞ্জন ভর বলেন, "ওই রাস্তাটি জেলা পরিষদের আওতায় ছিল । PWD-র আওতায় নেওয়া হয়েছে । রাস্তাটি নির্মাণের জন্য সাড়ে 24 কোটি টাকা বরাদ্ধ হয়েছে ।"

স্থানীয়রা বলছে, রাস্তা ঠিক হলে, বাস চলতে শুরু করলেই জীবনে ফিরবে ছন্দ । বিয়ে, পড়াশোনা সবই হবে আবার স্বাভাবিক নিয়মে ।

গোঘাট, 8 অগাস্ট : পাত্র-পাত্রী, ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইট বা ঘটক । ছেলেমেয়ের জন্য যোগ্য পাত্র বা পাত্রী আসলেও হচ্ছে না বিয়ে । নিজেদের যোগ্যতা বা অন্য কিছুকে দায়ি করতে গিয়ে দেখা যায় গ্রামে এমন অনেকে আছে যাদের বিয়ে ভেঙে যাচ্ছে । কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল বিয়ে ভাঙছে কারোর ব্যক্তিগত কোনও সমস্যার জন্য নয় । ভাঙছে এলাকার রাস্তার জন্য । রাস্তার এমন দশা যাতে না কি কেউ সম্বন্ধ করতে চাইছে না এলাকায় কারোর সঙ্গে । এমনই অভিযোগ তুলেছে হুগলির গোঘাটের নকুণ্ডা এলাকার বাসিন্দারা ।

বেহাল দশার কারণে অনেকদিন আগেই বাস বন্ধ হয়ে গেছে হুগলির গোঘাটের নকুণ্ডা এলাকার ওই রাস্তায় । বিয়ে তো ভাঙছে, ছেলেমেয়েরা ঠিকমতো স্কুলেই যেতে পারছে না । কী ভাবেই বা যাবে, বৃষ্টি হলে জল জমে । আর রাস্তা এমন এবড়েখেবড়ে যে সেখানে জলের উপর দিয়ে হাঁটা খুবই বিপজ্জনক । কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লেও আসতে পারে না অ্যাম্বুলেন্স । 2019-এ দাঁড়িয়েও এভাবেই ব্রাত্য ওই এলাকা । গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভোটের আগে একবার বিধায়কের দেখা মিললেও মেলেনি পরিষেবা । বাম আমলে একবার পিচ লাগানোর পর এখনও পর্যন্ত মেরামত হয়নি এক অংশও । তাদের দাবি, রাস্তার এমন অবস্থা যে ধান চাষ এবং মাছ চাষ দুটোই করা যাবে সেখানে ।

দশ বছর ধরে রাস্তার কোনও পরিবর্তন হয়নি । ফাটা রেকর্ডের মতো একই প্রতিশ্রুতি ভেসে আসে প্রতিবার । রাজনৈতিক দল, নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদ সবকিছুর বদলে তারা শুধু রাস্তা চায় । আজ ভাঙাচোরা রাস্তায় জমা জলে ধানের বীজ রোপন করে ও মাছ ছেড়ে প্রতিবাদ দেখায় গ্রামবাসীরা । সঙ্গে জানায়, ফাটা রেকর্ডের মতো একই উত্তর ভেসে এসেছে গত দশ বছর ধরে । তাদের কথা কেউ ভাবে না । একইসঙ্গে স্থানীয়দের হুঁশিয়ারি, এবার কোনও নেতা-মন্ত্রী এই এলাকায় এলে অনুরোধ নয় । গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেব ।

দেখুন ভিডিয়ো

তাদের মধ্যে একজন বলেন, দিদিকে বলোতে জানাতে বলেছে অনেকে ৷ কিন্তু ফল মিলবে কি না তার কোনও আশা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না ।

রাস্তা না হওয়ার পিছনে স্থানীয় নেতাদের কাটমানি খাওয়াকেও দায়ি করে তারা । বলে, "কাজ তো করে কিন্তু কাটমানি খাওয়ায় সবাই সিদ্ধহস্ত । ওরা থাকুক কাটমানি নিয়ে । কাটমানি খাওয়ার জন্যই তো রাস্তা হয়নি । রাস্তা না থাকার জন্য এই এলাকার ছেলেমেয়েদের বিয়ে পর্যন্তও হচ্ছে না । তাই আমাদের দাবি রাস্তা চাই । জীবন চাই ।"

আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারকে তাঁর এলাকার এই ঘটনা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "ওই রাস্তার জন্য টেন্ডার বরাদ্দ হয়ে গেছে । এখন বর্ষা চলছে । তাই কাজ শুরু করা সম্ভব নয় । কিন্তু পুজোর পরই কাজ শুরু হবে ।" অন্য দিকে আরামবাগ সাব ডিভিশনের PWD অ্যাসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়র নিরঞ্জন ভর বলেন, "ওই রাস্তাটি জেলা পরিষদের আওতায় ছিল । PWD-র আওতায় নেওয়া হয়েছে । রাস্তাটি নির্মাণের জন্য সাড়ে 24 কোটি টাকা বরাদ্ধ হয়েছে ।"

