ETV Bharat / state

Nawshad Siddiqui: জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন নওশাদের - নওশাদ সিদ্দিকী

Nawshad Siddiqui Joynagar TMC Leader Murder Case: সোমবার ভোরে দক্ষিণ 24 পরগনার জয়নগরে তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতাকে খুন করা হয় ৷ পরে এক সন্দেহভাজনকে পিটিয়ে মারার অভিযোগও ওঠে ৷ এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী প্রশ্ন তুললেন ৷

Nawshad Siddiqui
Nawshad Siddiqui
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 14, 2023, 1:00 PM IST

জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন নওশাদের

হুগলি, 14 নভেম্বর: দক্ষিণ 24 পরগনার জয়নগরে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা খুনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী ৷ এই ঘটনায় অবিলম্বে প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তিনি ৷ তাঁর আরও বক্তব্য, বগটুইয়ের মতো যেন এই ঘটনা ধামাচাপা পড়ে না যায় ৷

উল্লেখ্য, সোমবার ভোরে জয়নগর থানা এলাকায় সইফুদ্দিন লস্কর নামে এক তৃণমূল নেতাকে খুন করে দুষ্কৃতীরা ৷ এই নিয়ে নওশাদ সিদ্দিকীর বক্তব্য, ‘‘যে ঘটনা জয়নগরে ঘটেছে, বা এখনও ঘটে চলেছে, তা অত্যন্ত নিন্দাজনক ও দুর্ভাগ্যজনক ৷ একজন জনপ্রতিনিধি বাড়ি থেকে বের হয়ে নমাজ পড়তে যাচ্ছেন, সেই সময় তিনি দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে মারা গেলেন ৷ পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে, এই ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ৷’’

এখানেই না থেমে, তিনি আরও বলেন, ‘‘যারা তৃণমূলের ওই নেতাকে গুলি মারল, তাদের ধিক্কার ও নিন্দা জানাচ্ছি ৷ আমরা আশা করি পুলিশ প্রকৃত তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করবে ৷ বগটুইয়ের মতো কয়েকদিন পর সব চেপে দেওয়া হবে, চুপ হয়ে যাবে, সেটা আমরা চাই না ৷’’

প্রসঙ্গত, ওই ঘটনার পর জয়নগরের ওই এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়ায় ৷ একজনকে অভিযুক্ত সন্দেহে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে ৷ এছাড়া এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয় ৷ এই নিয়ে নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, ‘‘তার পরই যে ঘটনা ঘটেছে, তা দেখে আমরা আশঙ্কিত ৷ একজনকে পিটিয়ে মারা হল ৷ বেছে বেছে সিপিএম সমর্থকদের বাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে ৷ এটা মোটেই কাম্য নয় ৷’’

এর পরই তিনি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ৷ ভাঙড়ের বিধায়ক বলেন, ‘‘পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এখানে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে ৷ খুন হয়ে যাওয়ার পর নিশ্চয় সেখানে পুলিশ গিয়েছিল ৷ তার পর একজনকে পিটিয়ে মারা হল ৷ পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করতে পারল না কেন ? তার পর একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হল, তার পরও পুলিশের তা আটকাতে পারল না ৷ এখানেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে ৷ এটাও শুনলাম যে সেখানে নাকি ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে ৷ এতগুলো বিষয় থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ৷’’

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, 2022 সালের মার্চ মাস নাগাদ বীরভূমের রামপুরহাটে এক তৃণমূল নেতা খুন হন ৷ এই ঘটনার পরই স্থানীয় বগটুই গ্রামে একাধিক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় ৷ অভিযোগ ওঠে যে খুন হওয়া ভাদু শেখের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর লোকেরা সেখানে থাকতেন ৷ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত 10 জনের মৃত্যু হয় ৷ তার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে রাজ্যের সমস্ত বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের নির্দেশ দেন ৷

জয়নগরের ঘটনার পর সেই প্রসঙ্গও তুলেছেন নওশাদ সিদ্দিকী ৷ তিনি বলেন, ‘‘বগটুইয়ের ঘটনার পর মুখ্য়মন্ত্রী সব অস্ত্র উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷ তাহলে কি পুলিশ অস্ত্র উদ্ধারে ব্যর্থ ? আসলে পুলিশের শক্তি পুরোপুরি নেই ৷ প্রায় দেড় লক্ষ শূন্যপদ রয়েছে ৷ এগুলো তো পূরণ করা দরকার ৷’’

অন্যদিকে হুগলির সাংসদ বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্য়ায় এই নিয়ে সরাসরি কাঠগড়ায় তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৷ তাঁর বক্তব্য, বগটুই থেকে জয়নগর, একের পর এক এই ধরনের ঘটনা ঘটছে ৷ মুখ্যমন্ত্রী কোনও ব্যবস্থা নেন না বলেই বারবার এই ধরনের ঘটনা ঘটছে ৷

আরও পড়ুন:

