ETV Bharat / state

"তাপসী মালিকের আত্মহত্যাকে খুন হিসেবে চালানোর চেষ্টা করে তৃণমূল" - west bengal

কেটে গেছে দশ বছরের বেশি সময় । সিঙ্গুর-জট এখনও খোলেনি । সম্প্রতি বিধানসভায় বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও । এবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুললেন এক বামনেতা । যাঁকে ঘিরে সেসময় সিঙ্গুর আন্দোলন তোলপাড় হয়েছিল । সেই সুহৃদ দত্তের অভিযোগ, তাপসী মালিক হত্যায় তাঁকে ফাঁসানো হয়েছিল । ঘটনাকে রাজনীতির রং দেওয়ার চেষ্টা করেছিল তৃণমূল ।

Surhid Dutta
author img

By

Published : Jul 12, 2019, 3:16 PM IST

Updated : Jul 12, 2019, 8:16 PM IST

সিঙ্গুর, 12 জুলাই : বেশ কিছুদিন অন্তরালে থাকার পর বছর দু'য়েক আগে তাঁকে প্রকাশ্যে দেখা গেছিল । বিতর্ক-অভিযোগ সে সময়েও পিছু ছাড়েনি এক সময়ের সিঙ্গুরের দোর্দণ্ডপ্রতাপ বামনেতা সুহৃদ দত্তের । সেই প্রতাপ-প্রভাব-ক্ষমতা আজ কিছুই নেই বললেই চলে । তবুও সিঙ্গুরে টাটাদের কারখানা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করতে পিছপা হলেন না সুহৃদ । এবার অভিযোগ তুললেন তাপসী মালিকের আত্মহত্যাকে খুন হিসাবে প্রচার করার চেষ্টা করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস । শুধু তাই নয়, সেই ঘটনাকে রাজনীতির রং লাগানোর চেষ্টাও করা হয়েছিল ।

সিঙ্গুর জমি আন্দোলন আর তৃণমূল কংগ্রেস নামটা যেন একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিকভাবে জড়িত । আর CPI(M)-র কথা তো বলতেই হবে । সিঙ্গুর জমি আন্দোলনের সময় আর যে নামটি প্রচারে এসেছিল তা হল তাপসী মালিক ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ড । এই ঘটনায় 2006 সালে অভিযুক্ত হয়েছিলেন তৎকালীন বামনেতা সুহৃদ দত্ত ও দেবু মালিক । তাঁদের দুজনেরই যাবজ্জীবন হয়েছিল । যদিও পরে হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁরা জামিন পান । CBI তাঁদের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেলেও সেই আবেদন নাকচ হয়ে যায় ।

স্বাস্থ্য অনেকটাই ভেঙে গেছে সুহৃদের । মাঝে বেশ কিছুদিন প্রায় গৃহবন্দি ছিলেন । এখন কিছুটা সুস্থ হয়েছেন কিন্তু তাও সেদিনের কথা ভুলতে পারেননি । তাঁর দাবি, তাপসী হত্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে তাঁকে । কারণ তিনিই ছিলেন সিঙ্গুরের চাষি ও টাটাদের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম । এরপরই সেই প্রসঙ্গ তুলে সুহৃদ দত্তের দাবি, "CBI যে চার্জশিট দিয়েছিল তাতে উল্লেখ ছিল তাপসী মালিকের গর্ভপাতের । সেই রিপোর্ট অনুযায়ী সাত-দশদিন আগে কাউকে ধর্ষণ করা হলে সে কোনওভাবেই গর্ভবতী হতে পারে না ।" এরপরই তাঁর আরও দাবি, তাপসীকে যে ধর্ষণ করা হয়েছে সেটাও প্রমাণসাপেক্ষ । তাঁর কথায়, "যেভাবে তাপসীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল তা দেখে সাধারণভাবে মনে হয়েছে সে আত্মহত্যা করেছে ।"

দেখুন ভিডিয়ো

তৃণমূলের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলেও সুহৃদের আশা, সুবিচার পাবেনই । আর তাঁর মৃত্যুর আগেই সেই সুবিচার পেতে চান এই বামনেতা ।

