মগরা, ২৭ মার্চ : "মানুষকে দেখানো হয় টিনের চালের বাড়ি, হাওয়াই চটি ও সাদা শাড়ি। আর পাশেই রয়েছে ভাইপোর পাঁচতলা বাড়ি। এত টাকা কোথা থেকে আসছে ? এত সোনা কোথা থেকে আসছে ? মানুষ তদন্ত চাইছে।" এই ভাষাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন হুগলির BJP প্রার্থী লকেট চ্যাটার্জি। গতকাল তিনি মগরায় একটি জনসভা করেন। এই সভা থেকে তিনি প্রশ্ন করেন, "বিমানবন্দরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী-র ব্যাগ কেন চেক করতে দেওয়া হয়নি ? কেন তাঁকে বাঁচানোর জন্য পুলিশকে কাজে লাগানো হয়েছিল?"
লকেট বলেন, "একজন সাংসদের বউ থাইল্যান্ড থেকে সোনা নিয়ে আসছেন (এই অভিযোগ অবশ্য অভিষেক আগেই অস্বীকার করেছেন)। ব্যাগে করে সোনা পাচার হচ্ছে। ব্যাগ চেক করতে দিচ্ছে না। পুলিশকে ফোন করছে। পুলিশ কাস্টমস থেকে তাঁকে নিয়ে যাচ্ছে। কেন সাংসদ ও সাধারণ মানুষের জন্য আলাদা নিয়ম হবে? পুলিশ কেন তাঁকে বাঁচিয়ে নিয়ে আসবে? এত সোনা কোথা থেকে আসছে? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এত বড় বাড়ি কী করে হয়? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টিনের চাল দেওয়া বাড়ি সবাই দেখে। তার পাশেই রয়েছে পাঁচতলা বাড়ি। আলু থেকে সব সোনা হয়ে যাচ্ছে। মানুষ এর তদন্ত চাইছে। আবার প্রেস কনফারেন্স করে মানুষকেই বলছেন মিথ্যে কথা রটানো হচ্ছে। সব কি মিথ্যা কথা ? বলছেন ভিডিয়ো ফুটেজ দেখাতে। নারদে তো ভিডিয়ো ফুটেজ দেখানো হয়েছিল। তখন বলেছিলেন সেটি জাল। এভাবে মানুষকে বোকা বানানো যায় না।"
লকেট চ্যাটার্জি পুলিশকে আক্রমণ করে বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধরনা মঞ্চে পুলিশকে পাশে নিয়ে বসছেন। নির্বাচন কমিশন বলছে এই পুলিশ থাকলে বাংলায় নির্বাচন সম্ভব নয়। এই সব পুলিশ থাকলে বাংলার মানুষকে ভোট দিতে দেবে না। পুলিশ এখন তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। আমরা ইলেকশন কমিশনের কাছে গেছিলাম। এখানে কারও কথা শোনা হয় না। শুধুমাত্র তৃণমূলের কথা শোনা হয়। আমাদের কর্মীরা দেওয়াল লিখতে গিয়ে মার খাচ্ছে। তৃণমূলের গুন্ডারা মারধর করছে উলটে পুলিশ BJP কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। এভাবে নির্বাচন চলতে পারে না। মানুষ যদি ভোট দিতে যেতে না পারে তাহলে সেই নির্বাচনের কী দরকার ? আমরা পঞ্চায়েতে দেখেছি। আমাদের শিক্ষা হয়ে গেছে।"