চুঁচুড়া, 28 ফেব্রুয়ারি: পুলিশের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের আঙুল তোলেন আমজনতা থেকে নেতারা । কিন্তু সেই পুলিশই ত্রাতা হয়ে পাশের দাঁড়ালো মাধ্যমিক ছাত্রীর । সেই ছবি ভাইরাল সামাজিক মাধ্যমে । সকলেই এখন সাধুবাদ জানাচ্ছেন চুঁচুড়া থানার এএসআই হিমাদ্রি চক্রবর্তীকে । মঙ্গলবার চুঁচুড়া থানা এলাকার চুঁচুড়া কাপাসডাঙার সতীন সেন উচ্চ বিদ্যালয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তিনি । তখনই দেখেন এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছে । বিষয়টি লক্ষ্য করে কাছে যেতেই তনিষ্ঠা কুন্ডু নামে ওই ছাত্রী জানায় সে অ্যাডমিট কার্ড বাড়িতে ফেলে এসেছে ।
সেই কথা শুনে এক মুহূর্ত দেরি করেননি হিমাদ্রি । হুগলি গার্লস স্কুলের ছাত্রীকে তার ব্যান্ডেলের লিচু বাগানে বাড়িতে নিয়ে যান তিনি । এদিকে বাড়িতে গিয়ে দেখে আরও এক বিপত্তি । বাড়ির চাবি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । বাধ্য হয়েই তালা ভাঙেন হিমাদ্রিবাবু (Police Helps Madhyamik Candidate)। ঘর থেকে অ্যাডমিট নিয়ে এসে ছাত্রীকে সঠিক সময়ে কাপাসডাঙা সতীন সেন স্কুলে পৌঁছে দেন এই অফিসার । এতেই খুশি পরিবার থেকে পরীক্ষার্থীরা । সব চিন্তাভাবনা দূর করে নির্বিঘ্নেই জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষা দেয় তনিষ্ঠা ।
তাঁকে ধন্যবাদ দিয়ে তনিষ্ঠা পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকে । পরে ওই ছাত্রীর মা শুক্লা কুন্ডু বলেন,"ঘরের চাবিটাও হারিয়ে ফেলে ছিলাম । সেই পরিস্থিতিতে কিছুই মাথায় আসছিল না । তাই দরজার চাবি ভাঙাতে সাহায্য করে অফিসার । পুলিশের জন্যই আমার মেয়ে সঠিক সময় পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে পেরেছে । ওনারা না থাকলে আমরা মেয়ে স্কুলে পৌঁছাতে পারত না । আর অ্যাডমিট কার্ড না থাকলে বসতে দিত না । মাঝপথেই মাধ্যমিক পরীক্ষা ছাড়তে হত । অসংখ্য ধন্যবাদ ওনাকে ।"
এই বিষয়ে হিমাদ্রী চক্রবর্তীর বক্তব্য, "পরীক্ষার্থী অ্যাডমিট আনতে ভুলে গিয়েছিল । পরীক্ষা দিতে সমস্যা হত । জানতে পেরে বাইকে চাপিয়ে ওর বাড়ি গিয়ে অ্যাডমিট এনে দিলাম । তখন কোনও অটো বা টোটো কিছু পাচ্ছিল না । তাই ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে সাহায্য করেছি । সাহায্য করাই তো পুলিশের কাজ । আমি সেই কাজই করেছি ।"
আরও পড়ুন : বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের উদ্যোগে পড়ুয়াদের স্বার্থে 'নিউটাউন বই বাড়ি'