সুহৃদ যখন তৃণমূলের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলছেন তখন কার্যত মুখে কুলুপ তৃণমূলের । সিঙ্গুর জমি আন্দোলন যে দুই তৃণমূল নেতাকে প্রচারের আলোয় এনেছিল সেই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য এবং বেচারাম মান্না সরাসরি কিছু বলতে চাইলেন না । বেচারামের মন্তব্য, "এই বিষয়টি বিচারাধীন । আইন আইনের মতো চলবে । এই বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক নয় ।" সেদিন আন্দোলনে যাঁরা সামনের সারিতে ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম মহাদেব মালিক (অনিচ্ছুক চাষি) । মহাদেবের কথায়, "আমরা জমির জন্য আন্দোলন করেছিলাম । সেসময় পুলিশ ছিল CPI(M)-র । সেই সময় ঘটনার তদন্ত করেছিল CBI । এখানে আর কিছু বলার নেই ।"

আর যে পরিবারকে নিয়ে যাবতীয় বিতর্ক, সেই তাপসী মালিকের বাবা কি বলছেন?

তিনি কিন্তু চুপ । কিন্তু কেন? কার ভয়ে? তৃণমূল-CPI(M)? না অন্যকিছু? উঠে আসছে প্রশ্ন ।

সিঙ্গুর, 12 জুলাই : বেশ কিছুদিন অন্তরালে থাকার পর বছর দু'য়েক আগে তাঁকে প্রকাশ্যে দেখা গেছিল । বিতর্ক-অভিযোগ সে সময়েও পিছু ছাড়েনি এক সময়ের সিঙ্গুরের দোর্দণ্ডপ্রতাপ বামনেতা সুহৃদ দত্তের । সেই প্রতাপ-প্রভাব-ক্ষমতা আজ কিছুই নেই বললেই চলে । তবুও সিঙ্গুরে টাটাদের কারখানা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করতে পিছপা হলেন না সুহৃদ । এবার অভিযোগ তুললেন তাপসী মালিকের আত্মহত্যাকে খুন হিসাবে প্রচার করার চেষ্টা করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস । শুধু তাই নয়, সেই ঘটনাকে রাজনীতির রং লাগানোর চেষ্টাও করা হয়েছিল ।

সিঙ্গুর জমি আন্দোলন আর তৃণমূল কংগ্রেস নামটা যেন একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিকভাবে জড়িত । আর CPI(M)-র কথা তো বলতেই হবে । সিঙ্গুর জমি আন্দোলনের সময় আর যে নামটি প্রচারে এসেছিল তা হল তাপসী মালিক ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ড । এই ঘটনায় 2006 সালে অভিযুক্ত হয়েছিলেন তৎকালীন বামনেতা সুহৃদ দত্ত ও দেবু মালিক । তাঁদের দুজনেরই যাবজ্জীবন হয়েছিল । যদিও পরে হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁরা জামিন পান । CBI তাঁদের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেলেও সেই আবেদন নাকচ হয়ে যায় ।

স্বাস্থ্য অনেকটাই ভেঙে গেছে সুহৃদের । মাঝে বেশ কিছুদিন প্রায় গৃহবন্দি ছিলেন । এখন কিছুটা সুস্থ হয়েছেন কিন্তু তাও সেদিনের কথা ভুলতে পারেননি । তাঁর দাবি, তাপসী হত্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে তাঁকে । কারণ তিনিই ছিলেন সিঙ্গুরের চাষি ও টাটাদের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম । এরপরই সেই প্রসঙ্গ তুলে সুহৃদ দত্তের দাবি, "CBI যে চার্জশিট দিয়েছিল তাতে উল্লেখ ছিল তাপসী মালিকের গর্ভপাতের । সেই রিপোর্ট অনুযায়ী সাত-দশদিন আগে কাউকে ধর্ষণ করা হলে সে কোনওভাবেই গর্ভবতী হতে পারে না ।" এরপরই তাঁর আরও দাবি, তাপসীকে যে ধর্ষণ করা হয়েছে সেটাও প্রমাণসাপেক্ষ । তাঁর কথায়, "যেভাবে তাপসীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল তা দেখে সাধারণভাবে মনে হয়েছে সে আত্মহত্যা করেছে ।"

