রিষড়া, 14 অক্টোবর : সেলফি তুলতে গিয়ে নয় ৷ তার জড়িয়ে ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে হুগলির পর্যটক প্রদীপ সাকসেনার । বলল মৃতের পরিবার । ট্রয় ট্রেনের লাইনে কোথা থেকে এল এই তার ? প্রদীপবাবুর পরিবারের অভিযোগ, রেলের গাফিলতিতেই তার জড়িয়ে ট্রয় ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে প্রদীপবাবুর । ইতিমধ্যেই তার জড়িয়ে প্রদীপবাবুর টয় ট্রেন থেকে পড়ে যাওয়ার ছবি ভাইরাল হয়েছে ৷
রিষড়ার বাসিন্দা প্রদীপ সাকসেনা পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন । কাজের ফাঁকে দীর্ঘদিন ধরেই পাহাড়ে ট্রেকিং করতে যেতেন । 3 অক্টোবর পঞ্চমীর দিন সপরিবারে দার্জিলিং বেড়াতে যান প্রদীপবাবু । দার্জিলিং যাওয়ার পথে ট্রয় ট্রেনে মোবাইলে প্রকৃতির সৌন্দর্যের ভিডিয়ো করছিলেন তিনি । প্রদীপবাবুর দাদা ও স্ত্রীর দাবি, সেই সময় ট্রেনের মধ্যেই ছিলেন ৷ ভিডিয়ো করার সময় বাতাসিয়া লুপের কাছে হঠাৎ একটি তার জড়িয়ে তিনি ট্রেন থেকে পড়ে যান ৷ পড়ে গিয়ে মাথায় চোট লাগে তাঁর । মোবাইলে তোলা সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরই মৃত্যুর রহস্য সামনে আসে । প্রদীপবাবুর পরিবার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছে ৷
প্রদীপবাবুর দাদা সন্দীপ সাকসেনা বলেন , "আমার ভাই সেলফি তুলতে গিয়ে দিয়ে মারা যায়নি । ও প্রকৃতি প্রেমিক ছিল । মাঝে মধ্যেই ট্রেকিং করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় যেত । কেদারনাথ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরও ওখানে গেছিল । ওর ট্রেকিং করার প্রচণ্ড নেশা ছিল । কোথাও গেলেই জায়গায় অনেক ছবি তুলত । টয় ট্রেন থেকে পড়ে যাওয়ার সময় ওর হাতে মোবাইল ছিল ৷ ট্রেনের দরজার ভেতর থেকেই বাতাসিয়া লুপের ছবি তুলছিল ভাই ৷ ও বুঝতেই পারেনি একটা তার দিকে চলে আসবে । ওর মোবাইলে আমরা ভিডিয়োটা দেখেছি ৷ তার কী করে এল আমরা বুঝতে পারছি না । ভিডিয়োয় পরিষ্কার তার জড়িয়েই ভাই ট্রেন থেকে পড়ে গেছে ৷ "
এদিকে প্রদীপবাবুর স্ত্রী নম্রতা সাকসেনা প্রশ্ন তুলেছেন পাহাড়ের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে ৷ তিনি বলেন , "উনি দরজা দিয়ে পাহাড় দেখছিলেন ৷ আমিও জানালা দিয়ে পাহাড় দেখছিলাম । উনি সেলফি তুলছিলেন না । ট্রেনের দরজার সামনে থেকে পাহাড়ের ভিডিয়ো তুলছিলেন ৷ উনি দরজার বাইরে হাতও বের করেননি ৷ এই বিষয়ে বেশ সচেতন ছিলেন ৷ বাতাসিয়া লুপের সামনে হঠাৎ চিৎকার করে ট্রেন থেকে পড়ে যান ৷ পরে ভিডিয়োতে আমরা দেখি একটা তার জড়িয়ে উনি পড়ে গেছেন ৷ পাহাড়ে চিকিৎসার ন্যূনতম ব্যবস্থা নেই ৷ রক্তাক্ত অবস্থায় শিলিগুড়িতে রেফার করা হয় ৷ একজন মানুষের যদি এত রক্তপাত হয় তাহলে সে বাঁচবে কী করে ? এত পর্যটক পাহাড়ে যায় তারাও এই সমস্যায় পড়তে পারে । যে তারে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে । ওই তার এখনও সরানো হয়নি । আমাদের পরিচিত একজন পরে দার্জিলিং গেছে ৷ সেও দেখেছে তারটি এখনও রয়েছে ৷"