ETV Bharat / state

তৃণমূল নেতা দিলীপ খুনে অস্ত্রসহ ধৃত তিন - bandel murder case

প্রায় দু'মাস পর তৃণমূল নেতা দিলীপ রাম খুনের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করল চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ ৷ ধৃতরা হল মঙ্গল যাদব, বৈদ্যনাথ রায় ওরফে হেডেক, ও মহম্মদ নাসিম ওরফে গুড্ডু ৷

সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশ কমিশনার
author img

By

Published : Aug 24, 2019, 1:59 PM IST

Updated : Aug 24, 2019, 3:31 PM IST

হুগলি, 24 অগাস্ট : প্রায় দু'মাস পর তৃণমূল নেতা দিলীপ রাম খুনের কিনারা করল পুলিশ ৷ এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করল চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ ৷ ধৃতরা হল মঙ্গল যাদব, বৈদ্যনাথ রায় ওরফে হেডেক, ও মহম্মদ নাসিম ওরফে গুড্ডু ৷ ধৃতদের থেকে বেশকিছু অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ ৷

দিলীপ রাম খুনের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তারের পর সাংবাদিক বৈঠক করেন কমিশনার হুমায়ুন কবীর ৷ সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, "DCP চন্দননগর সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে তিন-চারটি টিম করে এই খুনের ঘটনার তদন্ত চলছিল ৷ সম্পত্তি কেনাবেচা সংক্রান্ত কারণেই দিলীপ রামকে খুন করা হয় ৷ এই ঘটনায় কমিশনারেটের ক্রাইম ব্রাঞ্চের ASI উৎপল গুপ্তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৷"

দিলীপ রাম রেলে চাকরি করলেও ব্যান্ডেলে তৃণমূল নেতা হিসেবেই পরিচিত ছিলেন ৷ তিনি ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের ঘনিষ্ঠ ৷ প্রোমোটিং, জমি কেনাবেচার কাজও করতেন দিলীপ ৷ এ সূত্রে এলাকারই অন্য এক প্রোমোটার শকুন্তলা ওরফে সমুদ্রি যাদবের সঙ্গে তাঁর গন্ডগোল ছিল ৷ তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, দিলীপকে খুনের আগে প্রায় দু'মাস ধরে রেইকি করা হয় ৷ ওই তৃণমূল নেতা কখন, কীভাবে ব্যান্ডেল স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে ? প্ল্যাটফর্মে ওঠার রাস্তায় কোন জায়গায় CCTV নেই এসবই খতিয়ে দেখে পুলিশ ।

আরও পড়ুন : ব্যান্ডেলে তৃণমূল নেতা খুন, CBI তদন্তের দাবি স্ত্রী নীতুর

কমিশনার জানান, এই ঘটনার মাস্টার মাইন্ড সমুদ্রিই ৷ তবে সে পলাতক ৷ ধৃতদের জেরা করে সমুদ্রির খবর জানার চেষ্টা করা হবে ৷ মৃত তৃণমূল নেতার স্ত্রী তথা ব্যান্ডেল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রীতু সিং বলেন, "দুমাসের মধ্যে প্রশাসন তিন ভাড়াটে খুনিকে গ্রেপ্তার করেছে ভালো ৷ তবে এই খুনের পিছনে মূল মাথা সমুদ্রি যাদব, বিজু পাসোয়ান এখনও পলাতক ৷ জমি নিয়ে একটা সমস্যা ছিল ৷ কিন্তু সেখান থেকে এতবড় ঘটনা ঘটবে বুঝতে পারিনি ৷"

গত 29 জুন সকাল সাড়ে নটা নাগাদ ব্যান্ডেল স্টেশনের পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ওঠার সময় তৃণমূল নেতা দিলীপ রামকে কাছ থেকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা ৷ তাঁর মাথার পিছনে গুলি লাগে ৷ দিলীপ রামের স্ত্রী রীতু সিং এই ঘটনায় বিজু পাসোয়ান, অর্জুন সিং ও সঞ্জয় মিশ্রের বিরুদ্ধে ব্যান্ডেল GRP-তে অভিযোগ দায়ের করেন ৷ তাঁর অভিযোগ, লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের দিন বিজু ও তাঁর দলবল দিলীপকে খুনের হুমকি দেয় ৷ এর আগেও দিলীপের সঙ্গে তাঁদের কয়েকবার গন্ডগোল হয়েছিল ৷ চন্দননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা ও ব্যান্ডেল GRP পটনা থেকে অভিযুক্ত সঞ্জয় মিশ্রকে গ্রেপ্তার করে ৷ পরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে অর্জুন সিং ৷ কিন্তু ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বিজু পাসোয়ান এখনও অধরা ৷

