ETV Bharat / state

জেলা সভাপতির ডাকা সম্মেলনে আসলেন না সাংসদ অপরূপা - তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে জেরবার তৃণমূল। হুগলিতে তৃণমূলের মধ্যে একাধিক গোষ্ঠী মাথা চাড়া দিয়েছে ৷ তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবের ডাকা সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না পরশুড়ার বিধায়ক নুরুজ্জামান সহ আরামবাগের  সাংসদ অপরূপা পোদ্দার।

inner clash of tmc
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
author img

By

Published : Oct 14, 2020, 4:29 PM IST

হুগলি,14 অক্টোবর :তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব মেটাবার কথা বলেছেন ৷ যারা দলের মধ্যে পরস্পর মিলেমিশে থাকতে পারবে না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁসিয়ারিও দিয়েছেন দলনেত্রী ৷ অথচ গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরবার তৃণমূল। নিচু তলার কর্মী থেকে বিধায়ক ও সাংসদ সকলেই পরস্পরের দিকে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন প্রতিদিন। হুগলিতে একদিকে MP ও MLA রা জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবকে এক হাত নিচ্ছেন, অন্যদিকে তৃণমূলের কর্মী সম্মেলনে দেখা মিলছে না বিধায়ক ও সাংসদদের। তার উপর সম্মেলনেই ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গেছে নিচু তলার কর্মীদের।পঞ্চায়েতগুলি যেন ঘুঘুর বাসায় পরিণত হয়েছে বলে দাবি করেছে এক তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। সেই সঙ্গে সম্মেলন থেকে মন্ত্রীর পাশাপাশি নেতারা উস্কানি মূলক মন্তব্য দিতে কসুর করছেন না। সব মিলিয়ে জেলা তৃণমূল সংগঠনে দ্বন্দ্ব প্রকট। রাজ্য তৃণমূল তরফে যখন কর্মীদের সঙ্ঘবদ্ধ করার জন্য প্রতিটি বিধানসভায় কর্মী সম্মেলন করা হচ্ছে । আর সেই কর্মী সম্মেলনে একের পর এক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসছে। এদিনের পুরশুড়া বিধানসভার কনভেনর কিংকর মাইতির ডাকা সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না পরশুড়ার বিধায়ক নুরুজ্জামান-সহ আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। তবে এদিন 180 ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে সাংসদ অপরূপা বলেন," দিলীপ যাদব আমার দাদা।আমি তাকে রাখি পরাই। আমি কারুর বিরুদ্ধে বলিনি । আমাদের কর্মীরা বলছেন, আমরা সম্মেলন জানতে পারছি। পুরানো কর্মীরা দলে জায়গা পাচ্ছে না তাই আমি বলছি।"

তৃণমূলের সভা
পুরশুড়া বিধানসভার তাঁতিশাল পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন হাজরা জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবের সামনেই ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন "পঞ্চায়েতে এক একটি ঘুঘুর বাসা তৈরি হয়েছে,মাশল ম্যান হয়ে শুধু কামানো জন্য তারা ঘুরঘুর করছে পঞ্চায়েতে। আর আমাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে এলাকার উন্নয়ন হবে না। আমার এলাকায় বঞ্চিত হয়ে রয়েছে। এই জিনিস চলছে। আজ আমাদের প্রশাসন ঠিক মতো চলছে না। যেমন আমফানে আমাদের নাম দিতে বলা হয়েছিল।একবার নয় পাঁচবার দিয়েছি। সত্যিকার যোগ্য ব্যক্তি তারা ৷ আমফানে কোন ক্ষতিপূরণ পায়নি।পেয়েছে কারা যাদের দোতলা পাকা বাড়ি তারা পেয়েছে। এটা জেলাসভাপতি গোচরে আনার চেষ্টা করছি। প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত ধরে ধরে পর্যালোচনা করা যায় তাহলে 21 সালে কাজ হবে। পঞ্চায়েতে গেলে বুঝতে পারবে কি অবস্থায় আছে পঞ্চায়েতগুলো। এখানে তৃণমূলে যার শক্তি বেশি তার এলাকায় কাজ হবে। যার শক্তি নেই তার এলাকায় কাজ হবে না।"এই সম্মেলনে যুব তৃণমূলেরও একটা বড় অংশও ছিল না, ছিল না অনেক পঞ্চায়েত সদস্যরাও। পুরশুড়ার 2 এলাকার আর এক তৃণমূল সদস্য বলেন "আজকে কিংকরের ডাকে সম্মেলন হচ্ছে "কাল পারভেজের ডাকে হবে, পরশু খোকন মল্লিকের ডাকে হবে, এমনটা হলে চলবে না" ৷ শুধু গোষ্ঠী দ্বন্দ্বই নয়, সম্মেলন থেকে আবার BJP-কে সরাসরি হুমকি দেওয়া হল। এদিনে পুরশুড়া বিধায়ক নুরুজ্জামান ও সাংসদ অপরুপা পোদ্দার আসেনি কেন?এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব কোনও উত্তর দেননি ।

