ETV Bharat / state

লকডাউনে মিষ্টির দোকানে "রেড", চুরির অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধেই - Hooghly news

চন্দননগরের যুগিপুকুরে মিষ্টির দোকানে অভিযান চালাতে গিয়ে চুরির অভিযোগ উঠল খোদ পুলিশের বিরুদ্ধে ।

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী
author img

By

Published : Apr 8, 2020, 1:19 PM IST

চন্দননগর, 8 এপ্রিল : মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়েই তড়িঘড়ি ছানা-দুধ জোগাড় করে মিষ্টি বানানো শুরু করে দিয়েছিলেন চন্দননগরের ব্যবসায়ী । আগের দিন রাত থেকেই চলছিল মিষ্টির তৈরির কাজ । এদিকে হঠাৎই দোকানে হানা দেয় পুলিশ । প্রথমে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করে । অভিযোগ, দোকানের সমস্ত মিষ্টি, ঘি নিয়ে চলে যায় পুলিশ । নিয়ে যায় দোকানে রাখা ঠান্ডা পানীয়ও । চন্দননগর যুগিপুকুরের ঘটনা । ইতিমধ্যেই পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ব্যবসায়ী ।

লকডাউনের জেরে চন্দননগরের মিষ্টির দোকান বন্ধ ছিল এক সপ্তাহ । ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন দুধ-ছানা ব্যবসায়ী থেকে মিষ্টি দোকানিরা । এর মাঝে 31 মার্চ থেকে মিষ্টির দোকান কয়েক ঘণ্টার জন্য খোলা থাকবে বলে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইমতো 30 তারিখ রাতে চন্দননগর যুগিপুকুরের মিষ্টির কারখানায় কাজ শুরু করেছিলেন খোকন সাহা । অভিযোগ, সেই রাতেই দোকানে হানা দেয় পুলিশ । পলিথিনে করে নিজেরাই সব মিষ্টি তুলে নিয়ে যায় থানায়। পাশাপাশি একজন কর্মীকে থানায় নিয়ে গিয়ে রাত পর্যন্ত হেনস্থাও করা হয়।

এবিষয়ে ব্যবসায়ী খোকন সাহা বলেন, "মিষ্টির দোকান খোলার নির্দেশ পাওয়ায় আমরা পাড়া থেকে দুধ নিয়ে মিষ্টি তৈরি করছিলাম। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ পুলিশ এসে তাণ্ডব চালায়। লুটপাট করে নিয়ে যায় সব মিষ্টি, ঘি, ঠান্ডা পানীয় । পরে এক কর্মীকেও থানায় নিয়ে যাওয়া হয় । রাতে ওই কর্মীকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসি। আমার কাছ থেকে একটা মুচলেকাও লিখিয়ে নেয়। CCTV ফুটেজ় নিতে পারছিলাম না। তাই এত দেরি হল অভিযোগ করতে। গতকাল সন্ধ্যায় অভিযোগ দায়ের করি।"

খোকন সাহা আরও বলেন, "পুলিশ যদি এত অত্যাচার করে, কীভাবে বাঁচব আমরা? তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন, যদি বিষয়টি তিনি দেখেন খুব ভালো হয়। এদিকে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় আতঙ্কেও আছি। এমনিতেই লকডাউনের জন্য আমাদের অবস্থা শোচনীয়। সেদিন আমার দোকানের প্রায় 10-12 হাজার টাকার মিষ্টি-মালপত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে । আমার পুলিশের উপর আস্থা ছিল। কিন্তু পুলিশই যদি এরকম ব্যবহার করে তাহলে মানুষ কোথায় যাবে ?"

চন্দননগর, 8 এপ্রিল : মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়েই তড়িঘড়ি ছানা-দুধ জোগাড় করে মিষ্টি বানানো শুরু করে দিয়েছিলেন চন্দননগরের ব্যবসায়ী । আগের দিন রাত থেকেই চলছিল মিষ্টির তৈরির কাজ । এদিকে হঠাৎই দোকানে হানা দেয় পুলিশ । প্রথমে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করে । অভিযোগ, দোকানের সমস্ত মিষ্টি, ঘি নিয়ে চলে যায় পুলিশ । নিয়ে যায় দোকানে রাখা ঠান্ডা পানীয়ও । চন্দননগর যুগিপুকুরের ঘটনা । ইতিমধ্যেই পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ব্যবসায়ী ।

লকডাউনের জেরে চন্দননগরের মিষ্টির দোকান বন্ধ ছিল এক সপ্তাহ । ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন দুধ-ছানা ব্যবসায়ী থেকে মিষ্টি দোকানিরা । এর মাঝে 31 মার্চ থেকে মিষ্টির দোকান কয়েক ঘণ্টার জন্য খোলা থাকবে বলে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইমতো 30 তারিখ রাতে চন্দননগর যুগিপুকুরের মিষ্টির কারখানায় কাজ শুরু করেছিলেন খোকন সাহা । অভিযোগ, সেই রাতেই দোকানে হানা দেয় পুলিশ । পলিথিনে করে নিজেরাই সব মিষ্টি তুলে নিয়ে যায় থানায়। পাশাপাশি একজন কর্মীকে থানায় নিয়ে গিয়ে রাত পর্যন্ত হেনস্থাও করা হয়।

এবিষয়ে ব্যবসায়ী খোকন সাহা বলেন, "মিষ্টির দোকান খোলার নির্দেশ পাওয়ায় আমরা পাড়া থেকে দুধ নিয়ে মিষ্টি তৈরি করছিলাম। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ পুলিশ এসে তাণ্ডব চালায়। লুটপাট করে নিয়ে যায় সব মিষ্টি, ঘি, ঠান্ডা পানীয় । পরে এক কর্মীকেও থানায় নিয়ে যাওয়া হয় । রাতে ওই কর্মীকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসি। আমার কাছ থেকে একটা মুচলেকাও লিখিয়ে নেয়। CCTV ফুটেজ় নিতে পারছিলাম না। তাই এত দেরি হল অভিযোগ করতে। গতকাল সন্ধ্যায় অভিযোগ দায়ের করি।"

খোকন সাহা আরও বলেন, "পুলিশ যদি এত অত্যাচার করে, কীভাবে বাঁচব আমরা? তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন, যদি বিষয়টি তিনি দেখেন খুব ভালো হয়। এদিকে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় আতঙ্কেও আছি। এমনিতেই লকডাউনের জন্য আমাদের অবস্থা শোচনীয়। সেদিন আমার দোকানের প্রায় 10-12 হাজার টাকার মিষ্টি-মালপত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে । আমার পুলিশের উপর আস্থা ছিল। কিন্তু পুলিশই যদি এরকম ব্যবহার করে তাহলে মানুষ কোথায় যাবে ?"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.