আরামবাগ, 18 অগস্ট: নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দার (Al-Qaeda) সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের (West Bengal Police) স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (Special Task Force) বা এসটিএফ (STF)-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন আব্দুর রকিব সরকার এবং কাজি আহসানউল্লাহ নামে দুই যুবক (Suspected Al-Qaeda Terrorists Arrest) ৷ এঁদের মধ্যে দ্বিতীয়জন আদতে হুগলির (Hooghly) আরামবাগের (Arambagh) বাসিন্দা ৷ কাজি আহসানউল্লাহকে তাঁর পরিবারের সদস্য এবং প্রতিবেশীরা হাসান নামে ডাকেন ৷ জঙ্গি সন্দেহে তাঁর গ্রেফতারিতে হতবাক পরিচিত সকলেই ৷ তাঁদের কেউ বলছেন, হাসানকে ফাঁসানো হয়েছে ! আবার কারও মতে, হয়তো কোথাও একটা ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে !
কাজি আহসানউল্লাহ ওরফে হাসানদের আরামবাগের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন ইটিভি ভারতের প্রতিনিধি ৷ আহসানউল্লাহর মা ফরিদা বেগমের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা হয় তাঁর ৷ সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে প্রৌঢ়া জানান, কর্মসূত্রে তাঁর স্বামী বর্ধমানে থাকেন ৷ এক সপ্তাহ অন্তর কয়েক দিনের জন্য আরামবাগের বাড়িতে আসেন ৷ তাঁদের তিন ছেলের মধ্যে আহসানউল্লাহ ওরফে হাসানই সকলের বড় ৷ বছর পাঁচেক আগে নিজের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করেন তিনি ৷ তারপর থেকে স্ত্রীকে নিয়ে হাওড়ার বাঁকড়ায় থাকেন আহসানউল্লাহ ৷ বাড়িতে মাঝেমধ্য়ে আসেন ৷
আরও পড়ুন: Al Qaeda Terrorist শাসন থেকে গ্রেফতার আল কায়দার 2 জঙ্গি
ফরিদা মনে করেন, তাঁর ছেলে যদি কোনও অন্যায় করে থাকেন, তাহলে তাঁর অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত ৷ কিন্তু, তাঁর ছেলে যে আদৌ কোনও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন, তা মানতেই পারছেন না ফরিদা ৷ ছেলের গ্রেফতারিতে তিনি হতবাক হয়ে গিয়েছেন ৷
অবাক হয়েছেন হাসানের আত্মীয় ও প্রতিবেশীরাও ৷ কাজি মাতাউল হক নামে এলাকার এক বাসিন্দা জানালেন, তাঁর ধারণা, আহসানউল্লাহকে কোনওভাবে ফাঁসানো হয়েছে ৷ কারণ, তাঁর চেনা হাসান জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে, এটা কিছুতেই মাতাউলের বিশ্বাস হচ্ছে না ৷ একই সুর শোনা গিয়েছে আহসানউল্লাহর আত্মীয় কাজি নাসিরের গলাতেও ৷ তিনি জানান, আহসানউল্লাহর সঙ্গেই বড় হয়েছেন তিনি ৷ একসঙ্গে পড়াশোনা করেছেন, মাঠে খেলেছেন ৷ নাসিরের কখনও মনে হয়নি, তাঁর 'ভাই' এমন কোনও বেআইনি কাজ করতে পারে ৷