ETV Bharat / state

Ayan Sil's History: কোথা থেকে সূত্রপাত অয়ন শীলের দুর্নীতির ?

একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে ৷ প্রোমোটারি থেকে আইটি সংস্থার মালিক শিক্ষক নিয়োগে ধৃত অয়ন শীল (Ayan Sil) ৷ শান্তনুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থেকে শুরু করে আরও একাধিক তথ্য উঠে এল অয়নের ব্যাপারে ৷

Ayan Sil
অয়ন শীল
author img

By

Published : Mar 20, 2023, 11:11 PM IST

কোথা থেকে সূত্রপাত অয়ন শীলের দুর্নীতির ?

চুঁচুড়া, 20 মার্চ: শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়-ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলকে (Ayan Sil) গ্রেফতার করেছে ইডি (ED) । অয়নের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ রয়েছে । সেই সূত্র ধরেই নতুন করে তদন্ত শুরু করতে চলেছে ইডির আধিকারিকরা । তদন্তকারীরা মনে করছেন, অয়নের সূত্র ধরেই একাধিক পৌরসভা ও দমকল বিভাগে নিয়োগ নিয়ে উঠে আসতে পারে নয়া তথ্য । তবে অয়নের ব্যাপারে খোঁজ খবর করতে সূত্র মারফত সংবাদমাধ্যমের সামনে উঠে এসেছে বেশ কিছু তথ্য ৷

অয়ন শীলের কর্মজীবনের সূত্রপাত: প্রথম জীবনে ভোটার কার্ড প্রাপকদের ডাটা এন্ট্রির কাজ করতেন অয়ন । তবে সেই কাজ সরকারি ছিল না । সেটি ছিল কন্ট্রাক্টচুয়াল কাজ । চুঁচুড়ায় মাইক্রোটেক নামে একটি কম্পিউটারের দোকান ছিল তাঁর । সরকারি বিভিন্ন জায়গায় কম্পিউটার সাপ্লাই দিতেন তিনি । বেশ কিছু লোক তার জন্য কাজ করতেন । তাদের মধ্যেই পূর্ণেন্দু চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তির নাম উঠে আসে । এই ঘটনা 2005 সালের । কিন্তু তারপর থেকে ছেলে মেয়েদের চাকরি করে দেওয়ার নামে টাকা তোলা শুরু হয় । 2015 সালে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলে বেপাত্তা হয়ে যায় অয়ন । একাধিক অভিযোগ থাকায় পূর্ণেন্দু সরে আসার চেষ্টা করলে তাঁকে মারধর করা হয় । চুঁচুড়া থানায় তিনি মামলা করেন অয়নের বিরুদ্ধে ।

তৃণমূল নেতার সঙ্গে অয়নের যোগ: শুধু এখানেই শেষ নয়, চাকরি দেওয়ার নাম করে বাম আমলে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায় ওরফে গুরু দা'র হাত ধরেই অয়নের উত্থান । তবে রাজনীতির সঙ্গে তেমন যোগ ছিল না তার । গুরুদার প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে পঞ্চায়েত দফতরের একটা চাকরিও জুটিয়েছিলেন তিনি । পরে সেই চাকরি ছেড়ে দেন । শ্রীকুমারকে সামনে রেখে টাকা তুলতেন অয়ন বলে অভিযোগ । বহু মানুষকে প্রতারিত করার অভিযোগ অয়নের বিরুদ্ধে । পাওনাদাররা টাকা ফেরতের চাপ দিলে তিনি বলতেন টাকা নিয়েছেন গুরুদা । সেই যন্ত্রণার হাত থেকে বাঁচতে শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায় আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি এলাকাবাসীর ৷ তারপরও অয়ন সকলকে বলতোন সব টাকা গুরুদাই নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে ।

চাকরি বিক্রির টাকায় আবাসন তৈরি: সরকার পরিবর্তনের পর রাজনৈতিক ঠেক খুঁজছিল এই অভিযুক্ত । পরে চাকরি বিক্রির টাকায় চুঁচুড়ার জগুদাস পাড়ায় আবাসন এবিএস টাওয়ার বানায় অয়ন । পরবর্তীকালে শান্তনুর সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর । সেই সময় শান্তনুর জেলায় রাজনীতির চূড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি । সেই সূত্র ধরেই প্রোমোটিং ব্যবসা শুরু করে অয়ন । জানা গিয়েছে, শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর চাকরির জন্য যারা টাকা দিয়েছিল তারা ফ্ল্যাটে গিয়ে ঝামেলা করতে শুরু করে ৷ থানায় অভিযোগও হয় ৷ ভয়ে অয়ন পালিয়ে দিল্লি চলে যান । সেখান থেকেই নেতাদের ধরে মামলায় চাপ সৃষ্টি করেন তিনি । শান্তনুর প্রভাব খাটিয়ে পাওনাদারদের পুলিশের ভয় দেখিয়ে অভিযোগ থেকে বেরিয়ে আসেন । আবার এলাকায় যাতায়াত শুরু করে অয়ন ।

