চন্দননগর, 16 এপ্রিল : কোরোনা সংক্রমণ আটকাতে ইতিমধ্যেই লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে । এই পরিস্থিতিতে জরুরি ছাড়া সমস্ত পরিষেবা বন্ধ । নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ছাড়া অন্য সবকিছুর দোকানও বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে । মদের দোকানগুলিও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । কিন্তু এখনও রাজ্য়ের কয়েকটি জায়গায় মদের দোকান খোলা রয়েছে বলে একাধিক জায়গা থেকে অভিযোগ আসছে । আজ এনিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করলেন BJP নেতা সায়ন্তন বসু। বলেন, "তৃণমূলে মাতালের সংখ্যা বেশি । তাদের জন্য মদ লাগবে । তাই মদের দোকান খোলা রয়েছে।"
আজ চন্দননগর গোন্দলপাড়া জুট মিলের শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন BJP নেতা। সেখানেই বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক ইশুতে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন তিনি । ইতিমধ্যেই কোরোনা সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে বারবার বিস্তর ফারাক দেখা গেছে । এপ্রসঙ্গে সায়ন্তনবাবু বলেন, "রাজ্য সরকার যে তথ্য দিচ্ছে, তার চেয়েও বেশি সংক্রমণ ঘটছে পশ্চিমবঙ্গে। কেন্দ্রীয় সরকার বাস্তব পরিস্থিতি জানানোর চেষ্টা করছে । কিন্তু কেন্দ্র-রাজ্য তথ্যে 30-40 জনের ফারাক দেখা যাচ্ছে । এজন্য দায়বদ্ধ থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এখনও যথাযথভাবে লকডাউন কার্যকর করতে পারেননি । বিশেষ ধর্মের মানুষের জন্য ও ভোটের রাজনীতির জন্য তাঁদের এলাকায় লকডাউন করলেন না। রাজনীতি না করে ভোট ব্যাঙ্কের কথা না ভেবে, কেন্দ্রীয় সরকার যা যা নির্দেশ দিচ্ছেন তা সক্রিয়ভাবে পালন করা হোক।"
তাঁর কটাক্ষ, "পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই । কেন সংবাদমাধ্যমের উপর নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।" বলেন, "হাওড়া হাসপাতালের নার্সের বক্তব্য তুলে ধরার জন্য এক সাংবাদিককে সাসপেন্ড করা হয়। নবান্নের আমলার ছেলে বিদেশ থেকে এসে কোরোনা সংক্রমণ ঘটাল । সে খবর করার জন্য এক সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে FIR করা হল। দেশের বহু রাজ্যে BJP সরকার আছে। কিন্তু কোনও রাজ্যে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করা হয়নি। সেখানে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে লেখার অধিকার আছে।"
কেন্দ্রের তরফে সহযোগিতা করা হলেও রাজ্য কোনওরকম সদিচ্ছা দেখাচ্ছে না । এই অভিযোগ করে সায়ন্তনবাবু বলেন, "একটি বিষয় সামনে এসেছে । কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও আমলা রাজ্যের জেলাশাসককে ফোন করলে ফোন তুলছেন না তিনি। এছাড়াও উত্তরবঙ্গে আমাদের দুজন সাংসদকে গৃহবন্দী করে রেখে দেওয়া হয়েছে। যা ঘটছে দুর্ভাগ্যজনক ।"
তিনি আরও বলেন, "তৃণমূল আগে চিটফান্ডের টাকা চুরি করেছে । এখন রেশনের চাল-ডাল চুরি করছে। গরিবদের জন্য বিনামূল্যে চাল-ডালের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই চাল-ডাল-চিনি লুট করছে তৃণমূলের লোকজন । কেন্দ্রীয় সরকার ও FCI রাজ্যকে টাকা দেবে। সেজন্য কেন্দ্র থেকে দু'হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। দু'হাজার কোটি টাকা রাজ্য কী করল ? তা রাজ্যকে জানাতে হবে।"