চন্দননগর, 23 মার্চ: চন্দননগরের প্রমোটিং ব্যবসায় ডিআইপি (DIP Developer)ডেভলপারের সঙ্গে সরাসরি শান্তনু ও কালীঘাটের কাকুর যোগ রয়েছে। প্রোমোটিং ব্যবসার অ্যাকাউন্ট থেকে একাধিক লেনদেনেই তা পরিষ্কার। ইভান কন্ট্রেড কোম্পানির নামেই লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেনের অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর এই তথ্য উঠে আসতেই চক্ষু চড়কগাছ সকলের।
শান্তনু গোটা পরিবারের নামে কোম্পানি খুলে কোটি কোটি টাকার আর্থিক লেনদেন করেছেন। নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত শান্তনু ও তাঁর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এবার যোগসাজশ পাওয়া গিয়েছে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে 'কালিঘাটের কাকু'র (Priyanka link With Kalighat kaku) ৷ ইডি-র হাতে শান্তনু গ্রেফতারের পরই উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য ৷
কয়েকদিন আগেই শান্তনুর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কার নামে একটি প্রোমোটিং ব্যবসার খোঁজ পেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা ৷ তাতে চন্দননগরে প্রোমোটার ইন্দ্রনীল চৌধুরীর নাম উঠে এসেছে। ব্যবসায়ী অংশীদার বলে দাবি করলেও শান্তনু ও কাকুর ব্যাপারে তিনি লুকিয়ে যান বলে অভিযোগ। ইন্দ্রনীলবাবু জানিয়েছিলেন, চন্দননগরে সত্যপীড়তলায় বহুতল নির্মাণ করছে ডিআইপি ডেভলপার সংস্থা। সেখানে নাম রয়েছে শান্তনুর স্ত্রী'র। ব্যবসায়িক ভিত্তিতে এই আর্থিক লেনদেন হয়েছে। তাছাড়া আর কোনও সম্পর্ক ছিল না ৷ কিন্তু বৃহস্পতিবার নতুন করে আরও কিছু তথ্য উঠে আসে ইডি-র হাতে। দেখা গিয়েছে, ডিআইপি ডেভলপাররের ব্যালেন্স শিটে, কালিঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র চল্লিশ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন।
96 লক্ষ টাকার ব্যালেন্স শিটে দেখা গিয়েছে, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে দশ লক্ষ টাকা লোন দেওয়া হয়েছে। প্রিয়াঙ্কার ছেলের নামে থাকা সংস্থা, ইভান কনট্রেডকে 40 লাখ টাকা লোন দিয়েছিলেন কালিঘাটের কাকু ৷ কিন্তু শান্তনু ও তাঁর ছেলের কোম্পানীকে কেন তিনি লোন দিয়েছিলেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন ৷ তবে কী ঘুরপথে নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা চলেছে, তদন্তে ইডি ? কোম্পানিতে আরও টাকা বিনিয়োগ হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে ইডি-র তরফে ৷ দাবি, চন্দননগরের ইন্দ্রনীল চৌধুরী ও জাঙ্গিপাড়ার দিবাকর মুখোপাধ্যায়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই আসল ঘটনা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের নিশানায় সুজনের স্ত্রীর চাকরি, পাল্টা জবাব সিপিএম নেতার
অপরদিকে 'কালিঘাটের কাকু'র নাম উঠে আসতেই, তিনি কুন্তল-শান্তনুকে চিনতে অস্বীকার করেন ৷ অথচ ব্যালেন্স শিটে ধরা পড়েছে, শান্তনুর স্ত্রীর সংস্থাতেই টাকা বিনিয়োগ করেছেন সুজয় ভদ্র! কিন্তু কেন কলকাতা ছেড়ে এত দূরে সম্পত্তি কেনার দরকার কাকুর সেই দিকে নজর ইডি-র। ডিআইপি ডেভালপার সংস্থার অংশীদার ইন্দ্রনীল চৌধুরী জানিয়েছিলেন, তাঁদের তিনজনের সমান বিনিয়োগ রয়েছে সত্যপীরতলার প্রজেক্টে। 'কালিঘাটের কাকু'র বিনিয়োগ প্রসঙ্গে ইন্দ্রনীল জানিয়েছেন, ওই প্রজেক্টে দোকান কিনবেন বলে অগ্রিম টাকা দিয়েছিলেন তিনি। ক্যামেরার সামনে না এলেও ইডি-কে সবরকমভাবে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন ইন্দ্রনীল চৌধুরী ৷