ETV Bharat / state

"চাই কারখানা" ফের পথে নামলেন সিঙ্গুরের কৃষকরা

নিজেদের দাবি আদায়ে পথে নামলেন সিঙ্গুরের কৃষকরা । প্রসঙ্গ সেই কারখানা কেন্দ্রীক। তবে এ বার কারখানার বিরোধিতায় নয়, কারখানার জন্য । আরও একটা বৈপরিত্য আছে। সে বার কারখানার বিরোধিতায় পথে নেমেছিল তৃণমূল, এ বার পথে নামল BJP।

author img

By

Published : May 24, 2019, 10:23 PM IST

সিঙ্গুর

সিঙ্গুর, 24 মে : সিঙ্গুরে উলটপুরাণ। নিজেদের দাবি আদায়ে পথে নামলেন সিঙ্গুরের কৃষকরা । প্রসঙ্গ সেই কারখানা কেন্দ্রীক। তবে এ বার কারখানার বিরোধিতায় নয়, কারখানার জন্য । আরও একটা বৈপরিত্য আছে। সে বার কারখানার বিরোধিতায় পথে নেমেছিল তৃণমূল, এ বার পথে নামল BJP।

লোকসভা ভোটে হুগলি থেকে জয়ী হয়েছেন BJP-র লকেট চট্টোপাধ্যায় । অনেকটা অপ্রত্যাশিত এই জয়ের পরই সিঙ্গুর প্রসঙ্গে মুখ খুললেন লকেট । বললেন কারখানার কথাও । লকেটের কথায়, ''আমি চাই সিঙ্গুরে শিল্প ফিরে আসুক । '' আর লকেট যে দিন সিঙ্গুর ইশুতে মুখ খুললেন, সে দিনই কারখানার দাবিতে পথে নামলেন BJP-র কিষাণ মোর্চার সদস্যরা । সঙ্গে ছিলেন জমিদানে ইচ্ছুক কৃষকরাও ।

বাম আমলে সিঙ্গুরে TATA দের কারখানা করা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি । তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পথে নেমে আন্দোলনকে চরম মাত্রা দিয়েছিলেন মমতা । সে দিনের বিরোধী নেত্রী মমতা আজকের মুখ্যমন্ত্রী । প্রথম দফায় ক্ষমতায় আসার পরই সিঙ্গুর নিয়ে দেওয়া তাঁর কথা রাখেন মমতা । অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফেরত দেন । কিন্তু, ততদিনে কিছুটা দেরি হয়ে গেছে । জমির চরিত্র অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেছে । কারণ, ততক্ষণে সিঙ্গুরের জমিতে কারখানায় অনেকটাই কাজ তৈরি হয়ে গেছিল । ফলে জমি ফেরত এলেও তাতে চাষ করা অনেক ক্ষেত্রেই কঠিন ছিল ।

এভাবেই কেটে গিয়েছে প্রায় 10টি বছর । এখনও অথৈ জলে সিঙ্গুরের অনেক কৃষক । চাষ করতে ও জমি ফেরত পেতে বহু সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়-হচ্ছে সিঙ্গুরের কৃষকদের । এমনই একজন প্রশান্ত সাঁতরা । তাঁর কথায়, " আড়াই বিঘা জমি শিল্পের জন্য দিয়েছিলাম। এখানে কারখানা হল না। চাষাবাদও হল না। '' রাজনৈতিক মহলের অনুমান, সেই ক্ষোভকেই কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে BJP ।

আর যারা সিঙ্গুর আন্দোলন করে ক্ষমতার অলিন্দে এসেছিল, সেই তৃণমূল কী বলছে ? সিঙ্গুর আন্দোলন যাঁকে পরিচিতি দিয়েছিল, সেই বেচারাম মান্নার দাবি, টিভিতে মুখ দেখানোর জন্য এমন সব কথা বলা হচ্ছে । তাঁর প্রশ্ন, এখানে চাষ হচ্ছে, ফলে কারখানার প্রসঙ্গ আসছে কোথা থেকে? তিনি আরও বলেন, ''এটা কোনও কৃষকের আন্দোলন নয় । তখন যাঁরা CPM করত, এখন তাঁরাই BJP হয়েছে । এসব তাঁদের কাজ । '' অন্যদিকে, শিল্প বিকাশ সমিতির সভাপতি উদয়ন দাস বলেন, ''প্রধানমন্ত্রী নিজে এখানে কারখানা করার উদ্যোগ নিলে আমরা পাশে থাকব । '' একইসঙ্গে, সিঙ্গুরে পড়ে থাকা অনেক ফাঁকা জমি নেয়ে কটাক্ষও করতে শোনা যায় তাঁকে ।

সিঙ্গুর, 24 মে : সিঙ্গুরে উলটপুরাণ। নিজেদের দাবি আদায়ে পথে নামলেন সিঙ্গুরের কৃষকরা । প্রসঙ্গ সেই কারখানা কেন্দ্রীক। তবে এ বার কারখানার বিরোধিতায় নয়, কারখানার জন্য । আরও একটা বৈপরিত্য আছে। সে বার কারখানার বিরোধিতায় পথে নেমেছিল তৃণমূল, এ বার পথে নামল BJP।

