ETV Bharat / state

পাকিস্তানের হয়ে যারা কথা বলে তারা ভোট পাবে না : লকেট

author img

By

Published : Apr 1, 2019, 10:31 AM IST

পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গতকাল গাফিলতির অভিযোগ তোলেন কল্যাণ মজুমদার। তার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে কটাক্ষ করে লকেট বলেন, "পুলওয়ামা ও সেনাদের নিয়ে খিল্লি করে, রাজনীতি করে ভোট পাওয়ার চেষ্টা করছেন কল্যাণ ব্যানার্জি। এভাবে রাজনীতি করে মানুষের মন জেতা যায় না।"

লকেট

পাণ্ডুয়া, 1 এপ্রিল : "জঙ্গিদের লাশ গোনার নামে রাজনীতি করে। পাকিস্তানের হয়ে কথা যারা বলে তাদের মানুষ ভোট দেবে না।" কল্যাণ ব্যানার্জিকে কটাক্ষ করে গতকাল একথা বলেন হুগলির BJP প্রার্থী লকেট চ্যাটার্জি। গতকাল সকালেই কল্যাণ পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই লকেট বলেন, "পুলওয়ামা ও সেনাদের নিয়ে খিল্লি করে, রাজনীতি করে ভোট পাওয়ার চেষ্টা করছেন কল্যাণ ব্যানার্জি। এভাবে রাজনীতি করে মানুষের মন জেতা যায় না।"

গতকাল সকালে প্রচারে বেরোন শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ ব্যানার্জি। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "এটা বারবার প্রমাণিত হচ্ছে, ভারতে যে জঙ্গি হামলা হচ্ছে তার সুপারভিশন নরেন্দ্র মোদি করতে পারছেন না। এটা তাঁর ব্যার্থতা। পুলওয়ামায় ৪০ জন শহিদ হওয়ার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি, কাজে সহযোগিতার অভাব ও বুদ্ধিমত্তার অভাবই দায়ি। নরেন্দ্র মোদি শুধু কথা বলেন। কাজ করেন না।" এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল পাণ্ডুয়ায় প্রচারে এসে লকেট বলেন, "যারা পাকিস্তানের হয়ে কথা বলেন তাঁদের মানুষ ভোট দেবে না। যারা দেশের হয়ে কথা বলেন তাঁদেরই মানুষ ভোট দেবে। নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী আছেন তিনিই থাকবেন। কল্যাণ ব্যানার্জি এলাকায় কিছু করেননি। খুঁত ধরে কিছু করতে পারবেন না।"

গতকাল প্রচারে বেরিয়ে পাণ্ডুয়ার বাগ ময়দান গ্রামের সন্দীপ মুর্মুর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারেন লকেট। নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং অফিসারের বিরুদ্ধে তৃণমূলের হয়ে পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগ তোলেন তিনি। বলেন, "নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং অফিসারকে বহুবার ফোন করে জানানো সত্ত্বেও হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে নজর রাখছেন না। হুগলিতে যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয় তাহলে রাতারাতি এই কেন্দ্র চেঞ্জ হয়ে যাবে। আমরা যথাসম্ভব চেষ্টা করছি কেন্দ্রীয় বাহিনী আনার।" এরপরই তিনি বলেন, "হুগলি জেলায় বা কোথাও সেলিব্রিটি হয়ে কখনই থাকিনি। কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘ চার বছর মানুষের পাশে আছি।" জেতার ব্যাপারে ১০০ শতাংশ আশাবাদী লকেট চ্যাটার্জি বলেন, "মানুষ বুঝে গেছে। সংসদে গিয়ে মানুষের হয়ে কথা বলার মতো লোককেই তারা ভোট দেবে।"

প্রসঙ্গত, হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে এবারের BJP প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বিপরীতে তৃণমূলের রত্না দে(নাগ)। CPI(M)-এর প্রদীপ সাহা ও কংগ্রেসের প্রতুল সাহা। লকেট বলেন, "মানুষ হিসেবে ভালো হতে পারেন রত্না দে(নাগ)। কিন্তু মানুষের কাছে কী জবাব দেবেন তিনি? এতদিন কী কাজ করেছেন? একটা ভালো মানুষ আর একটা কাজের মানুষের মধ্যে পার্থক্য আছে।"

পাণ্ডুয়া, 1 এপ্রিল : "জঙ্গিদের লাশ গোনার নামে রাজনীতি করে। পাকিস্তানের হয়ে কথা যারা বলে তাদের মানুষ ভোট দেবে না।" কল্যাণ ব্যানার্জিকে কটাক্ষ করে গতকাল একথা বলেন হুগলির BJP প্রার্থী লকেট চ্যাটার্জি। গতকাল সকালেই কল্যাণ পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই লকেট বলেন, "পুলওয়ামা ও সেনাদের নিয়ে খিল্লি করে, রাজনীতি করে ভোট পাওয়ার চেষ্টা করছেন কল্যাণ ব্যানার্জি। এভাবে রাজনীতি করে মানুষের মন জেতা যায় না।"