দেখুন ভিডিয়ো

তৃণমূলের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলেও সুহৃদের আশা, সুবিচার পাবেনই । আর তাঁর মৃত্যুর আগেই সেই সুবিচার পেতে চান এই বামনেতা ।

সুহৃদ যখন তৃণমূলের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলছেন তখন কার্যত মুখে কুলুপ তৃণমূলের । সিঙ্গুর জমি আন্দোলন যে দুই তৃণমূল নেতাকে প্রচারের আলোয় এনেছিল সেই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য এবং বেচারাম মান্না সরাসরি কিছু বলতে চাইলেন না । বেচারামের মন্তব্য, "এই বিষয়টি বিচারাধীন । আইন আইনের মতো চলবে । এই বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক নয় ।" সেদিন আন্দোলনে যাঁরা সামনের সারিতে ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম মহাদেব মালিক (অনিচ্ছুক চাষি) । মহাদেবের কথায়, "আমরা জমির জন্য আন্দোলন করেছিলাম । সেসময় পুলিশ ছিল CPI(M)-র । সেই সময় ঘটনার তদন্ত করেছিল CBI । এখানে আর কিছু বলার নেই ।"

আর যে পরিবারকে নিয়ে যাবতীয় বিতর্ক, সেই তাপসী মালিকের বাবা কি বলছেন?

তিনি কিন্তু চুপ । কিন্তু কেন? কার ভয়ে? তৃণমূল-CPI(M)? না অন্যকিছু? উঠে আসছে প্রশ্ন ।

