বলাগড়, 16 মার্চ: কলকাতা বন্দরের পর মিনি বন্দর হতে চলেছে বলাগড়ে। নাম দেওয়া হয়েছে বলাগড় টার্মিনাল প্রজেক্ট। কলকাতা বন্দরের চাপ ও সময়ের ব্যবধান কমাতে এই চিন্তাভাবনা বন্দর কর্তৃপক্ষের (Port Trust Officials Under Observation) ।
বলাগড়ের ভবানীপুর চরে কলকাতা পোর্টট্রাস্টের তিনশো একর জমি আছে। তার পাশেই রয়েছে সিইএসসির ও তিনশো একর জমি, যে জমিতে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র হওয়ার কথা ছিল। 1998 সালে কাজও শুরু হয়। ব্রিজের রাস্তা হলেও 2000 সালের বন্যায় তার একাংশ ভেঙে যাওয়ায় রাস্তার ক্ষতি হয়। মাটি পরীক্ষায় ছাড়পত্র না-মেলায় তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থগিত হয়ে যায়। এবার সেই জমিতেই হবে বন্দর। বৃহস্পতিবার পারাদ্বীপ বন্দরের চেয়ারম্যান বর্তমানে কলকাতা শ্যামাপ্রসাদ বন্দরের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা পিএল হারান্ধ-সহ পোর্টট্রাস্টের অফিসারদের নিয়ে ভবানীপুর চর ও সাইট ম্যাপ খুটিয়ে দেখেন ও পরবর্তীতে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন।
চেয়ারম্যান পিএল হারান্ধ বলেন, "কলকাতা বন্দরে এখন যে সব কার্গো ও কন্টেনার আসে সেগুলো বাইরে যেতে সমস্যায় পড়ে। কলকাতা বন্দর 24 ঘণ্টাই খোলা থাকে। কিন্তু রাস্তা সাত থেকে আট ঘণ্টা খোলা থাকে। বড় বড় কন্টেনার যাতায়াত করতে সমস্যায় পড়ে। গ্রাহকদের কাছে কন্টেনার পৌঁছতেও অনেক দেরি হয়ে যায়। সেই কারণে বলাগড় চরে তিনশো একর জমির উপরে আমরা এক্সটেন্ডেড গেট ফেসিলিটি ডেভলপ করব। এর মাধ্যমে কলকাতা বন্দরে যে কনটেনার আসবে তা হুগলি নদীতে জলপথে বার্জের মাধ্যমে বলাগড়ে নিয়ে আসা হবে।"
আরও পড়ুন: 3 বছর বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতি থেকে খুলছে মহদিপুর ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট
তিনি আরও বলেন, "এখান থেকে পণ্য খালি করে ছয় নম্বর রাজ্য সড়ক দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় চলে যাবে। এর জন্য রাস্তা ও ব্রিজ বানানো হবে। এই মিনি বন্দর চালু হলে এলাকার উন্নয়ন হবে। ভোল বদলে যাবে বলাগড়ের। গ্রাহকদেরও সুবিধা হবে। কলকাতা বন্দরেরও সুবিধা হবে। পশ্চিমবঙ্গ আর্থিক ভাবে লাভবানও হবে এর ফলে। প্রকল্পটির প্রপোজাল দেওয়া আছে এপ্রুভালের জন্য। এক বছরের মধ্যে কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।" এর জন্য ক্যালকাটা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কর্পোরেশনের সঙ্গেও কথা বলা হবে বলে জানান বন্দর চেয়ারম্যান। বলাগড় ব্লক তৃণমূল সভাপতি নবীন গঙ্গোপাধ্যায় এই প্রকল্পকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তৃণমূল উন্ননের পক্ষে। কোনও শিল্প হলে, কাজের সুযোগ তৈরি হলে সেটা তো ভালোই।