স্থানীয়রা বলছে, রাস্তা ঠিক হলে, বাস চলতে শুরু করলেই জীবনে ফিরবে ছন্দ । বিয়ে, পড়াশোনা সবই হবে আবার স্বাভাবিক নিয়মে ।

Intro:Body:রাস্তার বেহাল দশার কারণে ছেলে মেয়ের নাকি বিয়ে হচ্ছে না অবাক কান্ড! গ্রামের ছেলে মেয়েরা স্কুল যেতে পারছে না, হটাৎ করে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নিয়ে যেতে গেলে পড়তে হয় দুর্ভোগে।রাস্তায় গত দেড় মাস ধরে চলছে না কোন পরিবহন।
আর এত কিছু সমস্যার সম্মুখীন হুগলীর গোঘাটের নকুন্ডা এলাকার বাসিন্দারা।

ভোটের আগে একবার এম এল এলের দেখা মিলেছিল।এখন আর কেউ আসে না।
বাম আমলে একবারই পিচের ছোঁয়া লেগেছিল গত দশ বছর আগে।বর্তমানে তার পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে রাস্তা চলাই দুস্কর হয়ে উঠেছে এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে।
বার বার জানানো হয়েছে প্রশাসন কে কিন্তু কথা রাখেনি কেউ।তাই প্রতিবাদ স্বরূপ বেহাল রাস্তায় ধান চারা লাগিয়ে এবং রাস্তার জমা জলে মাছ ছেড়ে রাস্তার দাবিতে বিক্ষোভ দেখালো গ্রামবাসীরা।দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষনের অভাবে রাস্তার এমনই হাল যে ধান চাষ এবং মাছ চাষ দুটোই করা যাবে।
যদিও দিদি কে বলো"তে জানিয়ে ফল মিলবে কিনা তার কোনো আসার আলোই দেখতে পায়নি এলাকাবাসী।

গ্রামবাসীদের দাবি কেউ কোনো কথা শোনেনি। ফাটা রেকর্ডের মত একই উত্তর ভেসে এসেছে গত দশ বছর ধরে।
তাদের আক্ষেপ আমাদের,কথা কেউ ভাবে না।তাই আর আমরা,নেতা, মন্ত্রী, এম এল এ, এমপি দের চাই না।আমরা,চাই রাস্তা। আমাদের একটাই দাবি রাস্তা। তাই এবারে কোন নেতা মন্ত্রী এই এলাকায় এলে অনুরোধ নয়। তাদের গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেব।
এই ভাবেই রাস্তার চাই দাবি জানিয়ে,প্রবল বিক্ষোভ দেখাতে দেখাতে গোটা এলাকা জুড়ে মিছিল করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মিছিল করতে,করতেই রাস্তায় বসে ধান বীজ বপন করে দিলেন।সার ছড়ালেন। রাস্তার জমা জলে মাছ চাষ করলেন।
বামেদের আমলে পিচ পড়লেও ঐপর্যন্তই।তৃণমূলের আমলে কিছুই হয়নি। ফলে বাস বন্ধ হয়ে গেছে দেড় দুমাস,আগেই। প্রবল সমস্যায় ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষক শিক্ষিকা,রোগী,সমস্ত স্তরের মানুষ। ক্ষোভ বিক্ষোভ উগড়ে দিলেন তারা। তাদের দাবি, আমরা তো সেই আদিম যুগে বাস করছি।নেতারা আমাদের কথা ভাবেন না।তাই আমরাও আর ওদের চাই না।এবার আমরা আমাদের অধিকার বুঝে নেব।
কারণ এখানে সাংসদ আসেন নি কোন দিনও। এম এল এ আসেন নি। তাহলে ওদের থাকার দরকার কি। আমরা চাইনা। আমরা ওদের বয়কট করছি। অথচ কাটমানি খাওয়ার সময়ে সবাই সিদ্ধ হস্ত।তা ওরা থাকুক কাটমানি নিয়ে।কাটমানি খাওয়ার জন্যই তো রাস্তা হয়নি।রাস্তা না থাকার জন্য এই এলাকার ছেলেদের বিয়ে পর্যন্তও হচ্ছে না। তাই আমাদের দাবি রাস্তা চাই।জীবন চাই।
যদিও আরামবাগ সাংসদ অপরূপা পোদ্দার বলেন ওই রাস্তার জন্য টেন্ডার বরাদ্দ হয়ে গেছে।এখন বর্ষা চলছে তাই কাজ শুরু করা সম্ভব নয়।কিন্তু পুজোর পরই কাজ শুরু হবে বলে জানান।

অন্য দিকে আরামবাগ সাব ডিভিশনের pwd এসসিটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার নিরঞ্জন ভর বলেন ওই রাস্তাটি জেলা পরিষদের আওতায় ছিল ।pwd আওতায় নেওয়া হয়েছে।রাস্তাটি নির্মাণের জন্য সাড়ে চব্বিশ কোটি টাকা বরাদ্ধ পেয়েছে।

wb_hgl_01_goghat_road_copi_10007

B_1_কুরবান আলী(গ্রামবাসী)
B_2_দীপালি মুখার্জি(গ্রামবাসী)
B_3_অপরূপা পোদ্দার(সাংসদ)
B_4_নিরঞ্জন ভর(pwd আধিকারিক)Conclusion:
Last Updated : Aug 9, 2019, 12:02 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.