প্রোমোটিংয়ের কাজ অয়নের: জগুদাস পাড়ার আবাসন বেশ কিছু প্রভাবশালী লোকজনের সঙ্গে শান্তনুর ফ্লাট রয়েছে । যদিও এখনও বেশ কিছু ফ্ল্যাট বিক্রি হয়নি । পরে অধিকাংশ ফ্ল্যাট ভাড়ায় দিয়ে দেওয়া হয় । আবাসনের সামনে থাকা জলাশয়ের একটা বড় অংশ বুজিয়ে পাঁচিল ঘিরে দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে তাঁর নামে । কুখ্যাত সমাজবিরোধীকে হাত করে বিবেকানন্দ রোড তিন নম্বর গেট সংলগ্ন এলাকায় একটি বড় জমি নেন অয়ন । প্রোমোটিং করার লক্ষ ছিল তাঁর । তাই টিন দিয়ে জায়গা ঘিরেও ছিলেন । কিন্তু এবিএস টাওয়ার আবাসনই জেলায় তাঁর প্রথম ও শেষ প্রমোটিং । এর পর কলকাতার সল্টলেকে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন অয়ন । সেখান থেকে প্রমোটিংয়ের পাশাপাশি টলিউডে টাকা লাগাতে থাকেন । শান্তনুর হাত ধরেই বিপুল সম্পত্তি করেন অয়ন শীল । সেই কারণে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের জড়ায় তিনি । তবে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক ছিল না তাঁর । অয়নের বাবা-মা এখনও জগুদাস পাড়ায় থাকেন । তবে তাঁরা ছেলের ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি ।

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিবেশী দেবানন্দপুরে বাসিন্দা স্নেহাশিস মুখোপাধ্যায় । পেশায় আইনজীবী তিনি ৷ স্নেহাশিস সব ঘটনাই জানেন । তিনি বলেন, "শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায় ওরফে গুরু নিজে ডিএম অফিসে চাকরি করতেন । তাঁর স্ত্রী পূরবীও সরকারি চাকরি করতেন । ছেলে রূপকুমার একদম সাদা সিধে ছেলে ছিল । সে এসবের মধ্যে ছিল না । আমাদের মনে হয় গুরু তাঁর ছেলেকে মেরে নিজে আত্মঘাতী হয়েছিল । আমরাই সব করেছি সেদিন । গুরুর দেহের পাশে একটি সুইসাইড নোট ছিল ৷ তাতে অয়ন শীলের নাম লেখা ছিল । তখন তদন্ত কিছুই এগলো না । গুরুর আত্মসম্মান ছিল ৷ তাই হয়ত আত্মহত্যা করল ৷ কিন্তু অয়নের মত এজেন্টদের কী হবে । আমরা চাই নিরপেক্ষ তদন্ত হোক ।"

চুঁচুড়ার আখন বাজারে দত্ত সুপার মার্কেটে অয়ন শীলের আরেকটি ফ্ল্যাটের হদিস মিলেছে । এইখানে কম্পিউটারের ব্যবসা করতেন অয়ন । এই মার্কেট ও আবাসনের মালিক হলেন রাধিকা দত্ত । তিনিও মুখ খুলেছেন ৷ রাধিকা জানান, পনেরোশো বর্গফুটের এই ফ্ল্যাট প্রথমে ভাড়ায় নিয়ে ছিলেন অয়ন । পরে তা কিনে নেওয়ার কথা বলেন তিনি । তবে টাকা দেননি বলে দাবি রাধিকার । সেই ফ্ল্যাট তালা বন্ধ অবস্থাতেই এখনও রয়েছে । রাধিকা বলেন, "রেজিস্ট্রি করেছিল কিনা মনে নেই । মার্কেটে অনেকেই দোকান নেওয়ার পর টাকা দিয়েছে । অয়নকে ভালোবাসতাম তাই দিয়েছিলাম । অনেক লোকের থেকে টাকা তুলেছিল অয়ন ৷ পরে তা শুনেছি । ফ্ল্যাট বিক্রি করে টাকা দেবে বলেছিল ৷ কিন্তু পাওনাদারদের দিচ্ছি দেব করে দেয়নি টাকা । এখন বুঝতে পারছি অয়ন চিটিংবাজ ।"

আরও পড়ুন: প্রোমোটিংয়ের পাশাপাশি আইটি সংস্থার মালিক, বহুমুখী প্রতিভা অয়নের

কোথা থেকে সূত্রপাত অয়ন শীলের দুর্নীতির ?

