ETV Bharat / state

Panchayat Board Formation: পঞ্চায়েতে কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে খানাকুলে পুলিশ-বিজেপি খণ্ডযুদ্ধ

পঞ্চায়েতে স্থায়ী কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড হুগলির খানাকুলে ৷ পুলিশ ও বিজেপি কর্মী সমর্থকের মধ্যে খণ্ড যুদ্ধ। চলল ব্যাপক বোমাবাজি ৷ এলাকায় মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী ৷

Etv Bharat
খানাকুলে পুলিশ-বিজেপি খণ্ডযুদ্ধ
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 29, 2023, 10:50 PM IST

খানাকুলে পুলিশ-বিজেপি খণ্ডযুদ্ধ

হুগলি, 29 অগস্ট: খানাকুলে পঞ্চায়েতে স্থায়ী কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও বিজেপি কর্মী সমর্থকের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ ও ইট বৃষ্টি ৷ চলে ব্যাপক বোমাবাজি ৷ পঞ্চায়েত অফিসের পাশাপাশি একাধিক বাইকেও আগুন লাগিয়ে দেন উত্তেজিত জনতা ৷ খানাকুল থানার অড়ুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েত চত্বর এলাকায় এই ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ পুলিশের ৷ এলাকায় মোতায়েন ব়্যাফ ও পুলিশ বাহিনী ৷

হুগলি রুরাল এসপি আমনদ্বীপ বলেন, "আজ পঞ্চায়েত কমিটির গঠন ছিল ৷ আমাদের কাছে খবর ছিল এখানে রাজনৈতিক কোনও ঝামেলা হতে পারে ৷ ঘটনায় বিজেপি কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে ৷ বেশ কিছু পুলিশ আহত হয়েছেন। পঞ্চায়েত ভবনের সামনে থাকা বেশ কয়েকটি বাইকে আগুন লাগানো হয় ৷ পুলিশের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে ৷ আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পঞ্চায়েত প্রধানের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না ৷ বিষয়টি দেখা হচ্ছে ৷"

এ বিষয়ে আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি রমেন্দু সিংহ রায় অভিযোগ করে বলেন, "বিজেপি পূর্ব পরিকল্পিত এই ঘটনা ৷ পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ পুলিশকে মারধরও করা হয়েছে ৷ এমনকী, এসডিপিও-র মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। অঞ্চল প্রধানকে কিডন্যাপ করেছে বিজেপি ৷ পঞ্চায়েত ভবনে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে ৷"

যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি ৷ আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি বিমান ঘোষ জানান, কর্মীদের জমায়েতের মধ্যে বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী ঢুকিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি অশান্ত করা হয়েছে ৷ পুরো ঘটনার পিছনে রয়েছে তৃণমূলের কর্মীরা ৷ এই ধরনের ঘটনায় বিজেপির কোনও কর্মী যুক্ত নন ৷

আরও পড়ুন: হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠন করল বিজেপি, তৃণমূলকে তোপ নয়া সভাপতির

জানা গিয়েছে, খানাকুলের অরুন্ডা পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হয় গত 10 অগস্ট । গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের 14 জন ও বিজেপির 9 জন সদস্য রয়েছেন। সেই সময় তৃণমূলের তিন জয়ী প্রার্থী বিজেপিতে যোগ দিয়ে বোর্ড গঠনে বিজেপিকে সমর্থন করেন । একদিনের মধ্যে ফের বিজেপি ছেড়ে তাঁরা তৃণমূলে যোগ দেন। সেই ঘটনার পর থেকেই এলাকাজুড়ে চাপা উত্তেজনা ছিল। এদিন স্থায়ী কমিটি গঠনকে ঘিরে সকাল থেকেই জমায়েত করেছিলেন তৃণমূল ও বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। মোতায়েন ছিল পুলিশ বাহিনী। পঞ্চায়েত সদস্যরা ভবনে ঢোকার পর থেকেই শুরু হয় উত্তেজনা। অফিসের সামনে জমায়েত করেন বিজেপির কর্মীরা। সেই জমায়েত সরাতে গিয়েই শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা।

খানাকুলে পুলিশ-বিজেপি খণ্ডযুদ্ধ

হুগলি, 29 অগস্ট: খানাকুলে পঞ্চায়েতে স্থায়ী কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও বিজেপি কর্মী সমর্থকের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ ও ইট বৃষ্টি ৷ চলে ব্যাপক বোমাবাজি ৷ পঞ্চায়েত অফিসের পাশাপাশি একাধিক বাইকেও আগুন লাগিয়ে দেন উত্তেজিত জনতা ৷ খানাকুল থানার অড়ুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েত চত্বর এলাকায় এই ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ পুলিশের ৷ এলাকায় মোতায়েন ব়্যাফ ও পুলিশ বাহিনী ৷

হুগলি রুরাল এসপি আমনদ্বীপ বলেন, "আজ পঞ্চায়েত কমিটির গঠন ছিল ৷ আমাদের কাছে খবর ছিল এখানে রাজনৈতিক কোনও ঝামেলা হতে পারে ৷ ঘটনায় বিজেপি কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে ৷ বেশ কিছু পুলিশ আহত হয়েছেন। পঞ্চায়েত ভবনের সামনে থাকা বেশ কয়েকটি বাইকে আগুন লাগানো হয় ৷ পুলিশের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে ৷ আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পঞ্চায়েত প্রধানের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না ৷ বিষয়টি দেখা হচ্ছে ৷"

এ বিষয়ে আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি রমেন্দু সিংহ রায় অভিযোগ করে বলেন, "বিজেপি পূর্ব পরিকল্পিত এই ঘটনা ৷ পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ পুলিশকে মারধরও করা হয়েছে ৷ এমনকী, এসডিপিও-র মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। অঞ্চল প্রধানকে কিডন্যাপ করেছে বিজেপি ৷ পঞ্চায়েত ভবনে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে ৷"

যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি ৷ আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি বিমান ঘোষ জানান, কর্মীদের জমায়েতের মধ্যে বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী ঢুকিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি অশান্ত করা হয়েছে ৷ পুরো ঘটনার পিছনে রয়েছে তৃণমূলের কর্মীরা ৷ এই ধরনের ঘটনায় বিজেপির কোনও কর্মী যুক্ত নন ৷

আরও পড়ুন: হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠন করল বিজেপি, তৃণমূলকে তোপ নয়া সভাপতির

জানা গিয়েছে, খানাকুলের অরুন্ডা পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হয় গত 10 অগস্ট । গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের 14 জন ও বিজেপির 9 জন সদস্য রয়েছেন। সেই সময় তৃণমূলের তিন জয়ী প্রার্থী বিজেপিতে যোগ দিয়ে বোর্ড গঠনে বিজেপিকে সমর্থন করেন । একদিনের মধ্যে ফের বিজেপি ছেড়ে তাঁরা তৃণমূলে যোগ দেন। সেই ঘটনার পর থেকেই এলাকাজুড়ে চাপা উত্তেজনা ছিল। এদিন স্থায়ী কমিটি গঠনকে ঘিরে সকাল থেকেই জমায়েত করেছিলেন তৃণমূল ও বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। মোতায়েন ছিল পুলিশ বাহিনী। পঞ্চায়েত সদস্যরা ভবনে ঢোকার পর থেকেই শুরু হয় উত্তেজনা। অফিসের সামনে জমায়েত করেন বিজেপির কর্মীরা। সেই জমায়েত সরাতে গিয়েই শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.