বিঘাটি (হুগলি), 16 জুলাই: 21 জুলাইয়ের আগে প্রকাশ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (TMC Factionalism) ৷ তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দলেরই অপর গোষ্ঠীর ! পাশে দাঁড়িয়েছেন একমাত্র বিরোধী সদস্যও ৷ ঘটনা ঘিরে উত্তাপ বাড়ছে হুগলির (Hooghly) সিঙ্গুরের বিঘাটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় (Bighati Gram Panchayat) ৷
তৃণমূল পরিচালিত বিঘাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট সংদস্যসংখ্যা 11 ৷ এঁদের মধ্যে বিরোধী বলতে রয়েছেন সিপিএম-এর একজন মাত্র সদস্য ৷ বাকি 10 জনই তৃণমূলের ৷ সূত্রের খবর, এই 10 জনের মধ্যে ছ'জনই পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছেন ৷ গত 13 জুলাই বিঘাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের এই বিক্ষুব্ধ সদস্যরা সিঙ্গুর ব্লক প্রশাসন এবং হুগলি জেলা প্রশাসনের কাছে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন ৷ তাতে সংশ্লিষ্ট সাত পঞ্চায়েত সদস্যের স্বাক্ষর রয়েছে ৷ তাঁরা সকলেই এলাকার অনুন্নয়ন-সহ বিভিন্ন বিষয়ের জন্য পঞ্চায়েত প্রধান দীপক পাকিরাকে কাঠগড়ায় তুলেছেন ৷
এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পঞ্চায়েতের বিক্ষুব্ধ ছয় তৃণমূল সদস্য এবং একমাত্র সিপিএম সদস্যের গলায় একই সুর শোনা গিয়েছে ৷ তাঁদের সকলেরই দাবি, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে কাজের বরাত দেওয়া থেকে শুরু করে ব্যবসায়িক লাইসেন্স প্রদান, সমস্ত ক্ষেত্রেই দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন প্রধান দীপক পাকিরা ৷ যদিও বিজেপি-র বক্তব্য, কাটমানির ভাগাভাগি নিয়ে বনিবনা না হওয়াতেই পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ডাকা হচ্ছে ৷
এদিকে, দুর্নীতি, স্বজনপোষণ এবং গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব মানতে নারাজ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ৷ তাদের বক্তব্য, কিছু বিষয় নিয়ে বিঘাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের মধ্যে মান, অভিযান চলছে ৷ আলোচনার মাধ্যমে সেসব মিটে যাবে বলেই আশাবাদী তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি অশোক চৌধুরী ৷