চুঁচুড়া, 20 মার্চ: শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়-ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলকে (Ayan Sil) গ্রেফতার করেছে ইডি (ED) । অয়নের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ রয়েছে । সেই সূত্র ধরেই নতুন করে তদন্ত শুরু করতে চলেছে ইডির আধিকারিকরা । তদন্তকারীরা মনে করছেন, অয়নের সূত্র ধরেই একাধিক পৌরসভা ও দমকল বিভাগে নিয়োগ নিয়ে উঠে আসতে পারে নয়া তথ্য । তবে অয়নের ব্যাপারে খোঁজ খবর করতে সূত্র মারফত সংবাদমাধ্যমের সামনে উঠে এসেছে বেশ কিছু তথ্য ৷

অয়ন শীলের কর্মজীবনের সূত্রপাত: প্রথম জীবনে ভোটার কার্ড প্রাপকদের ডাটা এন্ট্রির কাজ করতেন অয়ন । তবে সেই কাজ সরকারি ছিল না । সেটি ছিল কন্ট্রাক্টচুয়াল কাজ । চুঁচুড়ায় মাইক্রোটেক নামে একটি কম্পিউটারের দোকান ছিল তাঁর । সরকারি বিভিন্ন জায়গায় কম্পিউটার সাপ্লাই দিতেন তিনি । বেশ কিছু লোক তার জন্য কাজ করতেন । তাদের মধ্যেই পূর্ণেন্দু চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তির নাম উঠে আসে । এই ঘটনা 2005 সালের । কিন্তু তারপর থেকে ছেলে মেয়েদের চাকরি করে দেওয়ার নামে টাকা তোলা শুরু হয় । 2015 সালে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলে বেপাত্তা হয়ে যায় অয়ন । একাধিক অভিযোগ থাকায় পূর্ণেন্দু সরে আসার চেষ্টা করলে তাঁকে মারধর করা হয় । চুঁচুড়া থানায় তিনি মামলা করেন অয়নের বিরুদ্ধে ।

তৃণমূল নেতার সঙ্গে অয়নের যোগ: শুধু এখানেই শেষ নয়, চাকরি দেওয়ার নাম করে বাম আমলে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায় ওরফে গুরু দা'র হাত ধরেই অয়নের উত্থান । তবে রাজনীতির সঙ্গে তেমন যোগ ছিল না তার । গুরুদার প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে পঞ্চায়েত দফতরের একটা চাকরিও জুটিয়েছিলেন তিনি । পরে সেই চাকরি ছেড়ে দেন । শ্রীকুমারকে সামনে রেখে টাকা তুলতেন অয়ন বলে অভিযোগ । বহু মানুষকে প্রতারিত করার অভিযোগ অয়নের বিরুদ্ধে । পাওনাদাররা টাকা ফেরতের চাপ দিলে তিনি বলতেন টাকা নিয়েছেন গুরুদা । সেই যন্ত্রণার হাত থেকে বাঁচতে শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায় আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি এলাকাবাসীর ৷ তারপরও অয়ন সকলকে বলতোন সব টাকা গুরুদাই নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে ।

চাকরি বিক্রির টাকায় আবাসন তৈরি: সরকার পরিবর্তনের পর রাজনৈতিক ঠেক খুঁজছিল এই অভিযুক্ত । পরে চাকরি বিক্রির টাকায় চুঁচুড়ার জগুদাস পাড়ায় আবাসন এবিএস টাওয়ার বানায় অয়ন । পরবর্তীকালে শান্তনুর সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর । সেই সময় শান্তনুর জেলায় রাজনীতির চূড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি । সেই সূত্র ধরেই প্রোমোটিং ব্যবসা শুরু করে অয়ন । জানা গিয়েছে, শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর চাকরির জন্য যারা টাকা দিয়েছিল তারা ফ্ল্যাটে গিয়ে ঝামেলা করতে শুরু করে ৷ থানায় অভিযোগও হয় ৷ ভয়ে অয়ন পালিয়ে দিল্লি চলে যান । সেখান থেকেই নেতাদের ধরে মামলায় চাপ সৃষ্টি করেন তিনি । শান্তনুর প্রভাব খাটিয়ে পাওনাদারদের পুলিশের ভয় দেখিয়ে অভিযোগ থেকে বেরিয়ে আসেন । আবার এলাকায় যাতায়াত শুরু করে অয়ন ।

