ETV Bharat / state

সিঙ্গুরে অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, কী বলছেন কৃষকরা ? - 2020-তে অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক

কী চাইছে সিঙ্গুর? শিল্প নাকি জমি ? 2020 সালে এসে কী বলছেন সেখানকরা কৃষকরা?

singur farmers
singur farmers
author img

By

Published : Dec 28, 2020, 5:10 PM IST

সিঙ্গুর, 28 ডিসেম্বর : সিঙ্গুরের চাষিদের জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেই সিঙ্গুরের জন্যই এবার শিল্প স্থাপনের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর । সিঙ্গুরে তৈরি হবে অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক । নবান্নে একথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি জানান, ওই পার্ক তৈরি করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্ষুদ্র শিল্পোন্নয়ন নিগম । 11 একর জমির উপর তৈরি হবে ওই পার্ক । ইতিমধ্যেই জাতীয় সড়কের পাশে ও সিঙ্গুর রেল স্টেশনের কাছে জমি বরাদ্দ হয়ে গিয়েছে । সেখানে সীমানা প্রাচীর তৈরির কাজও চলছে । প্রায় দেড় দশক আগে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য চেয়েছিলেন সিঙ্গুরে শিল্প আনতে । কিন্তু পারেননি । বিরোধিতা করেছিলেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এবার তিনিই সিঙ্গুরে অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরির ঘোষণা করলেন । একদিকে যখন মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে নিজেদের নৈতিক জয় মনে করছে বাম শিবির, তখন অপরদিকে মুখ্যমন্ত্রীর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ঘোষণাকে নির্বাচনী গিমিক বলছে বিরোধীরা ৷ কিন্তু কী চাইছে সিঙ্গুর ? শিল্প নাকি জমি ? 2020 সালে এসে কী বলছেন সেখানকরা কৃষকরা ?

কেউ কেউ বলছেন বর্তমানে যে জমি ফেরত পাওয়া গিয়েছে তা চাষের অনুপোযোগী ৷ শিল্পপার্ক মুখ্যমন্ত্রীর চমক, তাছাড়া কিছুই নয় ৷ কেউ আবার বলছেন, আমরা মা-মাটির মানুষ, মা-মাটির জন্যই খেতে পাচ্ছি ৷ মা-মাটিই ভালো ৷ চাষবাস ভালো৷ শিল্প চাই না ৷ সিঙ্গুরের এক চাষি মানব পাঁজা বলেন, "এখনও চাষযোগ্য হয়নি জমি । এখনও জমিতে বোল্ডারে ভরতি । চাষ সম্ভব নয় । দিদিমণি মুখে বলছেন এক, হচ্ছে আরেক । এখনও আমরা জমির টাকাই পাইনি । আমাদের জমির দলিল আছে, পর্চা নেই । দিদিমণি বলেছিলেন কেস করতে । জমির টাকাও পাইনি । সিঙ্গুর শিল্প নিয়ে আমরা আশাবাদী নই । টাটার মতো শিল্প সংস্থা চলে গেল এখন কী করে শিল্প হবে?" ওই কৃষক আরও বলেন, "তখন আন্দোলন করেছিলাম দিদিমণির কথা শুনে ৷ চাষ করব বলে আন্দোলন করেছিলাম । এই তো চাষের অবস্থা । জমিতে পাথর বোল্ডার থাকায় চাষ করা যাচ্ছে না । এক বিঘা জমি তৈরি করতে গেলে 20 হাজার টাকা লাগবে । সিঙ্গুর আন্দোলন করে দশ বছর ধরে যা চিত্র দেখছি সেই থেকেই বলছি সিঙ্গুরে শিল্পের সম্ভাবনা নেই ।"

