ETV Bharat / state

বিক্ষোভ নয়, ভোটবাক্সে নয়া আইনের বিরুদ্ধে সরবের বার্তা পরিবহণ মন্ত্রীর

Centre New Transport Law: কেন্দ্রের নয়া পরিবহণ আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের জেরে হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ ৷ তাই বিক্ষোভ না করে ভোটবাক্সে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হতে বললেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 1, 2024, 6:40 PM IST

Truck drivers protest
ট্রাকচালকদের বিক্ষোভ
কেন্দ্রের নয়া পরিবহণ আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হুগলিতে

কোন্নগর, 1 জানুয়ারি: পশ্চিমবঙ্গ-সহ অন্যান্য রাজ্যে কেন্দ্রের নয়া পরিবহণ আইনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ট্রাকচালকরা ৷ দিকে দিকে চলছে পথ অবরোধ ৷ একই পরিস্থিতি হুগলির জাতীয় সড়কেও ৷ সারি সারি দাঁড়িয়ে ট্রাক ৷ তবে কেন্দ্রের নয়া পরিবহণ আইনের বিরোধীতা করলেও ট্রাকচালকদের বিক্ষোভকে সমর্থন জানালেন না রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী ৷ তাঁর দাবি, কেন্দ্র সরকার কালো আইন এনেছে । এর প্রতিবাদে রাস্তায় বিক্ষোভ না করে কেন্দ্রের বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট বাক্সে ফেলা উচিত ।

তিনি বলেন, "সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার যে বিল এনেছে আমরা তাঁর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম । আমরা বলেছিলাম এই আইন লাগু হলে দেশে পুলিশিরাজ কায়েম হবে এবং দেশের মানুষের উপর নিপীড়নের কারণ হয়ে উঠবে এই আইন । এই আইনের আওতায় পথ দুর্ঘটনায় যদি কারোর মৃত্যু হয় তাহলে ট্রাকচালকদের 10 বছর জেল ও 7 থেকে 10 লক্ষ টাকা জরিমানা করা হবে । তার জন্যই দেশজুড়ে ট্রাকচালকরা পথ অবরোধ করছে । আমি বলব, পথ অবরোধ করে প্রতিবাদ জানালে সাধারণ মানুষ হয়রানি হচ্ছে । প্রতিবাদ জানাতে হলে ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে জানান । যারা এমন স্বৈরাচারী কালো আইন আনছে তাদের নির্বাচনের মাধ্যমে পতন ঘটাতে হবে । আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি । আইন কখনও নিপীড়নের হাতিয়ার হওয়া উচিত নয় ।"

কোন্নগরের বিজেপি নেতা প্রণয় রায় বলেন, "পরিবহণ আইন এখনও প্রণয়ন হয়নি । তার আগে তৃণমূল মানুষকে উস্কে এই ধরনের বিক্ষোভের ঘটনা ঘটাচ্ছে । পরিবহণ আইন গাড়ি ও মালিকের উপর হয় । যদি কোনও সমস্যা থাকে তা আলোচনা সাপেক্ষে সমাধান হওয়া উচিত । এইভাবে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে নয় । তৃণমূল লোকসভা রাজ্যসভা থেকে বেরিয়ে না গিয়ে আলোচনা করতে পারত ।"

রাজ্য ট্রাক অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রবীর চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, যে আইন নিয়ে বিক্ষোভ হচ্ছে সেটা সঠিকভাবে পরিষ্কারই নয় । কেন্দ্রে অল ইন্ডিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট কংগ্রেস সংগঠন আছে । এভাবে বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটিয়ে কোনও লাভ নেই । এই আইনের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করছে অ্যাসোসিয়েশন । যদি তাও না মানা হয় সারা ভারতবর্ষ স্তব্ধ হয়ে যাবে ।

কেন্দ্রের নয়া পরিবহণ আইন নিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় রবিবার হুগলির জাতীয় সড়কে । ট্রাকচালকদের বিক্ষোভে অবরুদ্ধ হয়ে থাকে কলকাতা বর্ধমানগামী জাতীয় সড়ক । যার জেরে ভোগান্তি মুখে পড়তে হয় সাধারণযাত্রী থেকে অ্যাম্বুলেন্স ও মালবাহী গাড়িকে । অবরোধ তুলতে গিয়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ । পালটা ইঁট বৃষ্টি শুরু করে অবরোধকারীরা । দীর্ঘক্ষণ জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে । এতে এক পুলিশ কর্মীও আহত হন । পরে কয়েকজন অবরোধকারীদের গ্রেফতার করে পুলিশ ।

আরও পড়ুন:

  1. কেন্দ্রের নয়া পরিবহণ আইনের প্রতিবাদে জাতীয় সড়কে অবরোধ ট্রাকচালকদের, লাঠিচার্জ পুলিশের
  2. গাড়ি জরিমানায় কয়েক হাজার কোটি টাকা মুকুবের সিদ্ধান্ত পরিবহণ দফতরের
  3. অ্যাপ ক্যাবে অ্যাগ্রিগেটর আইন প্রণয়ন, আগামী সপ্তাহে বৈঠকে পরিবহণ মন্ত্রী