প্রোমোটিংয়ের কাজ অয়নের: জগুদাস পাড়ার আবাসন বেশ কিছু প্রভাবশালী লোকজনের সঙ্গে শান্তনুর ফ্লাট রয়েছে । যদিও এখনও বেশ কিছু ফ্ল্যাট বিক্রি হয়নি । পরে অধিকাংশ ফ্ল্যাট ভাড়ায় দিয়ে দেওয়া হয় । আবাসনের সামনে থাকা জলাশয়ের একটা বড় অংশ বুজিয়ে পাঁচিল ঘিরে দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে তাঁর নামে । কুখ্যাত সমাজবিরোধীকে হাত করে বিবেকানন্দ রোড তিন নম্বর গেট সংলগ্ন এলাকায় একটি বড় জমি নেন অয়ন । প্রোমোটিং করার লক্ষ ছিল তাঁর । তাই টিন দিয়ে জায়গা ঘিরেও ছিলেন । কিন্তু এবিএস টাওয়ার আবাসনই জেলায় তাঁর প্রথম ও শেষ প্রমোটিং । এর পর কলকাতার সল্টলেকে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন অয়ন । সেখান থেকে প্রমোটিংয়ের পাশাপাশি টলিউডে টাকা লাগাতে থাকেন । শান্তনুর হাত ধরেই বিপুল সম্পত্তি করেন অয়ন শীল । সেই কারণে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের জড়ায় তিনি । তবে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক ছিল না তাঁর । অয়নের বাবা-মা এখনও জগুদাস পাড়ায় থাকেন । তবে তাঁরা ছেলের ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি ।

শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিবেশী দেবানন্দপুরে বাসিন্দা স্নেহাশিস মুখোপাধ্যায় । পেশায় আইনজীবী তিনি ৷ স্নেহাশিস সব ঘটনাই জানেন । তিনি বলেন, "শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায় ওরফে গুরু নিজে ডিএম অফিসে চাকরি করতেন । তাঁর স্ত্রী পূরবীও সরকারি চাকরি করতেন । ছেলে রূপকুমার একদম সাদা সিধে ছেলে ছিল । সে এসবের মধ্যে ছিল না । আমাদের মনে হয় গুরু তাঁর ছেলেকে মেরে নিজে আত্মঘাতী হয়েছিল । আমরাই সব করেছি সেদিন । গুরুর দেহের পাশে একটি সুইসাইড নোট ছিল ৷ তাতে অয়ন শীলের নাম লেখা ছিল । তখন তদন্ত কিছুই এগলো না । গুরুর আত্মসম্মান ছিল ৷ তাই হয়ত আত্মহত্যা করল ৷ কিন্তু অয়নের মত এজেন্টদের কী হবে । আমরা চাই নিরপেক্ষ তদন্ত হোক ।"

চুঁচুড়ার আখন বাজারে দত্ত সুপার মার্কেটে অয়ন শীলের আরেকটি ফ্ল্যাটের হদিস মিলেছে । এইখানে কম্পিউটারের ব্যবসা করতেন অয়ন । এই মার্কেট ও আবাসনের মালিক হলেন রাধিকা দত্ত । তিনিও মুখ খুলেছেন ৷ রাধিকা জানান, পনেরোশো বর্গফুটের এই ফ্ল্যাট প্রথমে ভাড়ায় নিয়ে ছিলেন অয়ন । পরে তা কিনে নেওয়ার কথা বলেন তিনি । তবে টাকা দেননি বলে দাবি রাধিকার । সেই ফ্ল্যাট তালা বন্ধ অবস্থাতেই এখনও রয়েছে । রাধিকা বলেন, "রেজিস্ট্রি করেছিল কিনা মনে নেই । মার্কেটে অনেকেই দোকান নেওয়ার পর টাকা দিয়েছে । অয়নকে ভালোবাসতাম তাই দিয়েছিলাম । অনেক লোকের থেকে টাকা তুলেছিল অয়ন ৷ পরে তা শুনেছি । ফ্ল্যাট বিক্রি করে টাকা দেবে বলেছিল ৷ কিন্তু পাওনাদারদের দিচ্ছি দেব করে দেয়নি টাকা । এখন বুঝতে পারছি অয়ন চিটিংবাজ ।"

আরও পড়ুন: প্রোমোটিংয়ের পাশাপাশি আইটি সংস্থার মালিক, বহুমুখী প্রতিভা অয়নের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.