আবার অনেক চাষিই বলছেন, শিল্প-কৃষি দুই দরকার ৷ রাজ্যে উন্নতির জন্য শিল্পের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ৷ এপ্রসঙ্গে সিঙ্গুরের কৃষক জয়দেব কোলে বলেন, শিল্প, কৃষি দুই থাক ভাই-ভাই হিসেবে ৷ তিনি আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও দিন বলেননি শিল্প হবে না ৷ যাঁরা মিথ্যা দোষারোপ করছেন তাঁরা লাল গামছা ছেড়ে গেরুয়া গামছা পরেছেন ৷ অপর এক কৃষক লোকনাথ শী বলেন, "মানুষের ভালো হলে আমাদেরও ভালো ৷ শিল্প না হলে কোনও দিনই দেশের উন্নতি হবে না ৷ শিল্পের প্রয়োজন আছে ৷ শিল্প হলেই তো ছেলে-মেয়েরা চাকরি পাবে ৷ কৃষিতে কৃষি হোক, শিল্পের জায়গায় শিল্প হোক ৷

যদিও বামেদের অভিযোগের আঙুল এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে । মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের শিল্প, চাষ ও কর্মসংস্থানকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন সুজন চক্রবর্তী । তাঁর প্রশ্ন, গত দশ বছর কোথায় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ? মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছেন, "হিম্মত থাকলে সিঙ্গুরের শিল্পের জন্য জমি যাঁরা কেনাবেচা করতে চাইছেন, তাঁদের ঠেকান ।"

আরও পড়ুন : সিঙ্গুরে তৈরি হবে অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক : মুখ্যমন্ত্রী

সিঙ্গুরের সিপিআইএম নেতা উদয়ন দাস তৃণমূল নেত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন, "প্রায় দশ বছর পর তৎকালীন বিরোধী নেত্রীর যে বোধোদয় হয়েছে তার জন্য সাধুবাদ । কৃষির সঙ্গে শিল্পটা প্রয়োজন সেটা শুনেও ভালো লাগল । কিন্তু হাজার একরের শিল্পকে তাড়িয়ে 11 একর জমিতে কৃষিভিত্তিক শিল্পটা কীভাবে হবে তা আমদের কাছে বোধগম্য হয়নি । হাজার একর জমি ফেরত দেওয়া হল সেটা চাষযোগ্য হল কি না তা জানা নেই । মাত্র 11 একরে কী শিল্প হবে আমাদের কাছে স্পষ্ট নয় । নির্বাচনের পর কী হবে আমাদের সে বিষয়েও যথেষ্ট সংশয় আছে ।"

কী বলছেন কৃষকেরা

বিজেপি নেতা সঞ্জয় পান্ডে বলেন, "দশ বছরেও সিঙ্গুরের কৃষি জমিকে চাষযোগ্য করতে পারলেন না । 21-এর বিধানসভা নির্বাচন বৈতরণী পার হওয়ার জন্য সিঙ্গুরের মানুষকে 'ললি পপ' দেখাচ্ছেন । সিঙ্গুরে কিছুই হবে না । বাংলার মানুষ জানেন এই সরকার যাচ্ছে, বিজেপি আসছে ।"

আরও পড়ুন : সিঙ্গুরে অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ঘোষণা নির্বাচনী গিমিক, বলছে বিরোধীরা

যদিও, হরিপালের বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা বেচারাম মান্নার গলায় ভিন্ন সুর ৷ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যাঁরা শিল্প বিরোধী তকমা দিচ্ছেন তাঁরা জানেন না, তৎকালীন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধি ,পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও বুদ্ধবাবু বসে যে চুক্তি হয়েছিল তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজি ছিলেন । তখন যদি সিপিআইএম-এর সদিচ্ছা থাকত তাহলে শিল্প করতে পারত । তাঁর আরও দাবি, মুখ্যমন্ত্রী শিল্পবিরোধী নন ৷ তিনি সাড়ে নয় বছরে রাজ্যে বিদেশি লগ্নি এনেছেন । বাম সরকার তা পারেনি । বিরোধীদের চোখে ন্যাবা হয়েছে আর ছানি হয়েছে । এসব মানুষ দেখতে পাচ্ছে, বিরোধীরা দেখতে পাচ্ছে না ।"