গতকাল সকালে প্রচারে বেরোন শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ ব্যানার্জি। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "এটা বারবার প্রমাণিত হচ্ছে, ভারতে যে জঙ্গি হামলা হচ্ছে তার সুপারভিশন নরেন্দ্র মোদি করতে পারছেন না। এটা তাঁর ব্যার্থতা। পুলওয়ামায় ৪০ জন শহিদ হওয়ার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি, কাজে সহযোগিতার অভাব ও বুদ্ধিমত্তার অভাবই দায়ি। নরেন্দ্র মোদি শুধু কথা বলেন। কাজ করেন না।" এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল পাণ্ডুয়ায় প্রচারে এসে লকেট বলেন, "যারা পাকিস্তানের হয়ে কথা বলেন তাঁদের মানুষ ভোট দেবে না। যারা দেশের হয়ে কথা বলেন তাঁদেরই মানুষ ভোট দেবে। নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী আছেন তিনিই থাকবেন। কল্যাণ ব্যানার্জি এলাকায় কিছু করেননি। খুঁত ধরে কিছু করতে পারবেন না।"

গতকাল প্রচারে বেরিয়ে পাণ্ডুয়ার বাগ ময়দান গ্রামের সন্দীপ মুর্মুর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারেন লকেট। নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং অফিসারের বিরুদ্ধে তৃণমূলের হয়ে পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগ তোলেন তিনি। বলেন, "নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং অফিসারকে বহুবার ফোন করে জানানো সত্ত্বেও হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে নজর রাখছেন না। হুগলিতে যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয় তাহলে রাতারাতি এই কেন্দ্র চেঞ্জ হয়ে যাবে। আমরা যথাসম্ভব চেষ্টা করছি কেন্দ্রীয় বাহিনী আনার।" এরপরই তিনি বলেন, "হুগলি জেলায় বা কোথাও সেলিব্রিটি হয়ে কখনই থাকিনি। কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘ চার বছর মানুষের পাশে আছি।" জেতার ব্যাপারে ১০০ শতাংশ আশাবাদী লকেট চ্যাটার্জি বলেন, "মানুষ বুঝে গেছে। সংসদে গিয়ে মানুষের হয়ে কথা বলার মতো লোককেই তারা ভোট দেবে।"

প্রসঙ্গত, হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে এবারের BJP প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বিপরীতে তৃণমূলের রত্না দে(নাগ)। CPI(M)-এর প্রদীপ সাহা ও কংগ্রেসের প্রতুল সাহা। লকেট বলেন, "মানুষ হিসেবে ভালো হতে পারেন রত্না দে(নাগ)। কিন্তু মানুষের কাছে কী জবাব দেবেন তিনি? এতদিন কী কাজ করেছেন? একটা ভালো মানুষ আর একটা কাজের মানুষের মধ্যে পার্থক্য আছে।"

রায়গঞ্জ, ৩০ মার্চ, প্রসুন মৈত্র : খেলতে খেলতে এক ছাত্রের হাত থেকে ব্যাট ছুটে গিয়ে এক ছাত্রীর মাথায় আঘাত লাগে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় ইসলামপুর মহকুমার গোয়ালপোখর থানার নন্দঝাড় হাই স্কুলে। এই ঘটনায় আহত ওই ছাত্রীর অভিভাবকেরা এসে স্কুল ভাংচুরের পাশাপাশি শিক্ষকদের মারধোর করে বলে অভিযোগ। অভিভাবকদের মারে আহত হয় এক শিক্ষক। তাকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ওই ঘটনায় স্কুল চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে গোয়ালপোখর থানার পুলিশ। স্থানীয়সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল টিফিনের সময় স্কুলের ছাত্ররা স্কুল মাঠে ক্রিকেট খেলছিল। সেই সময় এক ছাত্রের হাত থেকে ব্যাট ছুটে গিয়ে সিমা মার্ডি নামে এক অষ্টম ছাত্রীর মাথায় লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্কুলের শিক্ষকেরা ওই ছাত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করে তাকে বাড়িতে পৌছে দিয়ে আসে। কিন্তু ওই ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ স্কুলের শিক্ষকেরা ওই ছাত্রীকে স্কুলেই বসিয়ে রাখে। পরে তার চিকিৎসা করা হয়। আজ সকালে ওই স্কুল ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা এসে আচমকাই স্কুল ভাঙ্গচুর চালানোর পাশাপাশি শিক্ষিকদের মারধোর করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় স্কুল চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভকারি দের মারে গুরুতর আহত হয় এক শিক্ষক। তাকে তড়িঘড়ি ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই শিক্ষক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে গোয়ালপোখর থানার পুলিশ। শিক্ষকদের অভিযোগ পুলিশের সামনে বিক্ষোভকারীরা তাদের মারধোর করে। পুলিশ নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে ঘটনা দেখে বলে অভিযোগ করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। নরেশ হাঁসদা জানিয়েছেন, এখানে অনেক মানুষ এসেছিল বলতে পারছি না কে বা কাহারা ভাংচুর চালিয়েছে। স্কুলের শিক্ষক ও পরিচালন সমিতির সদস্য আগে থেকেই ঘটনাটি জানে। কিন্তু তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি। শিক্ষকেরা কোন সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা। অন্যদিকে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিকাশ অধিকারী জানিয়েছেন, ওই ছাত্রীর ঠিক মতো চিকিৎসা করা হয়েছে। তা সত্যেও আজ ওই ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা এসে শিক্ষকদের মারধোর করে পুলিশের সামনে বলে অভিযোগ করে বিকাশবাবু। বাইট - ১) নরেশ হাঁসদা। (আদিবাসী সংগঠনের নেতা) ২) বিকাশ অধিকারী (ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, নন্দঝাড় হাই স্কুল) ৩) হরি বিশ্বাস ( অভিভাবক)
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.