শ্রীরামপুর, 4 অপ্রিল: সোমবারই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন আবারও তিনি শ্রীরামপুরের বটতলায় ধরনায় বসবেন ৷ সেই মতো মঙ্গলবার বিজেপির তরফে ধরনা মঞ্চ তৈরি করা হয় ৷ কিন্তু পুলিশ এসে এদিন খুলে দিল সেই ধরনা মঞ্চ ৷ পুলিশের দাবি, 144 ধারা জারি রয়েছে ৷ ফলে ধরনার অনুমতি না-থাকার জন্যই মঞ্চ খুলে দেওয়া হচ্ছে ৷ অন্যদিকে, বিজেপির তরফে দাবি করা হচ্ছে, এখানে কোনও 144 ধারা জারি নেই । তা সত্ত্বেও পুলিশ ধরনা করতে দিচ্ছে না ।
জানা গিয়েছে, বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে শ্রীরামপুর থানায় মেল করে ঘটনাটি জানানো হয়েছে । বিজেপির হুঁশিয়ারি, তারা এখানে অবস্থান বিক্ষোভ করবেই । রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব এখানে আসবেন । পুলিশ যদি দেখায় এখানে 144 ধারা রয়েছে, বিজেপি অন্য কোথাও ধরনা করবে বলে জানানো হয়েছে ।
আরও পড়ুন: রিষড়ায় অশান্তির খবরে দার্জিলিং সফর কাটছাঁট, কলকাতার পথে রাজ্যপাল
প্রসঙ্গত, রবিবার রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে আশান্তি ছড়ায় হুগলির রিষড়ায় ৷ তারপর সেখানে জারি করা হয় 144 ধারা ৷ সোমবার ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য রওনা দেন সুকান্ত মজুমদার ৷ তবে তাঁকে মাঝপথেই আটকে দেয় হাওড়া পুলিশ ৷ সুকান্তকে হুগলির কোন্নগরেই আটকে দেওয়া হয় পুলিশের তরফে ৷ এই ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতির ৷ এরপর তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন জিটি রোডে ৷ দীর্ঘক্ষণ চলে সেই প্রতীকী অবস্থান বিক্ষোভ ৷
সুকান্ত সোমবার অভিযোগ করেছিলেন, রিষড়ার আশান্তির ঘটনায় রাজ্য সরকার পক্ষের কাজ করছে পুলিশ ৷ 144 ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেখানে যেতে দেওয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি ৷ পুলিশ যদি পক্ষপাতিত্ব বন্ধ না করে তাহলে বিজেপি বৃহতর আন্দোলনে নামবে বলেও তিনি জানান ৷ এরপরেই মঙ্গলবার শ্রীরামপুরে ধরনা করার কথা ছিল বিজেপির ৷ সেই মঞ্চ ধরনার আগেই খুলে ফেলে দিল মমতা সরকারের পুলিশ ৷