রিষড়া, 4 এপ্রিল: রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে রবিবার যে অশান্তি ছড়িয়েছিল হুগলির রিষড়ায়, সোমবারও তার জেরে দুষ্কৃতী তাণ্ডব দেখেছে এই এলাকা ৷ ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে ৷ রবিবার সন্ধ্যার ঘটনার পর সোমবার রাতে ওই একই অঞ্চলে ফের কীভাবে ওই উত্তেজনার সৃষ্টি হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এলাকাবাসী ৷ ঘটনার জেরে মঙ্গলবারও থমথমে রয়েছে এলাকা ৷ চলছে পুলিশের নাকা চেকিং, টহল ৷ কয়েকটি এলাকায় দোকান বাজার খুললেও, যান চলাচল করলেও চেনা স্বাভাবিক ছন্দে এখনও ফিরতে পারেনি রিষড়ার কয়েকটি এলাকা ৷ আতঙ্ক দানা বেঁধে আছে এলাকাবাসীর মনে ৷
হাওড়া শিবপুরের মত হুগলির রিষড়ার আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি সামাল দিতে পার্শ্ববর্তী জেলা ও কমিশনারেট এলাকা থেকে আনা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী । রয়েছে কমব্যাট ফোর্স ৷ তবে রিষড়ার ঘটনা নিয়ে পুলিশ যে তদন্ত শুরু করেছে তাতে উঠে এসেছে বেশ কয়েকটি তথ্য ৷ পুলিশের উপর মহলের প্রাথমিক অনুমান, ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত । কারণ ঘটনার সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে দেদার ইট বৃষ্টি শুরু হয় । আর ওই ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন একাধিক পুলিশকর্মী । তদন্ত শুরু করে পুলিশ জানতে পেরেছে তাঁদের লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছিল পাথর ।
আরও জানা গিয়েছে, অশান্তির সময় এক গোষ্ঠী অন্য গোষ্ঠীকে বোতল বোমা বা পেট্রল বোমা ছুড়ে আঘাত করার চেষ্টা করে । এখানেই পুলিশের অনুমান, আগে থেকে ওই এলাকায় অশান্তি হবে তা জেনেই বা অশান্তি সৃষ্টি করার জন্যই বহিরাগতরা রিষড়া স্টেশনের কাছে রেললাইনের পাশে গ্রানাইট পাথর জড়ো করে রেখেছিল ।
আরও পড়ুন: 'বাংলা মেরুকরণের রাজনৈতিক হিংসার শিকার', রিষড়ায় পৌঁছে বললেন রাজ্যপাল
এছাড়াও তদন্তকারীদের যে প্রশ্নটিই ভাবাচ্ছে তা হল, কয়েক মুহূর্তের মধ্যে কীভাবে অত সংখ্যক পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করা হল ? তবে ঘটনা যাই হোক, পুলিশ বা তার সোর্স কেন আগে থেকে এই ঘটনার আভাস পেল না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ৷ এক্ষেত্রে আইপিএস মহলের একাংশ এর জন্য স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনের ব্যর্থতাকেই দায়ী করছেন ৷ উঠছে রেল পুলিশের সঙ্গে রাজ্য পুলিশের সমন্বয়ের অভাবের কথাও ৷