হুগলি,14 অক্টোবর :তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব মেটাবার কথা বলেছেন ৷ যারা দলের মধ্যে পরস্পর মিলেমিশে থাকতে পারবে না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁসিয়ারিও দিয়েছেন দলনেত্রী ৷ অথচ গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরবার তৃণমূল। নিচু তলার কর্মী থেকে বিধায়ক ও সাংসদ সকলেই পরস্পরের দিকে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন প্রতিদিন। হুগলিতে একদিকে MP ও MLA রা জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবকে এক হাত নিচ্ছেন, অন্যদিকে তৃণমূলের কর্মী সম্মেলনে দেখা মিলছে না বিধায়ক ও সাংসদদের। তার উপর সম্মেলনেই ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গেছে নিচু তলার কর্মীদের।পঞ্চায়েতগুলি যেন ঘুঘুর বাসায় পরিণত হয়েছে বলে দাবি করেছে এক তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। সেই সঙ্গে সম্মেলন থেকে মন্ত্রীর পাশাপাশি নেতারা উস্কানি মূলক মন্তব্য দিতে কসুর করছেন না। সব মিলিয়ে জেলা তৃণমূল সংগঠনে দ্বন্দ্ব প্রকট। রাজ্য তৃণমূল তরফে যখন কর্মীদের সঙ্ঘবদ্ধ করার জন্য প্রতিটি বিধানসভায় কর্মী সম্মেলন করা হচ্ছে । আর সেই কর্মী সম্মেলনে একের পর এক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসছে। এদিনের পুরশুড়া বিধানসভার কনভেনর কিংকর মাইতির ডাকা সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না পরশুড়ার বিধায়ক নুরুজ্জামান-সহ আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। তবে এদিন 180 ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে সাংসদ অপরূপা বলেন," দিলীপ যাদব আমার দাদা।আমি তাকে রাখি পরাই। আমি কারুর বিরুদ্ধে বলিনি । আমাদের কর্মীরা বলছেন, আমরা সম্মেলন জানতে পারছি। পুরানো কর্মীরা দলে জায়গা পাচ্ছে না তাই আমি বলছি।"

তৃণমূলের সভা
পুরশুড়া বিধানসভার তাঁতিশাল পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন হাজরা জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবের সামনেই ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন "পঞ্চায়েতে এক একটি ঘুঘুর বাসা তৈরি হয়েছে,মাশল ম্যান হয়ে শুধু কামানো জন্য তারা ঘুরঘুর করছে পঞ্চায়েতে। আর আমাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে এলাকার উন্নয়ন হবে না। আমার এলাকায় বঞ্চিত হয়ে রয়েছে। এই জিনিস চলছে। আজ আমাদের প্রশাসন ঠিক মতো চলছে না। যেমন আমফানে আমাদের নাম দিতে বলা হয়েছিল।একবার নয় পাঁচবার দিয়েছি। সত্যিকার যোগ্য ব্যক্তি তারা ৷ আমফানে কোন ক্ষতিপূরণ পায়নি।পেয়েছে কারা যাদের দোতলা পাকা বাড়ি তারা পেয়েছে। এটা জেলাসভাপতি গোচরে আনার চেষ্টা করছি। প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত ধরে ধরে পর্যালোচনা করা যায় তাহলে 21 সালে কাজ হবে। পঞ্চায়েতে গেলে বুঝতে পারবে কি অবস্থায় আছে পঞ্চায়েতগুলো। এখানে তৃণমূলে যার শক্তি বেশি তার এলাকায় কাজ হবে। যার শক্তি নেই তার এলাকায় কাজ হবে না।"এই সম্মেলনে যুব তৃণমূলেরও একটা বড় অংশও ছিল না, ছিল না অনেক পঞ্চায়েত সদস্যরাও। পুরশুড়ার 2 এলাকার আর এক তৃণমূল সদস্য বলেন "আজকে কিংকরের ডাকে সম্মেলন হচ্ছে "কাল পারভেজের ডাকে হবে, পরশু খোকন মল্লিকের ডাকে হবে, এমনটা হলে চলবে না" ৷ শুধু গোষ্ঠী দ্বন্দ্বই নয়, সম্মেলন থেকে আবার BJP-কে সরাসরি হুমকি দেওয়া হল। এদিনে পুরশুড়া বিধায়ক নুরুজ্জামান ও সাংসদ অপরুপা পোদ্দার আসেনি কেন?এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব কোনও উত্তর দেননি ।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.