পোলবা, 20 মে: চুরি করে ধরা পড়ায় কোমরে দড়ি বেঁধে মারতে মারতে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ ৷ বাড়ির ছেলে দোষ করায় কেউ কিছু বলতে পারেননি ৷ তবে সেই ছেলেরই পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন মৃত্যু হওয়ায় ক্ষোভ দেখা গেল এলাকায় ৷ সামাল দিতে নামাতে হল র্যাফ ৷ ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির পোলবায় ৷ অভিযোগ, বৃহস্পতিবার ভোরে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হয় ওই ধৃত যুবকের ৷ তাই নিয়ে এদিন সকালে এলাকায় বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা ৷ অবশ্য পুলিশের তরফে বলা হয়, কোর্টে নিয়ে যাওয়ার সময় অসুস্থ হয় সে ৷ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই মৃত্যু হয় তার ৷
পুলিশ হেফাজতে মৃত যুবকের নাম শুভঙ্কর হাজরা (20) । গত শনিবার ঝাপানতলায় রবীন ঘোষের বাড়িতে চুরি হয় । সেই ঘটনায় হাতেনাতে ধরা পড়ে শুভঙ্কর ও সৌমেন মালিক নামে আর এক যুবক ৷ সেখানেই স্থানীয়রা দু'জনকে বেধড়ক মারধর করে । পোলবা থানার পুলিশ দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায় । মঙ্গলবার ফের জিনিসপত্র উদ্ধারের জন্য এবং চুরির জায়গা খতিয়ে দেখতে পুলিশ দু'জনকে এলাকায় নিয়ে আসে । তার পরিবারের দাবি, তখনও সুস্থ ছিল শুভঙ্কর । তারপর বুধবার রাতে মৃত্যু হয় তার ৷
স্থানীয়দের অভিযোগ, চুরি করায় পুলিশ আগেও শুভঙ্করকে মারধর করেছিল ৷ বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে ৷ চুরির অভিযোগ থাকায় বাড়ির লোকজন বা প্রতিবেশীরা কেউ তার প্রতিবাদ করেনি ৷ কিন্তু এমন ভাবে মারধর করে মেরে ফেলবে কেন ?
এদিন সকালে তার মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায় ৷ রবীন ঘোষ নামে যে ব্যক্তির বাড়িতে চুরির ঘটনাটি ঘটে, তাঁর লোককে তুলে নিয়ে এসে আটকে রাখা হয় । তারপর পুলিশ এলে পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ চলে । উত্তেজনা সামাল দিতে মোতায়েন করা হয় ব়্যাফ ৷ চুরির ঘটনায় আর এক ধৃত সৌমেনকে চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।স্থানীয়দের দাবি, পুলিশ লকআপেই পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে শুভঙ্করকে ।
এদিকে পোলবা থানার তরফে বলা হয়, দু'জনকে কোর্টে পাঠানো হয়েছিল । সেই সময় অসুস্থ হয়ে পড়ে শুভঙ্কর । তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয় ৷
আরও পড়ুন: করোনায় মৃতের দেহ 30 ঘণ্টা পড়ে বাড়িতে, সৎকারে অনীহা ছেলের