হুগলি, 24 অগাস্ট : প্রায় দু'মাস পর তৃণমূল নেতা দিলীপ রাম খুনের কিনারা করল পুলিশ ৷ এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করল চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ ৷ ধৃতরা হল মঙ্গল যাদব, বৈদ্যনাথ রায় ওরফে হেডেক, ও মহম্মদ নাসিম ওরফে গুড্ডু ৷ ধৃতদের থেকে বেশকিছু অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ ৷

দিলীপ রাম খুনের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তারের পর সাংবাদিক বৈঠক করেন কমিশনার হুমায়ুন কবীর ৷ সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, "DCP চন্দননগর সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে তিন-চারটি টিম করে এই খুনের ঘটনার তদন্ত চলছিল ৷ সম্পত্তি কেনাবেচা সংক্রান্ত কারণেই দিলীপ রামকে খুন করা হয় ৷ এই ঘটনায় কমিশনারেটের ক্রাইম ব্রাঞ্চের ASI উৎপল গুপ্তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৷"

দিলীপ রাম রেলে চাকরি করলেও ব্যান্ডেলে তৃণমূল নেতা হিসেবেই পরিচিত ছিলেন ৷ তিনি ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের ঘনিষ্ঠ ৷ প্রোমোটিং, জমি কেনাবেচার কাজও করতেন দিলীপ ৷ এ সূত্রে এলাকারই অন্য এক প্রোমোটার শকুন্তলা ওরফে সমুদ্রি যাদবের সঙ্গে তাঁর গন্ডগোল ছিল ৷ তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, দিলীপকে খুনের আগে প্রায় দু'মাস ধরে রেইকি করা হয় ৷ ওই তৃণমূল নেতা কখন, কীভাবে ব্যান্ডেল স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে ? প্ল্যাটফর্মে ওঠার রাস্তায় কোন জায়গায় CCTV নেই এসবই খতিয়ে দেখে পুলিশ ।

আরও পড়ুন : ব্যান্ডেলে তৃণমূল নেতা খুন, CBI তদন্তের দাবি স্ত্রী নীতুর

কমিশনার জানান, এই ঘটনার মাস্টার মাইন্ড সমুদ্রিই ৷ তবে সে পলাতক ৷ ধৃতদের জেরা করে সমুদ্রির খবর জানার চেষ্টা করা হবে ৷ মৃত তৃণমূল নেতার স্ত্রী তথা ব্যান্ডেল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রীতু সিং বলেন, "দুমাসের মধ্যে প্রশাসন তিন ভাড়াটে খুনিকে গ্রেপ্তার করেছে ভালো ৷ তবে এই খুনের পিছনে মূল মাথা সমুদ্রি যাদব, বিজু পাসোয়ান এখনও পলাতক ৷ জমি নিয়ে একটা সমস্যা ছিল ৷ কিন্তু সেখান থেকে এতবড় ঘটনা ঘটবে বুঝতে পারিনি ৷"

গত 29 জুন সকাল সাড়ে নটা নাগাদ ব্যান্ডেল স্টেশনের পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ওঠার সময় তৃণমূল নেতা দিলীপ রামকে কাছ থেকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা ৷ তাঁর মাথার পিছনে গুলি লাগে ৷ দিলীপ রামের স্ত্রী রীতু সিং এই ঘটনায় বিজু পাসোয়ান, অর্জুন সিং ও সঞ্জয় মিশ্রের বিরুদ্ধে ব্যান্ডেল GRP-তে অভিযোগ দায়ের করেন ৷ তাঁর অভিযোগ, লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের দিন বিজু ও তাঁর দলবল দিলীপকে খুনের হুমকি দেয় ৷ এর আগেও দিলীপের সঙ্গে তাঁদের কয়েকবার গন্ডগোল হয়েছিল ৷ চন্দননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা ও ব্যান্ডেল GRP পটনা থেকে অভিযুক্ত সঞ্জয় মিশ্রকে গ্রেপ্তার করে ৷ পরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে অর্জুন সিং ৷ কিন্তু ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বিজু পাসোয়ান এখনও অধরা ৷

