ধনেখালি, 22 জুন: ভোটের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ধনেখালি পঞ্চায়েত সমিতিতে জয় তৃণমূলের। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী এই পঞ্চায়েত সমিতির 36টি আসনে জয় পেয়েছে ঘাসফুল শিবির। তা নিয়েই কটাক্ষ করেছেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, এর আগেও সন্ত্রাস করেছে তৃণমূল। এবারও হুমকি দিয়ে বিরোধীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করানো হয়েছে। শুধু পঞ্চায়েতে সমিতি নয়, 5টিরও বেশি গ্রাম পঞ্চায়েতে জয় পাচ্ছে তৃণমূল। বাম আমলে এই ব্লকে একচ্ছত্র জয় পেত শাসকদল। সেই ইতিহাসে বহাল রইল তৃণমূল আমলেও। যদিও তৃণমূলের দাবি, বিরোধীদের প্রার্থী দেওয়ার লোকও নেই। এসব মিথ্যা অভিযোগ। তৃণমূল কংগ্রেসকে মানুষ সমর্থন করে। ধনেখালি পঞ্চায়েত সমিতির জয় সবে শুরু।
বিজেপির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, "ধনেখালিতে সন্ত্রাস 2018 সাল থেকে চলছে। কিন্তু এবারে এসেও আমাদের কর্মীরা মনোনয়ন জমা দিয়েছিল। ওই সময় হুমকি দিয়েছে তারা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এরা ভোট লুঠ করতে চাইছে। আগামিদিনে মানুষ জবাব দেবে। তৃণমূলের হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরিন্দম গুইন বলেন, "বিরোধিতার মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য সবরকম ব্যবস্থা করেছিলেন তাঁরা। এমনকী এরকম ঘোষণা করা হয়েছিল যদি কেউ মনোনয়ন জমা দিতে না-পারেন সেখানে তাদেরকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হবে তারপরও বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দেয়নি।"
পঞ্চায়েত ভোটের নমিনেশনের পর স্ক্রুটিনির শেষে প্রশাসনে দেওয়া তালিকা অনুযায়ী, ধনেখালি ব্লকে 18টি গ্রাম পঞ্চায়েতের 311টি আসনের মধ্যে 183টিতে কোনও প্রার্থী নেই বিরোধীদের। শুধুমাত্র 12টি পঞ্চায়েত সমিতির আসনে নির্বাচন হবে। তবে জেলাপরিষদের 3 আসনেই প্রার্থী দিয়েছে বিরোধীরা। হুগলি জেলায় বিরোধীশূন্য আসন হওয়ার নিরিখে ধনেখালি ব্লকের পর আরামবাগ দ্বিতীয়। কারণ আরামবাগ ব্লকে গ্ৰামসভার 271টি আসনের মধ্যে 52টি বিরোধী শূন্য। পঞ্চায়েত সমিতির 45টি আসনের মধ্যে 7টা আসনে নেই কোনও দ্বিতীয় রাজনৈতিক দলের প্রার্থী। গোঘাট 2 নম্বর ব্লকের গ্ৰামসভার 153টি আসনের মধ্যে 42টি বিরোধী শূন্য। পঞ্চায়েত সমিতির 27টি আসনের মধ্যে 6টি আসনে নেই অন্য কোনও দ্বিতীয় রাজনৈতিক দলের প্রার্থী।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ধাক্কা, ভোটে আরও 800 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইল কমিশন