ত্রিবেণী, 13 ফেব্রুয়ারি: ত্রিবেণীতে মহা সমারোহে পালিত হচ্ছে কুম্ভ স্নান। অতীতের ইতিহাস খুঁজে মাঘি সংক্রান্তিতে অনুকুম্ভের সূচনা করা হল হুগলির বাঁশবেড়িয়ার সপ্তর্ষি ঘাটে। হিন্দু ধর্মপ্রাণ মানুষদের একত্রিত করে বিশ্ব শান্তির বার্তা দেওয়ার জন্যই সাধু-সন্তদের এই চিন্তাভাবনা। মহাকুম্ভের অনুকরণে এই কুম্ভের আয়োজন করা হয়েছে। সোমবার দুপুর 12টা নাগাদ নাগা সন্ন্যাসীরা শাহিস্নান করেন। মহা মণ্ডলেশ্বর পরমানন্দজী মহারাজ-সহ দেড় হাজার সাধু ও নাগারা স্নান করলেন এদিন (Lakhs of Pilgrims and Saints Come Kumbh Mela) ।
সকালে নগর পরিক্রমা করে গঙ্গা স্নান করেন তাঁরা। পরে কয়েক লক্ষ পুণ্যার্থীরা স্নান করেন বাঁশবেড়িয়ার বিভিন্ন ঘাটে ৷ হোম-যজ্ঞের সঙ্গে বারাণসী, কামাখ্যা, রামকৃষ্ণ মঠ-সহ অন্যান্য সাধু-সন্ত এখানে সনাতন ধর্মের উপর দীক্ষা দেন। এই ঘাটে সাধারণ মানুষের জন্য নানা ভাণ্ডারার আয়োজন করা হয়েছিল এদিন ৷ চুঁচুড়া আরোগ্য-সহ বিভিন্ন মানুষ সাধারণের সেবার জন্য এদিন এখানে উপস্থিত হয়েছিলেন। এই তিনদিন বাঁশবেড়িয়া শিবপুর মাঠ পূর্ণভূমিতে পরিণত হয়েছে।
স্বামী পরমানন্দজী মহারাজ বলেন, "ত্রিবেণীর উলটোদিকে কল্যাণীতেও কুম্ভস্নান হচ্ছে। ত্রিবেণী, সঙ্গমে শাস্ত্রসম্মত কুম্ভস্নানের স্থান। এখানের সপ্তর্ষি ঘাটের উল্লেখ আছে মহাভারতের বনপর্বে। একে অনুকুম্ভ বলার কারণ, আমাদের চারটি কুম্ভ হচ্ছে প্রধান। সেই কুম্ভের স্বরূপ দেওয়ার চেষ্টা করছি আমরা। কুম্ভের বার্তা নিয়ে আমরা এই কুম্ভস্নান করছি। তাই নাম দিয়েছি অনুকুম্ভ।" তিনি আরও বলেন, "বাঁশবেড়িয়ার মুক্তবেণীতে সপ্তর্ষি ঘাটে 703 বছর আগে হত (After 703 Years Kumbh Mela Celebration in Tribeni)। সেই পরম্পরা বন্ধ হয়ে যায়। পুনরায় সনাতন ধর্মের মানুষদের একত্রিত করা, ধর্মের জাগরণ, বিশ্ব শান্তির প্রতিষ্ঠা এটাই আমাদের লক্ষ্য।"
আরও পড়ুন: 703 বছর পর ত্রিবেণীতে কুম্ভমেলা, সেজে উঠছে মুক্তবেণী
মহারাজ জানান, সংক্রান্তি তিথি উপলক্ষে মূল কুম্ভস্নান করা হয়। আগামিকাল মেলা শেষ হবে। বাঁশবেড়িয়ার পৌরসভার চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী এবিষয়ে বলেন, "প্রতি বছর এই কুম্ভমেলার আয়োজন করা হয়, আগামীতেও হবে ৷ এবছরের যে ত্রুটি দেখা যাবে পরের বছর অবশ্যই তা করা হবে। ধর্মের এই মিলন ক্ষেত্রে সকলেই আসতে পারেন। বাঁশবেড়িয়া পৌরসভা সকল প্রকার সাহায্য করছে ৷