ETV Bharat / state

Hooghly Murder : শারীরিক সম্পর্ক থেকে মুক্তি পেতে সুপারি দিয়ে ওঝাকে খুন, গ্রেফতার দুই - খুন

অসুস্থ ছেলেকে দেখতে এসে বাড়ির লোকের অনুপস্থিতিতে জোর করে মহিলার সঙ্গে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করত ওঝা ৷ বারণ করেও লাভ হত না ৷ তাই ওঝার হাত থেকে রেহাই পেতে সুপারি দিয়ে তাকে খুন করার পরিকল্পনা করে ওই মহিলা ৷

Hooghly Murder
Hooghly Murder
author img

By

Published : Oct 22, 2021, 3:35 PM IST

বলাগড়, 22 অক্টোবর : পুরেন্দর চৌধুরীকে বিভিন্ন জায়গায় ওঝার কাজ দেখে দিত নৈহাটির বাসিন্দা লাল্টু চৌধুরী ৷ কখনও কখনও পুরেন্দরকে সঙ্গে করেও নিয়ে যেত লাল্টু ৷ এমনই এক ওঝার কাজের সন্ধান আসে কল্যাণীর যদুবাটি থেকে ৷ ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ওঝার জন্য দীর্ঘদিনের পরিচিত লাল্টু চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন যদুবাটির বাসিন্দা জুইতি মাহাত ৷

সেইমতোই পুরেন্দর যদুবাটিতে ওঝার কাজের জন্য যেতে শুরু করে ৷ কিন্তু সেখানে গিয়ে ছেলেকে সুস্থ করার কাজ না করে, বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হত ৷ একাধিকবার তার সঙ্গে সহবাস করে পুরেন্দর ৷ জুইতি না চাইলেও তাকে জোর করে সহবাস করতে বাধ্য করত পুরেন্দর ৷ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েও না পারায় ফের লাল্টুর দ্বারস্থ হয় জুইতি ৷ পুরেন্দরের হাত থেকে রেহাই পেতে জুইতিই লাল্টুকে 10 হাজার টাকা সুপারি দিয়ে তাকে খুন করার জন্য বলে ৷

এরপরই কাজের নাম করে লাল্টু বলাগড় ডুমুরদহে নিয়ে যায় পুরেন্দরকে । সেখানে দুজনে একসঙ্গে মদ খায় ৷ তারপর পুরেন্দরকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে খুন করে নয়ানজুলিতে ফেলে দেয়ে লাল্টু ৷ ঘটনার তদন্তে নেমে বলাগড় থানার পুলিশ প্রথমে লাল্টুকে গ্রেফতার করে । এরপর জুইতি মাহাতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে 10 হাজার টাকা সুপারি দিয়ে খুন করা হয়েছে । এই ঘটনার পর পুলিশ জুইতিকে চুঁচুড়া আদালতে নেওয়ার আবেদন জানালে আদালত সাতদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় ।

আরও পড়ুন : Bangladeshi arrested : অবৈধ পরিচয়পত্র তৈরির এজেন্ট-সহ ছয় বাংলাদেশি গ্রেফতার

হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি দেবীদয়াল কুন্ডু জানান, 2 অক্টোবর পুরেন্দরকে ডুমুরদহ নিয়ে গিয়ে পুরেন্দরকে খুন করে লাল্টু । এরপর ওঝা পুরেন্দরের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সে কার সঙ্গে বেশি মিশত ও তার বন্ধুবান্ধবের বিষয়ে জানতে পারে পুলিশ । সেই সূত্র ধরেই লাল্টুর খোঁজ পায় । লাল্টুও জেরায় কবুল করে খুনের কথা । সে জানায় ওঝাগিরি করার জন্য পুরেন্দরকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেত । কল্যাণীর যদুবাটির জুইতি মাহাতর সঙ্গে সেই সুবাদে পরিচয় ছিল দীর্ঘদিনের । জুইতির ছেলে অসুস্থ থাকায় তাকে ঝাড়ফুঁক করতে পুরেন্দরকে পাঠানো হয় । কিন্তু নিজের কাজ না করে, স্বামী না থাকায় জুইতি মাহাতর সঙ্গে জোর করে শারিরীক সম্পর্ক তৈরি করে পুরেন্দর ৷

পরে জুইতি পুলিশকে জানায়, সে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলে পারেনি । সহবাসে রাজি না হলে জোর করত পুরেন্দর । তখনই তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে জুইতি । ওঝাকে খুন করলে লাল্টুকে দশ হাজার টাকা দেবে বলে জুইতি । এর জন্য পাঁচ হাজার টাকা অগ্রিমও দেয় তাকে । তার কথা মতোই পুরেন্দরকে খুন করে লাল্টু ৷

