ETV Bharat / state

ভক্তসমাগম ছাড়াই মাহেশ ও গুপ্তিপাড়ায় জগন্নাথের স্নানযাত্রা পালন - জগন্নাথের স্নানযাত্রা

কোরোনা সংক্রমণের জেরে এবছর গুপ্তিপাড়া বৃন্দাবন চন্দ্র জিউর মন্দিরের মধ্যেই পালিত হল জগন্নাথের স্নানযাত্রা ৷ মাহেশের সেবাইত তমাল অধিকারী জানান, প্রশাসনের নির্দেশ মতো কোনও ভক্ত সমাগমের আনা গোনা চলবে না । আমরা নিজেরাই রীতি ও আচারের মাধ্যমে এবছরে রথ যাত্রা উৎযাপন করব ।

Jagannath bathing procession
জগন্নাথের স্নানযাত্রা
author img

By

Published : Jun 6, 2020, 2:57 AM IST

শ্রীরামপুর, 5 জুন : অনাড়ম্বরে পালিত হল মাহেশের স্নানযাত্রা। অপরদিকে গুপ্তিপাড়া বৃন্দাবন চন্দ্র জিউর মন্দিরের মধ্যে জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রার ব্যবস্থা করলেন মন্দির কর্তৃপক্ষ । কোরোনার জেরে আগেই বন্ধ হয়ে গেছে রথ যাত্রা। তার উপর সংক্রমণের জেরে মন্দিরের মধ্যেই জগন্নাথ বলরাম ও শুভদ্রাকে দুধ গঙ্গা জলে স্নান করে নিয়ম পালন করলেন সেবাইতরা । মন্দিরের সেবাইত ও নিদিষ্ট কিছু মানুষ ছাড়া মন্দিরে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।এই বছরের সরকারি নিয়ম মেনেই পালিত হবে রথযাত্রা । বাধ্য বাধকতার মধ্যে রীতি মেনে পালিত হচ্ছে জগন্নাথ দেবের আরাধনা। মাহেশের রথযাত্রা এবছরে 624 বছরের প্রাচীন স্নানযাত্রাতেও মহামারির কারনে এই প্রথম ছেদ পড়ল।

জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রার বিগ্রহ মাসির বাড়ি না গেলেও নারায়ণ শীলা নিয়ে মাসির বাড়ি যাবেন সেবাইতরা। রীতি অনুযায়ী রথযাত্রার আগে জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উৎসব হয়। স্নান পিড়ির মাঠে ধূমধাম করে হয় স্নানযাত্রা উৎসব । বহু ভক্তের সমাগম হয় অন্য বার। এবছর মন্দির কমিটি আগে থেকেই ঘোষণা করেন স্নানযাত্রা উৎসবও হবে না মাঠে ।

জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রার বিগ্রহ গর্ভগৃহের পিছনে ভোগ ঘরে নিয়ে গিয়ে দুধ গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করানো হয় শুধু সেবাইতদের উপস্থিতিতে । নিময় অনুযায়ী স্নানের পর জগন্নাথের কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে । লেপ কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকেন জগতের নাথ । আঠেরো দিন পর জ্বর ছাড়লে হয় অঙ্গরাগ । তারপর রথে চেপে মাসির বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন । হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয় প্রতিবছর । কিন্তু তাও এবারে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেল ।

মাহেশের সেবাইত তমাল অধিকারী বলেন, ‘‘কোরোনা মহামারির জন্য প্রশাসনের নির্দেশ মতো কোন ভক্ত সমাগমের আনা গোনা চলবে না । আমরা নিজেরাই রীতি ও আচারের মাধ্যমে এবছরে রথ যাত্রা উৎযাপন করব ।’’

শ্রীরামপুর, 5 জুন : অনাড়ম্বরে পালিত হল মাহেশের স্নানযাত্রা। অপরদিকে গুপ্তিপাড়া বৃন্দাবন চন্দ্র জিউর মন্দিরের মধ্যে জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রার ব্যবস্থা করলেন মন্দির কর্তৃপক্ষ । কোরোনার জেরে আগেই বন্ধ হয়ে গেছে রথ যাত্রা। তার উপর সংক্রমণের জেরে মন্দিরের মধ্যেই জগন্নাথ বলরাম ও শুভদ্রাকে দুধ গঙ্গা জলে স্নান করে নিয়ম পালন করলেন সেবাইতরা । মন্দিরের সেবাইত ও নিদিষ্ট কিছু মানুষ ছাড়া মন্দিরে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।এই বছরের সরকারি নিয়ম মেনেই পালিত হবে রথযাত্রা । বাধ্য বাধকতার মধ্যে রীতি মেনে পালিত হচ্ছে জগন্নাথ দেবের আরাধনা। মাহেশের রথযাত্রা এবছরে 624 বছরের প্রাচীন স্নানযাত্রাতেও মহামারির কারনে এই প্রথম ছেদ পড়ল।

জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রার বিগ্রহ মাসির বাড়ি না গেলেও নারায়ণ শীলা নিয়ে মাসির বাড়ি যাবেন সেবাইতরা। রীতি অনুযায়ী রথযাত্রার আগে জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উৎসব হয়। স্নান পিড়ির মাঠে ধূমধাম করে হয় স্নানযাত্রা উৎসব । বহু ভক্তের সমাগম হয় অন্য বার। এবছর মন্দির কমিটি আগে থেকেই ঘোষণা করেন স্নানযাত্রা উৎসবও হবে না মাঠে ।

জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রার বিগ্রহ গর্ভগৃহের পিছনে ভোগ ঘরে নিয়ে গিয়ে দুধ গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করানো হয় শুধু সেবাইতদের উপস্থিতিতে । নিময় অনুযায়ী স্নানের পর জগন্নাথের কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে । লেপ কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকেন জগতের নাথ । আঠেরো দিন পর জ্বর ছাড়লে হয় অঙ্গরাগ । তারপর রথে চেপে মাসির বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন । হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয় প্রতিবছর । কিন্তু তাও এবারে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেল ।

মাহেশের সেবাইত তমাল অধিকারী বলেন, ‘‘কোরোনা মহামারির জন্য প্রশাসনের নির্দেশ মতো কোন ভক্ত সমাগমের আনা গোনা চলবে না । আমরা নিজেরাই রীতি ও আচারের মাধ্যমে এবছরে রথ যাত্রা উৎযাপন করব ।’’

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.