ETV Bharat / state

Aparupa Poddar on Humayun Kabir: হুমায়ুন কবির 'ঘরশত্রু বিভীষণ', কটাক্ষ তৃণমূল সাংসদ অপরূপার

রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে মৃত্যু নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির ৷ এবার তাঁকে পালটা আক্রমণ করলেন দলীয় সাংসদ অপরূপা পোদ্দার ৷

ETV Bharat
ফাইল ছবি
author img

By

Published : Jul 10, 2023, 4:22 PM IST

অপরূপা পোদ্দারের বক্তব্য

রিষড়া, 10 জুলাই: রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের দিন 18 জনের মৃত্যু হয় ৷ বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন, প্রাক্তন আইপিএস তথা ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির ৷ এত মানুষের মৃত্যুতে তিনি বাঙালি হিসেবে লজ্জিত বলেও দাবি রাজ্য পুলিশের এই প্রাক্তন কর্তার ৷ দলের অন্দরের কোন্দলের দিকেও ইঙ্গিত করেছেন তিনি ৷ হুমায়ুনের এই মন্তব্যের জন্য সোমবার তাঁকে পালটা কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার ৷ এমনকী দলীয় বিধায়ককে 'ঘরশত্রু বিভীষণ'ও বলেও আক্রমণ করেছেন আরামবাগের সাংসদ ৷

ঠিক কী বলেছেন অপরূপা ?

এই তৃণমূল সাংসদের কথায়, "হুমায়ুন সাহেব নিজেই বলছেন 2008 সালে ডোমকলে 17 জন ও মুর্শিদাবাদে নির্বাচনের দিন 22 জন মারা গিয়েছেন । তাহলে তখন তিনি বাঙালি হিসাবে লজ্জিত ছিলেন না গর্বিত ছিলেন ? তখন তিনি কেন কিছু বলেননি ৷ কেন তিনি চুপ ছিলেন ? পুলওয়ামা বিস্ফোরণে 45 জন জওয়ান মারা গেলেন । তখন ভারতবাসী হিসাবে আপনি লজ্জিত ছিলেন না গর্বিত? আজকে উনি বড় বড় কথা বলছেন । কিন্তু উনি জেনে রাখবেন আজকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য আমরা সবাই কেউ বিধায়ক, কেউ সাংসদ । হয়তো ডেবরায় ওঁর মন মতো প্রার্থী হয়নি বলে উনি এই ধরনের ভুলভাল বলছেন । যারা আমাদের দলে থেকে বিরোধী দলকে মদত দিচ্ছে তারা ঘরশত্রু বিভীষনের কাজ করছে ।"

এই বিষয়টি নিয়ে একাধিক টুইটও করেন অপরূপা ৷ হুমায়ুন কবিরকে সরাসরি তোপ দেগে তাঁর আরও অভিযোগ, উনি যখন চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটে ছিলেন তখন অনেকের বিরুদ্ধে ভুল মামলা দিয়েছেন । 2008-11 পর্যন্ত অনেক তৃণমূলকর্মী মারা গিয়েছেন, উনি তখন কী করেছেন? এমনকী দলীয় বিধায়ককে সরাসরি ব্যক্তিগত আক্রমণও করেছেন অপরূপা পোদ্দার ৷

তাঁর কথায়, "2011 সালে মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে ভোট দিয়েছিল ৷ আপনি কে হে মশাই ! আপনার শ্বশুর বর্ধমানে সিপিএমের বড় নেতা ছিলেন ৷" একই সঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, সমাজের যে স্তরের লোক হোক না কেন সে টোটো চালাক হোক বা কোন আইপিএস অফিসার রাজনৈতিক লোক না থাকলে এরকম ভুলভাল কথা বলে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দেশ তথা রাজ্যের সবচেয়ে বড় সংখ্যালঘু মুখ বলে উল্লেখ করেছেন আরামবাগের সাংসদ ৷