Intro:তাপসী মালিক খুনে মূল অভিযুক্ত করে টাটা কারখানাটাকে বন্ধ করার ব্যবস্থা।তৃণমূলের এই অভিসন্ধি প্রকাশ্যে আনলেন সিঙ্গুরে CPIM নেতা সুহৃদ দত্ত।তার ধারণা তাপসী মালিকের আত্মহত্যাকে খুন আর রাজনীতির রঙ লাগিয়ে টাটা কারখানাটাকে বন্ধ করা ব্যবস্থা করেছিল তৃণমূল।যার মধ্যে দিয়েই তৃণমূল ক্ষমতা আসে।এর সঙ্গে অন্যান্য রাজনৈতিক দল গুলিও কারখানা বন্ধের কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছিল।বর্তমানে সিঙ্গুরে শিল্প হওয়া কঠিন ব্যাপার বলে দাবি করেন সুহৃদ বাবু।সুপ্রিম কোর্টের রায়ে জমি চাষ যোগ্য করে চাষিদের হাতে ফেরত দেওয়া কথা ছিল।সামান্য কিছু জমি যেখানে কারখানা ঢালাই নেই সেখানে চাষ হচ্ছে।কিন্তু বাকি জায়গায় জলও অন্য পরিষেবার ব্যবস্থা নেই।এই জমির কাগজ পত্র ও ঠিক নেই।যারা শিল্প করবে তারা এই জমি কিনবে কি করে সেটা ও বড় প্রশ্ন।জমি নাহলে তো শিল্প হবে না।এরপরও সিঙ্গুরে শিল্প হলে ভারতবর্ষের আইন পাল্টাতে হবে।বিজেপি আছে বলে তো শিল্প হয়ে যাবে না।যদি দুবছর পর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি আসে।তখন সিঙ্গুরে শিল্প হবে।এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক স্লোগান।রাজনীতির মধ্যে একটা মুনাফা নিচ্ছে বিজেপি।
যখন টাটা এখানে কারখানা করছিল।সেই তুলনায় সিঙ্গুরে জমি দাম এখন 25 গুন বেড়েছে।টাটা কর্তৃপক্ষ যে ঘা খেয়েছে।সে জায়গায় দাঁড়িয়ে এখানে আবার কারখানা করবে বলে মনে হয় না।তার মতে সিঙ্গুরের ভবিষ্যত খুবই অন্ধকার।সুহৃদ বাবুর কথায় অনুযায়ী টাটা তার সঙ্গে কথা হয়েছিল।তিনি বলেন পুনে ছাড়া এখানেই একমাত্র যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানা হত।বামফ্রন্ট সরকার এই টাটা কারখানায় উৎসাহী হয়েছিল একটাই কারণ।ন্যানো গাড়ি দেশীয় প্রযুক্তি দিয়ে বিদেশি মালিকানা ছাড়া এই কারখানা হচ্ছিল।গুজরাটে ন্যানো কারখানা বন্ধের কারণ সেখানে নিজেস্ব টেকনিক্যাল পার্শন কম।দুবছর পর যেহেতু গুজরাটে কারখানা তৈরি হয়েছিল।সেহেতু এই সুযোগে জার্মান ও ইতালি বাজারে ছোটো গাড়ি বাজারে এনে ফেলেছে।আর বাজার অনুযায়ী যে আগে ছোটো গাড়ি কারখানা করবে সেই বাজার ধরবে।স্বাভাবিক ভাবেই ন্যানোর ভবিষ্যত তাই উজ্জ্বল হতে পারেনি।
সুহৃদ দত্ত আরো বলেন আমার মাধ্যমেই সিঙ্গুরের জমি চাষীদের কাছে নেওয়া ও টাটাদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ থাকার কারণেই।আমাকে তাপসী হত্যা মামলা ফাঁসিয়ে এখান থেকে বিরত করতে পারলে কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে।এটা বিরোধী পক্ষ জানত।
CBI যে চার্জশিট রিপোর্ট দেয় সেই ফরেনসিক রিপোর্টে তাপসী মালিকের আগেই গর্ভপাত হয়ে গেছিল।সেই রিপোর্ট অনুযায়ী সাতদিন আগে বা দশ আগে ধর্ষিতা হলে সে নিশ্চয়ই সেই সময় গর্ভবতী হতে পারে না।তার মানে সে গর্ভবতী হয়েছে অনেকদিন আগেই।অন্য কারুর দ্বারা।দ্বিতীয়ত্ব ধর্ষিতা হলে সেটাও প্রমান সাপেক্ষ।এটা CBI কেই প্রমান করতে হত।মেডিক্যাল কলেজের পোস্টমর্টেম রিপোর্টে তাপসী মালিকের জিহ্বা বেরিয়ে আছে।সাধারণ ভাবে আমার ধারণা গলায় দড়ি দিলে বা কিছু দিয়ে আত্মহত্যা করলে জিহ্ব বেরিয়ে যায়।তারপর থেকেই কিছু প্রমান করতে পারেনি CBI।অভিযুক্ত এই CPIM নেতা বলেন CBI সুপ্রিম কোর্টে আমাদের জামিন খারিজ জন্য আবেদন করেন।কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট বলে দেন এই কেসের কোন মেরিট নেই।এরপর থেকে প্রায় দশ বছরের বেশি হয়ে গেল CBI কেসে হাজিরা দিচ্ছে না।আবার ও চেষ্টা করছি CBI কোর্টে হাজিরা দিক।ফরেনসিক রিপোর্টের পর CBI আর হাজিরা দিতে চাইছে না বলে অভিযোগ সুহৃদ দত্তের।যাই হোক আমি চাই যাতে আমরা পক্ষেই যাক বা বিপক্ষে।আমরা মৃত্যুর আগে মামলাটার নিষ্পত্তি হোক।
উল্লেখ্য 2006 সালে তাপসী মালিক খুনে চন্দননগর আদালত মূল অভিযুক্ত করা হয় CPIM নেতা সুহৃদ দত্ত ও দেবু মালিক।তাদের দুজনকেই যাবজ্জীবন জেল হেফাজতের নির্দেশ বিচারক।পরে হাই কোর্ট এ জামিনে ছাড়া পায় দুজনেই।CBI আবার যখন সুপ্রিম কোর্টে জামিন খারিজের আবেন করলে।সুপ্রিম তা না মঞ্জুর করে দেয়।

Body:WB_HGL_10JUL_SINGUR CLOSE CHAPTER SUHRID DATTA_7203418Conclusion:
Last Updated : Jul 12, 2019, 8:16 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.