সিঙ্গুর, 28 ডিসেম্বর : সিঙ্গুরের চাষিদের জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেই সিঙ্গুরের জন্যই এবার শিল্প স্থাপনের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর । সিঙ্গুরে তৈরি হবে অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক । নবান্নে একথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি জানান, ওই পার্ক তৈরি করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্ষুদ্র শিল্পোন্নয়ন নিগম । 11 একর জমির উপর তৈরি হবে ওই পার্ক । ইতিমধ্যেই জাতীয় সড়কের পাশে ও সিঙ্গুর রেল স্টেশনের কাছে জমি বরাদ্দ হয়ে গিয়েছে । সেখানে সীমানা প্রাচীর তৈরির কাজও চলছে । প্রায় দেড় দশক আগে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য চেয়েছিলেন সিঙ্গুরে শিল্প আনতে । কিন্তু পারেননি । বিরোধিতা করেছিলেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এবার তিনিই সিঙ্গুরে অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরির ঘোষণা করলেন । একদিকে যখন মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে নিজেদের নৈতিক জয় মনে করছে বাম শিবির, তখন অপরদিকে মুখ্যমন্ত্রীর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ঘোষণাকে নির্বাচনী গিমিক বলছে বিরোধীরা ৷ কিন্তু কী চাইছে সিঙ্গুর ? শিল্প নাকি জমি ? 2020 সালে এসে কী বলছেন সেখানকরা কৃষকরা ?

কেউ কেউ বলছেন বর্তমানে যে জমি ফেরত পাওয়া গিয়েছে তা চাষের অনুপোযোগী ৷ শিল্পপার্ক মুখ্যমন্ত্রীর চমক, তাছাড়া কিছুই নয় ৷ কেউ আবার বলছেন, আমরা মা-মাটির মানুষ, মা-মাটির জন্যই খেতে পাচ্ছি ৷ মা-মাটিই ভালো ৷ চাষবাস ভালো৷ শিল্প চাই না ৷ সিঙ্গুরের এক চাষি মানব পাঁজা বলেন, "এখনও চাষযোগ্য হয়নি জমি । এখনও জমিতে বোল্ডারে ভরতি । চাষ সম্ভব নয় । দিদিমণি মুখে বলছেন এক, হচ্ছে আরেক । এখনও আমরা জমির টাকাই পাইনি । আমাদের জমির দলিল আছে, পর্চা নেই । দিদিমণি বলেছিলেন কেস করতে । জমির টাকাও পাইনি । সিঙ্গুর শিল্প নিয়ে আমরা আশাবাদী নই । টাটার মতো শিল্প সংস্থা চলে গেল এখন কী করে শিল্প হবে?" ওই কৃষক আরও বলেন, "তখন আন্দোলন করেছিলাম দিদিমণির কথা শুনে ৷ চাষ করব বলে আন্দোলন করেছিলাম । এই তো চাষের অবস্থা । জমিতে পাথর বোল্ডার থাকায় চাষ করা যাচ্ছে না । এক বিঘা জমি তৈরি করতে গেলে 20 হাজার টাকা লাগবে । সিঙ্গুর আন্দোলন করে দশ বছর ধরে যা চিত্র দেখছি সেই থেকেই বলছি সিঙ্গুরে শিল্পের সম্ভাবনা নেই ।"