  1. নমাজ পড়তে যাওয়ার পথে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির
  2. তৃণমূল নেতা খুনে জয়নগরে ধুন্ধুমার; অভিযুক্তকে পিটিয়ে হত্যা, জ্বলছে গ্রাম
  3. জোড়া খুনে অগ্নিগর্ভ জয়নগর, সিপিএম সমর্থকদের বাড়ি জ্বালানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন নওশাদের

হুগলি, 14 নভেম্বর: দক্ষিণ 24 পরগনার জয়নগরে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা খুনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী ৷ এই ঘটনায় অবিলম্বে প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তিনি ৷ তাঁর আরও বক্তব্য, বগটুইয়ের মতো যেন এই ঘটনা ধামাচাপা পড়ে না যায় ৷

উল্লেখ্য, সোমবার ভোরে জয়নগর থানা এলাকায় সইফুদ্দিন লস্কর নামে এক তৃণমূল নেতাকে খুন করে দুষ্কৃতীরা ৷ এই নিয়ে নওশাদ সিদ্দিকীর বক্তব্য, ‘‘যে ঘটনা জয়নগরে ঘটেছে, বা এখনও ঘটে চলেছে, তা অত্যন্ত নিন্দাজনক ও দুর্ভাগ্যজনক ৷ একজন জনপ্রতিনিধি বাড়ি থেকে বের হয়ে নমাজ পড়তে যাচ্ছেন, সেই সময় তিনি দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে মারা গেলেন ৷ পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে, এই ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ৷’’

এখানেই না থেমে, তিনি আরও বলেন, ‘‘যারা তৃণমূলের ওই নেতাকে গুলি মারল, তাদের ধিক্কার ও নিন্দা জানাচ্ছি ৷ আমরা আশা করি পুলিশ প্রকৃত তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করবে ৷ বগটুইয়ের মতো কয়েকদিন পর সব চেপে দেওয়া হবে, চুপ হয়ে যাবে, সেটা আমরা চাই না ৷’’

প্রসঙ্গত, ওই ঘটনার পর জয়নগরের ওই এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়ায় ৷ একজনকে অভিযুক্ত সন্দেহে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে ৷ এছাড়া এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয় ৷ এই নিয়ে নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, ‘‘তার পরই যে ঘটনা ঘটেছে, তা দেখে আমরা আশঙ্কিত ৷ একজনকে পিটিয়ে মারা হল ৷ বেছে বেছে সিপিএম সমর্থকদের বাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে ৷ এটা মোটেই কাম্য নয় ৷’’

এর পরই তিনি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ৷ ভাঙড়ের বিধায়ক বলেন, ‘‘পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এখানে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে ৷ খুন হয়ে যাওয়ার পর নিশ্চয় সেখানে পুলিশ গিয়েছিল ৷ তার পর একজনকে পিটিয়ে মারা হল ৷ পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করতে পারল না কেন ? তার পর একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হল, তার পরও পুলিশের তা আটকাতে পারল না ৷ এখানেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে ৷ এটাও শুনলাম যে সেখানে নাকি ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে ৷ এতগুলো বিষয় থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ৷’’

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, 2022 সালের মার্চ মাস নাগাদ বীরভূমের রামপুরহাটে এক তৃণমূল নেতা খুন হন ৷ এই ঘটনার পরই স্থানীয় বগটুই গ্রামে একাধিক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় ৷ অভিযোগ ওঠে যে খুন হওয়া ভাদু শেখের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর লোকেরা সেখানে থাকতেন ৷ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত 10 জনের মৃত্যু হয় ৷ তার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে রাজ্যের সমস্ত বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের নির্দেশ দেন ৷

জয়নগরের ঘটনার পর সেই প্রসঙ্গও তুলেছেন নওশাদ সিদ্দিকী ৷ তিনি বলেন, ‘‘বগটুইয়ের ঘটনার পর মুখ্য়মন্ত্রী সব অস্ত্র উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷ তাহলে কি পুলিশ অস্ত্র উদ্ধারে ব্যর্থ ? আসলে পুলিশের শক্তি পুরোপুরি নেই ৷ প্রায় দেড় লক্ষ শূন্যপদ রয়েছে ৷ এগুলো তো পূরণ করা দরকার ৷’’

অন্যদিকে হুগলির সাংসদ বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্য়ায় এই নিয়ে সরাসরি কাঠগড়ায় তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৷ তাঁর বক্তব্য, বগটুই থেকে জয়নগর, একের পর এক এই ধরনের ঘটনা ঘটছে ৷ মুখ্যমন্ত্রী কোনও ব্যবস্থা নেন না বলেই বারবার এই ধরনের ঘটনা ঘটছে ৷

আরও পড়ুন:

  1. নমাজ পড়তে যাওয়ার পথে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির
  2. তৃণমূল নেতা খুনে জয়নগরে ধুন্ধুমার; অভিযুক্তকে পিটিয়ে হত্যা, জ্বলছে গ্রাম
  3. জোড়া খুনে অগ্নিগর্ভ জয়নগর, সিপিএম সমর্থকদের বাড়ি জ্বালানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.