লোকসভা ভোটে হুগলি থেকে জয়ী হয়েছেন BJP-র লকেট চট্টোপাধ্যায় । অনেকটা অপ্রত্যাশিত এই জয়ের পরই সিঙ্গুর প্রসঙ্গে মুখ খুললেন লকেট । বললেন কারখানার কথাও । লকেটের কথায়, ''আমি চাই সিঙ্গুরে শিল্প ফিরে আসুক । '' আর লকেট যে দিন সিঙ্গুর ইশুতে মুখ খুললেন, সে দিনই কারখানার দাবিতে পথে নামলেন BJP-র কিষাণ মোর্চার সদস্যরা । সঙ্গে ছিলেন জমিদানে ইচ্ছুক কৃষকরাও ।

বাম আমলে সিঙ্গুরে TATA দের কারখানা করা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি । তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পথে নেমে আন্দোলনকে চরম মাত্রা দিয়েছিলেন মমতা । সে দিনের বিরোধী নেত্রী মমতা আজকের মুখ্যমন্ত্রী । প্রথম দফায় ক্ষমতায় আসার পরই সিঙ্গুর নিয়ে দেওয়া তাঁর কথা রাখেন মমতা । অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফেরত দেন । কিন্তু, ততদিনে কিছুটা দেরি হয়ে গেছে । জমির চরিত্র অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেছে । কারণ, ততক্ষণে সিঙ্গুরের জমিতে কারখানায় অনেকটাই কাজ তৈরি হয়ে গেছিল । ফলে জমি ফেরত এলেও তাতে চাষ করা অনেক ক্ষেত্রেই কঠিন ছিল ।

এভাবেই কেটে গিয়েছে প্রায় 10টি বছর । এখনও অথৈ জলে সিঙ্গুরের অনেক কৃষক । চাষ করতে ও জমি ফেরত পেতে বহু সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়-হচ্ছে সিঙ্গুরের কৃষকদের । এমনই একজন প্রশান্ত সাঁতরা । তাঁর কথায়, " আড়াই বিঘা জমি শিল্পের জন্য দিয়েছিলাম। এখানে কারখানা হল না। চাষাবাদও হল না। '' রাজনৈতিক মহলের অনুমান, সেই ক্ষোভকেই কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে BJP ।

আর যারা সিঙ্গুর আন্দোলন করে ক্ষমতার অলিন্দে এসেছিল, সেই তৃণমূল কী বলছে ? সিঙ্গুর আন্দোলন যাঁকে পরিচিতি দিয়েছিল, সেই বেচারাম মান্নার দাবি, টিভিতে মুখ দেখানোর জন্য এমন সব কথা বলা হচ্ছে । তাঁর প্রশ্ন, এখানে চাষ হচ্ছে, ফলে কারখানার প্রসঙ্গ আসছে কোথা থেকে? তিনি আরও বলেন, ''এটা কোনও কৃষকের আন্দোলন নয় । তখন যাঁরা CPM করত, এখন তাঁরাই BJP হয়েছে । এসব তাঁদের কাজ । '' অন্যদিকে, শিল্প বিকাশ সমিতির সভাপতি উদয়ন দাস বলেন, ''প্রধানমন্ত্রী নিজে এখানে কারখানা করার উদ্যোগ নিলে আমরা পাশে থাকব । '' একইসঙ্গে, সিঙ্গুরে পড়ে থাকা অনেক ফাঁকা জমি নেয়ে কটাক্ষও করতে শোনা যায় তাঁকে ।

Intro:হুগলিতে ভোটে জয়ের পরই বিজেপির উপর হামলা ।পাল্টা তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাঙচুর।ঘটনাটি সিঙ্গুরের বড়ায়।গতকাল রাতে সিঙ্গুরের বড়ায় রাস্তার উপর বিজেপি সমর্থকরা উল্লাস করছিল।তা নিয়ে স্থানীয় তৃনমূল সমর্থকদের সঙ্গে বচসা থেকে মারামারি হয়।তাতে দুজন বিজেপি সমর্থক আহত হন। সোমনাথ দে কে সহ বিজেপির বেশ কয়েজন শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।।ঘটনায় সোমনাথের কাকাও আহত হন।এরপরই তৃনমূলের অফিস ভাঙচুর করা হয়।বড় অশান্তি যাতে না হয় সেকারনে এলাকায় টহল দিচ্ছে বড়া বিটের পুলিশ। দাবী মদ্যপ অবস্থায় কয়েকজনের সঙ্গে মারপিট হয়েছে।তবে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
Body:আহত সোমনাথের অভিযোগ বিজেপির লকেট চ্যাটার্জী জিতে গেছে বলেই আমাদের মারধর করে ।আমরা বাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
তৃণমূলের তরফে হুগলির জেলা সহ সভাপতি প্রবীর ঘোষাল বলেন বিজেপি জিতেই আমাদের পার্টি অফিস ভাঙচুর করেছে।হুগলি বড়া, চুঁচুড়া সহ বেশ কয়েক জায়গায় আমাদের উপর হামলা হচ্ছে।কয়েক জন আহত ও হয়েছে।আমরা আমাদের কর্মীদের বলেছি শান্ত থাকার জন্য।
বিজেপির হুগলি জেলার সাংগঠনিক সভাপতি সুবীর নাগ বলেন সিঙ্গুর বড়ায় মাতাল দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়।তারা আমাদের বিজেপি কেউ নয়।ভারতীয় জনতা পার্টি কর্মীরা কেউ অন্য পার্টি অফিসের উপর হামলা করে না।কর্মীদের উদ্দেশে বলেন জয়ের উল্লাসে যেন কারুর ক্ষতি না হয়।Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.