হুগলি,23 মে: মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলছেন রাজনীতি চাই না।অপরদিকে দিলীপ ঘোষকে আটকানো হচ্ছে।গতকালের পর হঠাৎ এই পরিবর্তনে আমাদেরও প্রতিবাদ প্রতিরোধ করতে হবে।প্রয়োজনে দেখতে হবে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এক হাজার কোটি টাকা আমফানে দুর্গত মানুষ পাচ্ছেন কিনা।যেন কোনও নেতা মন্ত্রীর পকেটে না যায় । কাটমানি না খেয়ে মানুষের কাছে পৌঁছালেই হবে।এভাবেই মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকারকে এভাবে কড়া সমালোচনা করলেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় । শনিবার পাণ্ডুয়ায় আমফানের ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি।
পরে তিনি বলেন, ''আমফানে দুর্যোগে পড়া মানুষের পাশে আমরা আছি। গতকাল পশ্চিমবঙ্গের দুর্গত মানুষদের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক হাজার কোটি টাকা দেওয়ার ঘোষণা করে গিয়েছেন। ভবিষ্যতে আরও দেবেন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য। পশ্চিমবঙ্গের সরকার সেই টাকাগুলোকে ঠিকঠাক ভাবে মানুষের কাছে যাতে পৌঁছায় কিনা সেটাই আমরা বলব। এর জন্য আমরা BJP কর্মীরা সজাগও থাকব। এই এক হাজার কোটি টাকা যেন কোনও নেতা মন্ত্রীর পকেটে না যায় তা দেখতে হবে।কাটমানি না খেয়ে মানুষের কাছে পৌঁছালেই হবে।''
লকেটের অভিযোগ, "কেন্দ্রের টাকা তৃণমূল নির্বাচনের জন্য খরচ করেছে। আমফান ঝড়ে আগাম পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখেনি রাজ্য সরকার । গত তিন চার দিন ধরে জল নেই বিদ্যুৎ নেই । মানুষের হাহাকার । বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে মানুষ খুব সমস্যায় পড়েছেন।" এই সাইক্লোন যে আসবে সরকার আগে থেকেই জানত । তাহলে কেন সেই তৎপরতা নেওয়া হয়নি প্রশ্ন লকেটের । তাঁর মতে এটা সম্পূর্ণ প্রশাসনের গাফিলতি।
লকেট বলেন, "আমাদের প্রধানমন্ত্রী রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। হাজার কোটি টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী নিজে বলছেন আমি কোনও রাজনীতি চাই না। কিন্তু আজকে আমাদের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ যখন দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দক্ষিণ 24 পরগনা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁকে আটকানো হচ্ছে। তাহলে রাজনীতিটা কে করছেন । উনি যদি এভাবে রাজনীতি করেন তাহলে আমাদের প্রতিবাদ করতে হবে প্রতিরোধ করতে হবে।" তিনি বলেন, গতকাল মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী একযোগে থেকে কাজ করেছেন। কিন্তু সেই জায়গায় আজ অনেকটাই পরিবর্তন হয়ে গেল ।