বৈঁচি, 18 মে : বৈঁচি সমবায় নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৃণমূলের অন্দরে । তাতেই অনাস্থা ডেকেছিল তৃণমূলেরই একাংশ (TMC wins no confidence vote) । একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল অপর তৃণমূল গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে । তার পরিপ্রেক্ষিতেই বুধবার অনাস্থা ভোট ডাকা হয় বৈঁচি সিএডিপি সমবায়ে । এই সমবায়ে 2019 সালে ভোটে একচ্ছত্র ক্ষমতা নিয়ে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল । বাম সমর্থিত সদস্য 4টি আসন পায় । তৃণমূল সমর্থিত সদস্য হন 25 জন । তার মধ্যে পরে দু'জনের মৃত্যু হয় । ভোটের দু'বছরের মধ্যেই তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি অমর নাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এই অনাস্থা ডাকেন । দুর্নীতি ও আর্থিক তছরূপের অভিযোগ আনা হয় চেয়ারম্যান হেমন্ত ঘোষের বিরুদ্ধে ৷
অনাস্থার পক্ষে 11 জন সদস্য নিয়ে গোপন ব্যালটে ভোট করা হয় । চেয়ারম্যানের পক্ষে ভোট দেয় 11 জন সদস্য । এই ভোটে বামেদের পক্ষ থেকে 4 জনই অংশগ্রহণ করেন । তাতেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভোট পড়ে । অনাস্থা দিয়ে সদস্যরা ভোট পায় 15টি । আর এক পক্ষ পায় 12টি । তবে আগের বোর্ডের বিরুদ্ধে ভোট দেয় বামেরা । আখেরে তৃণমূলের অন্য পক্ষকেই ভোট দেয় বাম শিবির । এর বিরুদ্ধে সরব তৃণমূলের হেরে যাওয়া গোষ্ঠীরা ।
আরও পড়ুন : No Trust Vote : পঞ্চায়েতে অনাস্থা, ব্লক সভাপতির ক্ষমতা কেড়ে নিল তৃণমূল জেলা সভাপতি
দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে হুগলি জেলা পরিষদের সদস্যা রূপা ভট্টাচার্য বলেন, "সিপিএমের সঙ্গে মিশে বোর্ড ভাঙার চক্রান্ত করেছে বিরোধী গোষ্ঠী । সমবায় ভালোই চলছিল । মিথ্যা অভিযোগে অনাস্থা আনা হয় ।"
বৈঁচি সমবায়ে পাঁচজন ডিরেক্টর ছিলেন তাঁরা পদত্যাগ করেন 2010 সালে । চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে তৃণমূলের এক গোষ্ঠী । বৈঁচি সিএডিপি সমবায়ে মোট সদস্য 29 জন । 25 জন তৃণমূলের, 4 জন বামেদের । দু'জন তৃণমূল সদস্য প্রয়াত হওয়ায় বর্তমানে 27 জন সদস্য নিয়ে চলছিল সমবায় ।
তৃণমূলের বৈঁচি অঞ্চল সভাপতি অমরনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে সমবায়ে দুর্নীতি চলছে । বার বার বলা সত্ত্বেও সংশোধন হয়নি । দুর্নীতির বিরুদ্ধে অধিকাংশ সদস্যরা অনাস্থায় ভোট দেন । আমরা নতুন চেয়ারম্যান করব । দুর্নীতি মুক্ত সমবায় তৈরি হবে ।"
সিপিএমের সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে অনাস্থা আনা হয় । তবে দুর্নীতিগ্রস্থ ছিল এই বোর্ড ।আমাদের সময়ে কোনও দুর্নীতি ছিল না । কোথাও অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ।