ETV Bharat / state

অসভ্যতা করেছে তৃণমূল কাউন্সিলর, নাম নিলে কলেজে ঢুকতে পারব না ; আতঙ্কিত অধ্যাপক - students arrested

কোন্নগর হিরালাল কলেজে নিগৃহীত হওয়ার পর এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে সরব হলেন অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায় ৷ সুব্রতবাবু বলেন, তৃণমূল কাউন্সিলর তন্ময় দেব গতকালের ঘটনায় উপস্থিত ছিল ৷ সে কলেজের ছেলে-মেয়েদের উত্তেজিত করে ৷ এরপরই 12 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তন্ময় দেবকে শোকজ় করে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব ৷

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Jul 25, 2019, 5:36 PM IST

Updated : Jul 25, 2019, 5:41 PM IST

কোন্নগর, 25 জুলাই : নিগৃহীত হওয়ার পর 12 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে সরব হলেন হিরালাল কলেজের অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়৷ আজ কলেজে গিয়ে অধ্যক্ষ শ্রীকান্ত সামন্ত ও সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে ক্ষমা চান তৃণমূল জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব । সেই সময়, সুব্রতবাবু তাঁকে বলেন, "আপনার একজন কাউন্সিলর কলেজে ঢুকে যথেচ্ছ অসভ্যতা করেছে ৷" সঙ্গে ভয়ে ভয়ে বলেন, "আপনারা নিশ্চয় জানেন যে কে সে ৷ নাম বললে আর কলেজে ঢুকতে পারব না ৷" এরপরই 12 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তন্ময় দেবকে শোকজ় করে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব৷ এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে সন্দীপ পাল ও বিজয় সরকার নামে দু'জন ছাত্রকেও ৷

দিলীপবাবুর সঙ্গে ছিলেন এলাকার বিধায়ক প্রবীর ঘোষালও ৷ সুব্রতবাবুর কথা শুনে তিনি বলেন, "ভয় পাবেন না ৷ স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী আপনার সঙ্গে কথা বলেছেন ৷" এরপরই দিলীপ যাদব বলেন, "কে কত বড় তাকে দেখে নেওয়ার, বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব আমার ৷ কী নাম ?" সাহস জুটিয়ে অধ্যাপক বলেন, "তন্ময় দেব ৷ যখনই কলেজে গন্ডগোল হয়, সে আসে ৷ গতকালও ছেলে-মেয়েদের উত্তেজিত করেছিল সে ৷ না হলে ছেলে-মেয়েরা মারধর করত না ৷ নিচে নামার সময় দেখছিলাম ওই উত্তেজিত করছিল এবং আমাকে টার্গেট করছিল ৷ বলছিল কয়েকজন অধ্যাপক আছে যারা ছাত্রদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করছে ৷ আপনি দেখেছেন স্যার, মেয়েরা আমাকে বাঁচাচ্ছে ৷ যদি মেয়েরা আমার বিরোধী হয়, তাহলে আমাকে বাঁচাবে কেন ? "

দেখুন ভিডিয়ো

তাঁকে সাহস জুগিয়ে দিলীপবাবু বলেন, "আমাদের সমাজে কোথাও শিক্ষকদের সঙ্গে এমন আচরণের ব্যাপার নেই ৷ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে ৷ উনি আমাকে পাঠিয়েছেন ৷ আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চাইতে এসেছি ৷ যদি দলের কোনও লোক ভালো করলে আমাদের ক্রেডিট দেওয়া হয়, তাহলে আমাদের কেউ অন্যায় করলেও তার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী ৷"

এদিকে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আজই পথে নামে SFI । পরে উত্তরপাড়া থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয় । প্রবীর ঘোষাল বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের ফোন করে বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নেন । আক্রান্ত অধ্যাপককেও ফোন করেন । তাঁর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী । তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কেউ যদি জড়িত থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে । যে দুজন ছাত্র গ্রেপ্তার হয়েছে তারা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কেউ নয় । এরা বহিরাগত । ২০১৬ সালে কলেজ থেকে পাশ করেছে শুনেছি ।"

কলেজের অধ্যক্ষ শ্রীকান্ত সামন্ত বলেন, "অধ্যাপকরা পঠন-পাঠন বন্ধ রেখেছেন । কিন্তু কলেজের অন্যান্য কাজ চলছে । গতকালের ঘটনায় দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে শুনেছি । কলেজের রেজিস্ট্রারে কোনও নাম নেই । এরা প্রত্যেকেই ক্যাজ়ুয়াল ছাত্র ।"

কোন্নগর, 25 জুলাই : নিগৃহীত হওয়ার পর 12 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে সরব হলেন হিরালাল কলেজের অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়৷ আজ কলেজে গিয়ে অধ্যক্ষ শ্রীকান্ত সামন্ত ও সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে ক্ষমা চান তৃণমূল জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব । সেই সময়, সুব্রতবাবু তাঁকে বলেন, "আপনার একজন কাউন্সিলর কলেজে ঢুকে যথেচ্ছ অসভ্যতা করেছে ৷" সঙ্গে ভয়ে ভয়ে বলেন, "আপনারা নিশ্চয় জানেন যে কে সে ৷ নাম বললে আর কলেজে ঢুকতে পারব না ৷" এরপরই 12 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তন্ময় দেবকে শোকজ় করে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব৷ এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে সন্দীপ পাল ও বিজয় সরকার নামে দু'জন ছাত্রকেও ৷

