চন্দননগর, 22 মে : করোনার ভুয়ো রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করল চন্দননগর থানার পুলিশ । ধৃত দুই যুবকের নাম প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী এবং অর্ঘ্য চট্টোপাধ্যায় ৷ দু‘জনে চন্দননগরের সুভাষ পল্লি এবং নাড়ুয়া রায়পাড়ার বাসিন্দা ৷
ধৃত দুই যুবকই হাওড়া পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগে চুক্তিভিত্তিক কর্মী বলে জানা গিয়েছে । দু‘জনে হাওড়ার দুই ডায়গনেস্টিক সেন্টারের সঙ্গেও যুক্ত ৷ 1700 টাকার বিনিময়ে রোগীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনার পরীক্ষা করতেন প্রসেনজিৎ ৷ চন্দননগরের এক বাসিন্দা এদের কাছ থেকে টেস্ট করে প্রতারিত হন । কলকাতার এক নামী সংস্থার নাম করে টেস্ট করাতেন অর্ঘ্য এবং প্রসেনজিৎ ৷ প্রতারিত পরিবারের সন্দেহ হওয়ায় রিপোর্টে থাকা সংস্থায় ফোন করেন তাঁরা ৷ সেখান থেকে জানতে পারা যায় সংস্থা থেকে কোনও টেস্ট হয়নি ৷ রিপোর্টটি ভুয়ো ৷ এরপর চন্দননগর থানায় দুই যুবকের নামে অভিযোগ দায়ের করে পরিবার ৷
আরও পড়ুন : কলকাতায় ব্ল্যাক ফাংগাসে মৃত্য়ু যুবতির
অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ ৷ প্রসেনজিৎ এবং অর্ঘ্যের চন্দননগরের বাড়িতে গতকাল রাতে তল্লাশি করে পুলিশ ৷ সেখান থেকে উদ্ধার হয় 5টি পিপিই কিট, আরটিপিসিআর পরীক্ষার রিপোর্টের খালি বাক্স, 50টি কোভিড টেস্টিং কিট, ব্যবহৃত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের কিট, 40টি দ্রুত কোভিড পরীক্ষার কিট ও 100 সিলড ডিসপোজাল সিরিঞ্জ । অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ এরপর ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয় ৷ ধৃতদের আজ চন্দননগরের স্পেশাল আদালতে তোলা হবে । তাঁদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে ।