চন্দননগর, 21 মার্চ : চলতি বছরের পয়লা জানুয়ারি ঘোর অনিশ্চয়তা নেমে এসেছিল চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুটমিল শ্রমিকদের জীবনে ৷ বছরের প্রথম দিন কাজে এসে শ্রমিকরা দেখেন কারখানার গেটে মিল বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়েছে মালিক কর্তৃপক্ষ ৷ এক ঝটকায় বেকার হয়ে যান প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক । এর আগেও গোন্দলপাড়া জুটমিল টানা আড়াই বছর বন্ধ ছিল । তার ফলে 31 জন শ্রমিক আত্মঘাতী হয়েছিল বলে জানা যায় ।
আগেই শ্রমিকদের ইএসআই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । তবে সময়ে জল, বিদ্য়ুৎটুকু পাচ্ছিল জুটমিলের শ্রমিকরা ৷ কিন্তু বিপত্তি শুরু হয়েছে বিগত দেড় মাস যাবৎ ৷ 24 ঘন্টার জায়গায় 12 ঘন্টা থাকছে বিদ্য়ুৎ আর 2 ঘন্টা অন্তর আসছে জল ৷ কিন্তু সেই জল খাওয়ার যোগ্য নয় ৷ এমনটাই অভিযোগ শ্রমিক পরিবারগুলির ৷ তাই 24 ঘণ্টা বিদ্যুৎ ও স্বচ্ছ পানীয় জলের দাবিতে সোমবার সকাল থেকে গোন্দলপাড়া জুটমিলে বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকরা (Gondalpara Jute Mill Workers Agitation) । তাঁদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ ও জলের সমস্যার কারণে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা এবং বাড়ির বয়স্ক মানুষরা অসুবিধের মধ্যে রয়েছেন ৷ তাই জুটমিল খোলা এবং 24 ঘণ্টা বিদ্যুতের দাবিতে শ্রমিকরা বিক্ষোভে সামিল হন ।
গোন্দলপাড়া শ্রমিক মহল্লায় নানা ভাষাভাষির প্রায় তিন হাজার মানুষ বসবাস করেন (Demonstration Demanding Electricity and Water at Closed Gondalpara Jute Mill) । তাঁদের অভিযোগ, পয়লা জানুয়ারি পাটের অভাবের অজুহাতে মালিকপক্ষ জুটমিল বন্ধ করে দেয় । এর কিছুদিন বাদেই শ্রমিক মহল্লায় বিদ্যুৎ পরিষেবা আংশিক বন্ধ করে দেওয়া হয় । পানীয় জলের সরবরাহ ঠিকমতো হচ্ছে না । এই বিষয়ে শাসক দলের দ্বারস্থ হলেও মিল খোলার ব্যাপারে মালিকপক্ষ সদর্থক ভূমিকা নেয়নি বলে অভিযোগ শ্রমিকদের ।
তৃণমূলের বিধায়কের প্রতিনিধি বিকাশ সাউ মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের এই বিক্ষোভে সামিল হন । তিনি বলেন, "অনেকের বাড়িতে হার্টের রুগী আছে ৷ মিল কর্তৃপক্ষ যে জল সরবরাহ তা খাওয়া যাচ্ছে না ৷ জলে বিভিন্ন পোকামাকড় কিলবিল করছে ৷ এর আগেও মিল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলাম ৷ তখন তারা 72 ঘন্টা সময় নিয়েছিলেন ৷ কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি ৷"
আরও পড়ুন : Emergency Landing of Delhi-Doha Flight : দিল্লি-দোহা বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি, করাচিতে জরুরি অবতরণ বিমানের
শ্রমিকদের বর্তমানে দাবি , অবিলম্বে খাবার উপযোগী জল, 24 ঘণ্টা বিদ্যুতের ব্য়বস্থা করুক মিল কর্তৃপক্ষ ৷ তা না-হলে এই আন্দোলন চলবে ৷