আরও পড়ুন : Elderly Couple Attacked : চুঁচুড়ায় বৃদ্ধ দম্পতিকে মারধর করে ডাকাতি

বলাগড়, 22 অক্টোবর : পুরেন্দর চৌধুরীকে বিভিন্ন জায়গায় ওঝার কাজ দেখে দিত নৈহাটির বাসিন্দা লাল্টু চৌধুরী ৷ কখনও কখনও পুরেন্দরকে সঙ্গে করেও নিয়ে যেত লাল্টু ৷ এমনই এক ওঝার কাজের সন্ধান আসে কল্যাণীর যদুবাটি থেকে ৷ ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ওঝার জন্য দীর্ঘদিনের পরিচিত লাল্টু চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন যদুবাটির বাসিন্দা জুইতি মাহাত ৷

সেইমতোই পুরেন্দর যদুবাটিতে ওঝার কাজের জন্য যেতে শুরু করে ৷ কিন্তু সেখানে গিয়ে ছেলেকে সুস্থ করার কাজ না করে, বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হত ৷ একাধিকবার তার সঙ্গে সহবাস করে পুরেন্দর ৷ জুইতি না চাইলেও তাকে জোর করে সহবাস করতে বাধ্য করত পুরেন্দর ৷ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েও না পারায় ফের লাল্টুর দ্বারস্থ হয় জুইতি ৷ পুরেন্দরের হাত থেকে রেহাই পেতে জুইতিই লাল্টুকে 10 হাজার টাকা সুপারি দিয়ে তাকে খুন করার জন্য বলে ৷

এরপরই কাজের নাম করে লাল্টু বলাগড় ডুমুরদহে নিয়ে যায় পুরেন্দরকে । সেখানে দুজনে একসঙ্গে মদ খায় ৷ তারপর পুরেন্দরকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে খুন করে নয়ানজুলিতে ফেলে দেয়ে লাল্টু ৷ ঘটনার তদন্তে নেমে বলাগড় থানার পুলিশ প্রথমে লাল্টুকে গ্রেফতার করে । এরপর জুইতি মাহাতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে 10 হাজার টাকা সুপারি দিয়ে খুন করা হয়েছে । এই ঘটনার পর পুলিশ জুইতিকে চুঁচুড়া আদালতে নেওয়ার আবেদন জানালে আদালত সাতদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় ।

আরও পড়ুন : Bangladeshi arrested : অবৈধ পরিচয়পত্র তৈরির এজেন্ট-সহ ছয় বাংলাদেশি গ্রেফতার

হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি দেবীদয়াল কুন্ডু জানান, 2 অক্টোবর পুরেন্দরকে ডুমুরদহ নিয়ে গিয়ে পুরেন্দরকে খুন করে লাল্টু । এরপর ওঝা পুরেন্দরের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সে কার সঙ্গে বেশি মিশত ও তার বন্ধুবান্ধবের বিষয়ে জানতে পারে পুলিশ । সেই সূত্র ধরেই লাল্টুর খোঁজ পায় । লাল্টুও জেরায় কবুল করে খুনের কথা । সে জানায় ওঝাগিরি করার জন্য পুরেন্দরকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেত । কল্যাণীর যদুবাটির জুইতি মাহাতর সঙ্গে সেই সুবাদে পরিচয় ছিল দীর্ঘদিনের । জুইতির ছেলে অসুস্থ থাকায় তাকে ঝাড়ফুঁক করতে পুরেন্দরকে পাঠানো হয় । কিন্তু নিজের কাজ না করে, স্বামী না থাকায় জুইতি মাহাতর সঙ্গে জোর করে শারিরীক সম্পর্ক তৈরি করে পুরেন্দর ৷

পরে জুইতি পুলিশকে জানায়, সে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলে পারেনি । সহবাসে রাজি না হলে জোর করত পুরেন্দর । তখনই তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে জুইতি । ওঝাকে খুন করলে লাল্টুকে দশ হাজার টাকা দেবে বলে জুইতি । এর জন্য পাঁচ হাজার টাকা অগ্রিমও দেয় তাকে । তার কথা মতোই পুরেন্দরকে খুন করে লাল্টু ৷

আরও পড়ুন : Elderly Couple Attacked : চুঁচুড়ায় বৃদ্ধ দম্পতিকে মারধর করে ডাকাতি

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.