এবিষয়ে হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, উচিত কথা বললেই অপরূপা পোদ্দারের চক্ষুশূল হচ্ছেন হুমায়ুন কবির । এরা সন্ত্রাসের ঠেকা নিয়ে বসে আছে । একের পর এক 39 জন মানুষ মারা গেলন অথচ মুখ্যমন্ত্রীর একটা বিবৃতি নেই । উচিত কথা বললেই বলা হচ্ছে, রাজনীতি জানে না । আসলে সত্যটা ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে ৷

অপরূপা পোদ্দারের বক্তব্য

রিষড়া, 10 জুলাই: রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের দিন 18 জনের মৃত্যু হয় ৷ বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন, প্রাক্তন আইপিএস তথা ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির ৷ এত মানুষের মৃত্যুতে তিনি বাঙালি হিসেবে লজ্জিত বলেও দাবি রাজ্য পুলিশের এই প্রাক্তন কর্তার ৷ দলের অন্দরের কোন্দলের দিকেও ইঙ্গিত করেছেন তিনি ৷ হুমায়ুনের এই মন্তব্যের জন্য সোমবার তাঁকে পালটা কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার ৷ এমনকী দলীয় বিধায়ককে 'ঘরশত্রু বিভীষণ'ও বলেও আক্রমণ করেছেন আরামবাগের সাংসদ ৷

ঠিক কী বলেছেন অপরূপা ?

এই তৃণমূল সাংসদের কথায়, "হুমায়ুন সাহেব নিজেই বলছেন 2008 সালে ডোমকলে 17 জন ও মুর্শিদাবাদে নির্বাচনের দিন 22 জন মারা গিয়েছেন । তাহলে তখন তিনি বাঙালি হিসাবে লজ্জিত ছিলেন না গর্বিত ছিলেন ? তখন তিনি কেন কিছু বলেননি ৷ কেন তিনি চুপ ছিলেন ? পুলওয়ামা বিস্ফোরণে 45 জন জওয়ান মারা গেলেন । তখন ভারতবাসী হিসাবে আপনি লজ্জিত ছিলেন না গর্বিত? আজকে উনি বড় বড় কথা বলছেন । কিন্তু উনি জেনে রাখবেন আজকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য আমরা সবাই কেউ বিধায়ক, কেউ সাংসদ । হয়তো ডেবরায় ওঁর মন মতো প্রার্থী হয়নি বলে উনি এই ধরনের ভুলভাল বলছেন । যারা আমাদের দলে থেকে বিরোধী দলকে মদত দিচ্ছে তারা ঘরশত্রু বিভীষনের কাজ করছে ।"

এই বিষয়টি নিয়ে একাধিক টুইটও করেন অপরূপা ৷ হুমায়ুন কবিরকে সরাসরি তোপ দেগে তাঁর আরও অভিযোগ, উনি যখন চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটে ছিলেন তখন অনেকের বিরুদ্ধে ভুল মামলা দিয়েছেন । 2008-11 পর্যন্ত অনেক তৃণমূলকর্মী মারা গিয়েছেন, উনি তখন কী করেছেন? এমনকী দলীয় বিধায়ককে সরাসরি ব্যক্তিগত আক্রমণও করেছেন অপরূপা পোদ্দার ৷

তাঁর কথায়, "2011 সালে মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে ভোট দিয়েছিল ৷ আপনি কে হে মশাই ! আপনার শ্বশুর বর্ধমানে সিপিএমের বড় নেতা ছিলেন ৷" একই সঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, সমাজের যে স্তরের লোক হোক না কেন সে টোটো চালাক হোক বা কোন আইপিএস অফিসার রাজনৈতিক লোক না থাকলে এরকম ভুলভাল কথা বলে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দেশ তথা রাজ্যের সবচেয়ে বড় সংখ্যালঘু মুখ বলে উল্লেখ করেছেন আরামবাগের সাংসদ ৷

এবিষয়ে হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, উচিত কথা বললেই অপরূপা পোদ্দারের চক্ষুশূল হচ্ছেন হুমায়ুন কবির । এরা সন্ত্রাসের ঠেকা নিয়ে বসে আছে । একের পর এক 39 জন মানুষ মারা গেলন অথচ মুখ্যমন্ত্রীর একটা বিবৃতি নেই । উচিত কথা বললেই বলা হচ্ছে, রাজনীতি জানে না । আসলে সত্যটা ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.