আবার অনেক চাষিই বলছেন, শিল্প-কৃষি দুই দরকার ৷ রাজ্যে উন্নতির জন্য শিল্পের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ৷ এপ্রসঙ্গে সিঙ্গুরের কৃষক জয়দেব কোলে বলেন, শিল্প, কৃষি দুই থাক ভাই-ভাই হিসেবে ৷ তিনি আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও দিন বলেননি শিল্প হবে না ৷ যাঁরা মিথ্যা দোষারোপ করছেন তাঁরা লাল গামছা ছেড়ে গেরুয়া গামছা পরেছেন ৷ অপর এক কৃষক লোকনাথ শী বলেন, "মানুষের ভালো হলে আমাদেরও ভালো ৷ শিল্প না হলে কোনও দিনই দেশের উন্নতি হবে না ৷ শিল্পের প্রয়োজন আছে ৷ শিল্প হলেই তো ছেলে-মেয়েরা চাকরি পাবে ৷ কৃষিতে কৃষি হোক, শিল্পের জায়গায় শিল্প হোক ৷

যদিও বামেদের অভিযোগের আঙুল এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে । মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের শিল্প, চাষ ও কর্মসংস্থানকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন সুজন চক্রবর্তী । তাঁর প্রশ্ন, গত দশ বছর কোথায় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ? মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছেন, "হিম্মত থাকলে সিঙ্গুরের শিল্পের জন্য জমি যাঁরা কেনাবেচা করতে চাইছেন, তাঁদের ঠেকান ।"

আরও পড়ুন : সিঙ্গুরে তৈরি হবে অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক : মুখ্যমন্ত্রী

সিঙ্গুরের সিপিআইএম নেতা উদয়ন দাস তৃণমূল নেত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন, "প্রায় দশ বছর পর তৎকালীন বিরোধী নেত্রীর যে বোধোদয় হয়েছে তার জন্য সাধুবাদ । কৃষির সঙ্গে শিল্পটা প্রয়োজন সেটা শুনেও ভালো লাগল । কিন্তু হাজার একরের শিল্পকে তাড়িয়ে 11 একর জমিতে কৃষিভিত্তিক শিল্পটা কীভাবে হবে তা আমদের কাছে বোধগম্য হয়নি । হাজার একর জমি ফেরত দেওয়া হল সেটা চাষযোগ্য হল কি না তা জানা নেই । মাত্র 11 একরে কী শিল্প হবে আমাদের কাছে স্পষ্ট নয় । নির্বাচনের পর কী হবে আমাদের সে বিষয়েও যথেষ্ট সংশয় আছে ।"

কী বলছেন কৃষকেরা

বিজেপি নেতা সঞ্জয় পান্ডে বলেন, "দশ বছরেও সিঙ্গুরের কৃষি জমিকে চাষযোগ্য করতে পারলেন না । 21-এর বিধানসভা নির্বাচন বৈতরণী পার হওয়ার জন্য সিঙ্গুরের মানুষকে 'ললি পপ' দেখাচ্ছেন । সিঙ্গুরে কিছুই হবে না । বাংলার মানুষ জানেন এই সরকার যাচ্ছে, বিজেপি আসছে ।"

আরও পড়ুন : সিঙ্গুরে অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ঘোষণা নির্বাচনী গিমিক, বলছে বিরোধীরা

যদিও, হরিপালের বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা বেচারাম মান্নার গলায় ভিন্ন সুর ৷ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যাঁরা শিল্প বিরোধী তকমা দিচ্ছেন তাঁরা জানেন না, তৎকালীন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধি ,পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও বুদ্ধবাবু বসে যে চুক্তি হয়েছিল তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজি ছিলেন । তখন যদি সিপিআইএম-এর সদিচ্ছা থাকত তাহলে শিল্প করতে পারত । তাঁর আরও দাবি, মুখ্যমন্ত্রী শিল্পবিরোধী নন ৷ তিনি সাড়ে নয় বছরে রাজ্যে বিদেশি লগ্নি এনেছেন । বাম সরকার তা পারেনি । বিরোধীদের চোখে ন্যাবা হয়েছে আর ছানি হয়েছে । এসব মানুষ দেখতে পাচ্ছে, বিরোধীরা দেখতে পাচ্ছে না ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.