বলাগড়, 25 এপ্রিল: বেপরোয়া গতির বলি 3, আহত আরও 1 জন ৷ মারুতি গাড়ি ও বাইকের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে বছর দশেকের এক নাবালিকার ৷ নাম ঋত্বিকা দাস ৷ এছাড়াও পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ কেড়েছে গণেশ দাস (60) ও সুজয় দাস (32) নামের এক ব্যক্তির। গণেশ দাস ও ঋত্বিকার বাড়ি খামারগাছির পানিখোলা ও রুকেশপুরে। সুজয় দায়ের বাড়ি কুন্তীঘাটের নয়া সরাইয়ে।
মঙ্গলবার দুপুরে বেলঘরিয়ার থেকে একটি মারুতি গাড়ি নিয়ে কালনা যাচ্ছিলেন বিপ্লব কর্মকার। বলাগড়ের বোড়াল এসটিকেকে রোডে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বাইককে ধাক্কা মারেন। তারপর আরও একটি বাইককে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলে তিনজনেই মারা যান। মারুতি তথা চারচাকা গাড়ির ড্রাইভার বিপ্লব-সহ আহত হয় আরও দু'জন। দু'টি বাইক বলাগড়ের দিকে যাচ্ছিল। দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারা আহতদের উদ্ধার করে জিরাট হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন ৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মারুতি গাড়িটি প্রচণ্ড গতিতে যাচ্ছিল। প্রথমে এক বাইক আরোহীকে ধাক্কা মারে ৷ তারপর আরও একটি বাইক আরোহীকে ধাক্কা মারে ৷ গাড়ির ধাক্কায় আহতরা ছিটকে অনেকটা দূরে গিয়ে পড়েন। স্থানীয়রাই পুলিশে খবর দেন ৷ পুলিশ দুর্ঘটনাস্থলে এসে ঘাতক মারুতি গাড়িটিকে আটক করেছে ৷
আরও পড়ুন: তিলজলায় তেলের ট্যাঙ্কারে পড়ে মৃত্যু দুই শ্রমিকের
প্রসঙ্গত, অন্যদিকে আজ বহরমপুরে স্কুলে যাওয়ার পথে পথ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন 15 জন শিশু-সহ স্কুলগাড়ির চালক। মঙ্গলবার 10 নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর তগানার আখের মিল এলাকায় জাতীয় সড়কে। রামকৃষ্ণ মিশন স্কুলের পড়ুয়াবোঝায় একটি ম্যাজিক গাড়িকে আখের মিল এলাকায় জাতীয় সড়কের ওপর একটি লরি ধাক্কা মারে। স্থানীয়দের তৎপরতায় ও উলটোদিক থেকে আসা সরকারি বাসের সাহায্যে সমস্ত ছাত্র এবং চালককে বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও চালক-সহ তিনজন ছাত্রের গুরুতর আহত বলে জানা গিয়েছে। ঘাতক লরিটি পলাতক। কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি ৷