Intro:ব্যান্ডেল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রীতু সিং এর স্বামী তৃনমূল নেতা দিলীপ রাম খুন হন গত ২৯ জুন।সকাল সারে নটা 25 নাগাদ ব্যান্ডেল স্টেশনে পাঁচ নম্বর প্লাটফর্মে ওঠার সময় রেল লাইনে তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়।মাথার পিছনে গুলি লাগে।রেল লাইনেই পরে যান দিলীপ।তাকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।সেখান থেকে কলকাতা নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।ঘটনায় তিন জনের বিরুদ্ধে ব্যান্ডেল জি আর পি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রীতু সিং।অভিযুক্ত,বীজু পাশোয়ান,অর্জুন সিং এবং সঞ্জয় মিশ্র।তিন জনই সক্রিয় বিজেপি কর্মি বলে পরিচিত।
দিলীপ রাম খুনের ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ,বন্ধ প্রতিবাদ মিছিল সংগঠিত করে তৃনমূল।দোষীদের গ্রেফতারের দাবী জোরালো হয়।ঘটনার জেরে ব্যান্ডেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দীপশ্রী সেনগুপ্ত,চুঁচুড়া থানার আই সি নিরুপম ঘোষকে বদলী করা হয়।সরিয়ে দেওয়া হয় চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অখিলেশ চতুর্বেদীকে।তার জায়গায় হুমায়ূন কবীরকে সিপি করা হয়।ঘটনার কয়েকদিন পর চন্দননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা ও ব্যান্ডেল জিআরপি পাটনা থেকে গ্রেফতার করে সঞ্জয় মিশ্রকে।পরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে অর্জুন সিং।কিন্তু ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বীজু পাশোয়ান অধরা থাকে।
বীজু পাশোয়ান ব্যান্ডেলের কুখ্যাত দুষ্কৃতি লালা পাশোয়ানের ভাই।সে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজপির৷ প্রার্থী ছিলো।
রীতু সিং এর অভিযোগ ছিলো লোকসভা ভোটের ফল বেরোনোর দিন বীজু ও তার দলবল দিলীপকে খুনের হুমকি দেয়।এর আগেও দিলীপের সঙ্গে তাদের কয়েকবার গন্ডোগোল হয়েছিলো।
দিলীপ রায় রেলে চাকরী করলেও ব্যান্ডেলে তৃনমূলের শক্তিশালী নেতা ছিলেন।তার স্ত্রীকে দুবার পঞ্চায়েতের প্রধান করেন।বিধায়ক অসীত মজুদারের কাছের লোক ছিলেন।এহেন দিলীপ রাম কে কেন খুন হতে হলো?
তার স্ত্রী এবং তৃনমূলের দাবী রাজনৈতিক কারনে বিজেপি তাকে খুন করেছে।যদিও বিজেপি সেই দাবী নাকচ করে।দিলীপ রাম প্রমোটিং, জমি কেনা বেচার কাজও করত।তার সঙ্গে এলাকারই এক৷ প্রমোটার শকুন্তলা ওরফে সমুদ্রি যাদবের গন্ডগোল ছিল।রীতু সিং তা পুলিশ কেও জানায়।এদিকে ব্যান্ডেল জিআরপি'র থেকে তদন্তভার চুঁচুড়া থানার উপর ন্যাস্ত করা হয়।
দিলীপ রাম খুনের পিছনে মাস্টার মাইন্ড কে?খুনের মোটিভই বা কি? তা খোঁজা শুরু করে কমিশনারটের গোয়েন্দারা।প্রকাশ্যে যেভাবে খুন করা হয়েছে।তাতে মনে করা হচ্ছে অনেক দিন রেইকি করা হয়েছে।দিলীপ রাম কখন ট্রেন ধরতে যায়,রেল লাইন টপকে যেখান দিয়ে প্লাটফর্মে ওঠে সেখানে কোনো সিসি ক্যামেরা নেই।খুনিকে কি সুপারী দেওয়া হয়েছিলো নাকি স্থানীয় কেউ? এসবেরই সন্ধান এবং জট খোলার চেষ্টা চালিয়ে যায় পুলিশ।অবশেষে প্রায় দুমাস পর তার কিনারা করল হলো।
গ্রেফতার হলো মঙ্গল যাদব,বৈদ্যনাথ রায়(হেডেক) ,মহঃ নাসিম(গুড্ডু)
ঘটনায় কমিশনারেটের ক্রাইম ব্রাঞ্চের এ এস আই উৎপল গুপ্তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।ইনি খবর দিয়েছিল সমুদ্রি পালানোর জন্য।Body:WB_HGL_BANDEL DILIP RAM MURDER_7203418Conclusion:
Last Updated : Aug 24, 2019, 3:31 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.