কেন্দ্রের নয়া পরিবহণ আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হুগলিতে

কোন্নগর, 1 জানুয়ারি: পশ্চিমবঙ্গ-সহ অন্যান্য রাজ্যে কেন্দ্রের নয়া পরিবহণ আইনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ট্রাকচালকরা ৷ দিকে দিকে চলছে পথ অবরোধ ৷ একই পরিস্থিতি হুগলির জাতীয় সড়কেও ৷ সারি সারি দাঁড়িয়ে ট্রাক ৷ তবে কেন্দ্রের নয়া পরিবহণ আইনের বিরোধীতা করলেও ট্রাকচালকদের বিক্ষোভকে সমর্থন জানালেন না রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী ৷ তাঁর দাবি, কেন্দ্র সরকার কালো আইন এনেছে । এর প্রতিবাদে রাস্তায় বিক্ষোভ না করে কেন্দ্রের বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট বাক্সে ফেলা উচিত ।

তিনি বলেন, "সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার যে বিল এনেছে আমরা তাঁর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম । আমরা বলেছিলাম এই আইন লাগু হলে দেশে পুলিশিরাজ কায়েম হবে এবং দেশের মানুষের উপর নিপীড়নের কারণ হয়ে উঠবে এই আইন । এই আইনের আওতায় পথ দুর্ঘটনায় যদি কারোর মৃত্যু হয় তাহলে ট্রাকচালকদের 10 বছর জেল ও 7 থেকে 10 লক্ষ টাকা জরিমানা করা হবে । তার জন্যই দেশজুড়ে ট্রাকচালকরা পথ অবরোধ করছে । আমি বলব, পথ অবরোধ করে প্রতিবাদ জানালে সাধারণ মানুষ হয়রানি হচ্ছে । প্রতিবাদ জানাতে হলে ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে জানান । যারা এমন স্বৈরাচারী কালো আইন আনছে তাদের নির্বাচনের মাধ্যমে পতন ঘটাতে হবে । আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি । আইন কখনও নিপীড়নের হাতিয়ার হওয়া উচিত নয় ।"

কোন্নগরের বিজেপি নেতা প্রণয় রায় বলেন, "পরিবহণ আইন এখনও প্রণয়ন হয়নি । তার আগে তৃণমূল মানুষকে উস্কে এই ধরনের বিক্ষোভের ঘটনা ঘটাচ্ছে । পরিবহণ আইন গাড়ি ও মালিকের উপর হয় । যদি কোনও সমস্যা থাকে তা আলোচনা সাপেক্ষে সমাধান হওয়া উচিত । এইভাবে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে নয় । তৃণমূল লোকসভা রাজ্যসভা থেকে বেরিয়ে না গিয়ে আলোচনা করতে পারত ।"

রাজ্য ট্রাক অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রবীর চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, যে আইন নিয়ে বিক্ষোভ হচ্ছে সেটা সঠিকভাবে পরিষ্কারই নয় । কেন্দ্রে অল ইন্ডিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট কংগ্রেস সংগঠন আছে । এভাবে বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটিয়ে কোনও লাভ নেই । এই আইনের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করছে অ্যাসোসিয়েশন । যদি তাও না মানা হয় সারা ভারতবর্ষ স্তব্ধ হয়ে যাবে ।

কেন্দ্রের নয়া পরিবহণ আইন নিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় রবিবার হুগলির জাতীয় সড়কে । ট্রাকচালকদের বিক্ষোভে অবরুদ্ধ হয়ে থাকে কলকাতা বর্ধমানগামী জাতীয় সড়ক । যার জেরে ভোগান্তি মুখে পড়তে হয় সাধারণযাত্রী থেকে অ্যাম্বুলেন্স ও মালবাহী গাড়িকে । অবরোধ তুলতে গিয়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ । পালটা ইঁট বৃষ্টি শুরু করে অবরোধকারীরা । দীর্ঘক্ষণ জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে । এতে এক পুলিশ কর্মীও আহত হন । পরে কয়েকজন অবরোধকারীদের গ্রেফতার করে পুলিশ ।

আরও পড়ুন:

  1. কেন্দ্রের নয়া পরিবহণ আইনের প্রতিবাদে জাতীয় সড়কে অবরোধ ট্রাকচালকদের, লাঠিচার্জ পুলিশের
  2. গাড়ি জরিমানায় কয়েক হাজার কোটি টাকা মুকুবের সিদ্ধান্ত পরিবহণ দফতরের
  3. অ্যাপ ক্যাবে অ্যাগ্রিগেটর আইন প্রণয়ন, আগামী সপ্তাহে বৈঠকে পরিবহণ মন্ত্রী
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.