দিলীপবাবুর সঙ্গে ছিলেন এলাকার বিধায়ক প্রবীর ঘোষালও ৷ সুব্রতবাবুর কথা শুনে তিনি বলেন, "ভয় পাবেন না ৷ স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী আপনার সঙ্গে কথা বলেছেন ৷" এরপরই দিলীপ যাদব বলেন, "কে কত বড় তাকে দেখে নেওয়ার, বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব আমার ৷ কী নাম ?" সাহস জুটিয়ে অধ্যাপক বলেন, "তন্ময় দেব ৷ যখনই কলেজে গন্ডগোল হয়, সে আসে ৷ গতকালও ছেলে-মেয়েদের উত্তেজিত করেছিল সে ৷ না হলে ছেলে-মেয়েরা মারধর করত না ৷ নিচে নামার সময় দেখছিলাম ওই উত্তেজিত করছিল এবং আমাকে টার্গেট করছিল ৷ বলছিল কয়েকজন অধ্যাপক আছে যারা ছাত্রদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করছে ৷ আপনি দেখেছেন স্যার, মেয়েরা আমাকে বাঁচাচ্ছে ৷ যদি মেয়েরা আমার বিরোধী হয়, তাহলে আমাকে বাঁচাবে কেন ? "

দেখুন ভিডিয়ো

তাঁকে সাহস জুগিয়ে দিলীপবাবু বলেন, "আমাদের সমাজে কোথাও শিক্ষকদের সঙ্গে এমন আচরণের ব্যাপার নেই ৷ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে ৷ উনি আমাকে পাঠিয়েছেন ৷ আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চাইতে এসেছি ৷ যদি দলের কোনও লোক ভালো করলে আমাদের ক্রেডিট দেওয়া হয়, তাহলে আমাদের কেউ অন্যায় করলেও তার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী ৷"

এদিকে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আজই পথে নামে SFI । পরে উত্তরপাড়া থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয় । প্রবীর ঘোষাল বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের ফোন করে বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নেন । আক্রান্ত অধ্যাপককেও ফোন করেন । তাঁর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী । তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কেউ যদি জড়িত থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে । যে দুজন ছাত্র গ্রেপ্তার হয়েছে তারা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কেউ নয় । এরা বহিরাগত । ২০১৬ সালে কলেজ থেকে পাশ করেছে শুনেছি ।"

কলেজের অধ্যক্ষ শ্রীকান্ত সামন্ত বলেন, "অধ্যাপকরা পঠন-পাঠন বন্ধ রেখেছেন । কিন্তু কলেজের অন্যান্য কাজ চলছে । গতকালের ঘটনায় দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে শুনেছি । কলেজের রেজিস্ট্রারে কোনও নাম নেই । এরা প্রত্যেকেই ক্যাজ়ুয়াল ছাত্র ।"

Intro:Body:গতকাল কলেজে অধ্যাপককে মারধরের ঘটনায় আক্রান্ত অধ্যাপকের হাত ধরে ক্ষমা প্রার্থনা তৃণমূলের জেলা সভাপতির।

আজ কলেজে যান এলাকার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল এবং তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব।কলেজের অধ্যক্ষ শিকান্ত সামন্তের দেখা করেন পাশাপাশি আক্রান্ত অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যাযের সঙ্গে দেখা করে সহনাভূতি জানিয়ে হাত ধরে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তৃণমূল জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব।
অন্য দিকে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে পথে নামে এসএফআই এবং জি টি রোড অবরোধ করে। পরে উত্তরপাড়া থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ বসেছেন তারা।

কলেজের পঠন পঠন বন্ধ রাখার সিন্ধান্ত নেন কলেজের অধ্যাপক এবং অধ্যাপিকারা।
কলেজের পরিস্থিতি একেবারে থমথমে ,কোনো রকম অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে কলেজে পুলিশ পোস্টিং করা হয়েছে।
যদিও এই ঘটনায় উত্তর পাড়া থানার পুলিশ সন্দীপ পাল ও বিজয় সরকার নামে দুজন ছাত্র কে গ্রেফতার করে শ্রীরামপুর আদালতে পাঠিয়েছে।

কলেজের অধ্যক্ষ শ্রীকান্ত সামন্ত জানিয়েছেন কলেজের অধ্যাপকরা পঠন পাঠন বন্ধ রেখেছেন।কিন্তু কলেজের অফিসিয়াল কাজ চলছে।গতকালের ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার শুনেছি।এরা আমাদের কলেজের রেজিস্টারে কোন নাম নেই।এরা প্রত্যেকেই ক্যাসুয়াল ছাত্র।তৃণমূল বিধায়ক ও জেলা সভাপতি আমার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।আশ্বাস দিয়েছেন যাতে এই ধরনের ঘটনা কোন দিন না হয়।

উত্তর পাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের ফোন করে বিষয়টি জানেন এবং আক্রন্ত অধ্যাপক কেও ফোন করেন এবং তাঁর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কেউ এই ঘটনার সাথে জড়িত নয়।যদি কেউ জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে করা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে দুজন ছাত্র গ্রেপ্তার হয়েছে তারা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কেউ নয়।এরা বহিরাগত।২০১৬ সালে কলেজ থেকে পাশ করেছে শুনেছি।

wb_hgl_01_kannagar_college_vis_10007
V_1,2,3
B_1_শিকান্ত সামন্ত(অধ্যক্ষ)
B_2_প্রবীর ঘোষাল(বিধায়ক)
Conclusion:
Last Updated : Jul 25, 2019, 5:41 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.