ETV Bharat / state

লকডাউন সফল করতে রাজ্যে সেনা নামানো প্রয়োজন, বলছেন লকেট

author img

By

Published : Apr 16, 2020, 6:55 PM IST

Updated : Apr 16, 2020, 7:51 PM IST

রাজ্যে সেনা নামানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে । এবার বললেন BJP সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ।

laket chatterjee said, army should be deployed for successful lockdown an prevent corona outbreak
লকডাউন সফল করতে সেনা নামানো প্রয়োজন , বললেন লকেট

হুগলি, 16 এপ্রিল : কয়েকদিন আগে রাজ্যপাল বলেছিলেন রাজ্যে লকডাউন সফল করতে সেনা নামানোর প্রয়োজন আছে ৷ BJP নেতা রাহুল সিনহাও একই দাবি করেছেন । এবার সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের গলাতেও একই সুর ৷ তিনি বলেন, রাজ্যে সেনা নামানোর প্রয়োজনীয়তা আছে । না হলে অসংখ্য মৃত্যুর খবর আসবে ৷ তিনি আরও বলেন, জুট মিল খোলার ব্যবস্থা করে শ্রমিকদের জন্য সদর্থক ভুমিকা নিয়েছে কেন্দ্র ।

আজ গোন্দলপাড়া জুট মিল শ্রমিকদের কয়েক হাজার পরিবারের হাতে ত্রাণ তুলে দেন সাংসদ। সেখানে তিনি বলেন, "ভদ্রেশ্বরের এক মহিলা চার্নক হাসপাতালে মৃত্যুর পর তাঁকে ভদ্রেশ্বর শ্মশানঘাটে দাহ করা হল । তখনও পর্যন্ত কেউ জানে না তিনি কোরোনা পজ়িটিভ কি না । পরবর্তীকালে প্রশাসন থেকে খবর দেওয়া হচ্ছে সেই মহিলা কোরোনা পজ়িটিভ । যাঁরা দাহ করেছেন তাঁরাই রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন । ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের । এর দায়িত্ব কে নেবে । উলটে তাঁরাই ভদ্রেশ্বর চন্দননগর সহ একাধিক এলাকায় সংক্রমণ ছড়াতে পারে । এমনকী কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যাও গোপন করা হচ্ছে । ভোটে জেতার জন্য মানুষের মৃত্যু নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে । এটা পৃথিবীর কোনও জায়গায় ঘটেনি । শুধুমাত্র পশ্চিমবাংলায় যেমন ডেঙ্গিকে মুখ্যমন্ত্রী চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন । তিনি মনে করছেন ডেঙ্গি আর কোরোনা একই । এই ভাইরাস মারাত্মক সাংঘাতিক জিনিস । মুখ্যমন্ত্রী এই সংক্রমণকে খুব হালকা ভাবে নিচ্ছেন । আগামী দিনে কলকাতাসহ গোটা রাজ্যে বিস্ফোরণ ঘটবে । এমনও হতে পারে পশ্চিমবঙ্গে লকডাউন দীর্ঘদিন চলল । শুধু পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা লুকিয়ে রাখা হচ্ছে । সেই কারণেই এখানে আরও বেশি আক্রান্ত হতে পারে । কলকাতা সহ বিভিন্ন জায়গার বাজার ও রাস্তাঘাটে প্রচুর মানুষ ঘোরাঘুরি করছে । মানুষ পুলিশের কথা শুনছে না । গার্ডেনরিচে পুলিশকে পাথর দিয়ে মারতে গেছে । পুলিশ কয়েকটি জায়গায় ভালো কাজ করছে । তা সত্ত্বেও তাদের উপর আক্রমণ হচ্ছে । কয়েকটি জায়গা পুলিশের কন্ট্রোলের বাইরে চলে যাচ্ছে । সেসব জায়গায় কোনও কিছু করা হচ্ছে না । তার জন্য সেনা নামানোর প্রয়োজনীয়তা আছে । না হলে অসংখ্য মৃত্যু হতে পারে । তখন কিছু করার থাকবে না । "

জুট মিল খোলার ব্যাপারে লকেট বলেন, " স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সমস্ত জুট মিল খোলায় ভালো ভূমিকা নিয়েছে । প্রত্যেকটা জুটমিলে 15 শতাংশ হারে কাজ চলবে । যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে । এই জুটমিলগুলো চালু হলে একদিকে শ্রমিকরা কাজ পাবেন । সে ক্ষেত্রে শ্রমিকদের কিছুটা হলেও সমস্যা মিটবে । এছাড়াও জুট ব্যাগের প্রয়োজনীয়তা আছে রবিশস্য ফসল মজুত করার ক্ষেত্রে । সবকিছু এবং সমস্ত সর্তকতা মেনে চাহিদামতো কাজ করতে হবে । " জুট মিল শ্রমিকরা তাঁদের বকেয়া টাকা পাচ্ছেন না । সেই পরিপ্রেক্ষিতে সাংসদ বলেন, " আমি জেলাশাসককে চিঠি পাঠিয়েছি । তাঁদের যাতে প্রাপ্য টাকা দেওয়া হয় । জেলাশাসক ব্যস্ত থাকেন । আমাদের কথা শোনার সময় নেই তাঁর । সংবাদমাধ্যমকেও কন্ট্রোলে রাখার চেষ্টা চলছে । "

হুগলি, 16 এপ্রিল : কয়েকদিন আগে রাজ্যপাল বলেছিলেন রাজ্যে লকডাউন সফল করতে সেনা নামানোর প্রয়োজন আছে ৷ BJP নেতা রাহুল সিনহাও একই দাবি করেছেন । এবার সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের গলাতেও একই সুর ৷ তিনি বলেন, রাজ্যে সেনা নামানোর প্রয়োজনীয়তা আছে । না হলে অসংখ্য মৃত্যুর খবর আসবে ৷ তিনি আরও বলেন, জুট মিল খোলার ব্যবস্থা করে শ্রমিকদের জন্য সদর্থক ভুমিকা নিয়েছে কেন্দ্র ।

আজ গোন্দলপাড়া জুট মিল শ্রমিকদের কয়েক হাজার পরিবারের হাতে ত্রাণ তুলে দেন সাংসদ। সেখানে তিনি বলেন, "ভদ্রেশ্বরের এক মহিলা চার্নক হাসপাতালে মৃত্যুর পর তাঁকে ভদ্রেশ্বর শ্মশানঘাটে দাহ করা হল । তখনও পর্যন্ত কেউ জানে না তিনি কোরোনা পজ়িটিভ কি না । পরবর্তীকালে প্রশাসন থেকে খবর দেওয়া হচ্ছে সেই মহিলা কোরোনা পজ়িটিভ । যাঁরা দাহ করেছেন তাঁরাই রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন । ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের । এর দায়িত্ব কে নেবে । উলটে তাঁরাই ভদ্রেশ্বর চন্দননগর সহ একাধিক এলাকায় সংক্রমণ ছড়াতে পারে । এমনকী কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যাও গোপন করা হচ্ছে । ভোটে জেতার জন্য মানুষের মৃত্যু নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে । এটা পৃথিবীর কোনও জায়গায় ঘটেনি । শুধুমাত্র পশ্চিমবাংলায় যেমন ডেঙ্গিকে মুখ্যমন্ত্রী চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন । তিনি মনে করছেন ডেঙ্গি আর কোরোনা একই । এই ভাইরাস মারাত্মক সাংঘাতিক জিনিস । মুখ্যমন্ত্রী এই সংক্রমণকে খুব হালকা ভাবে নিচ্ছেন । আগামী দিনে কলকাতাসহ গোটা রাজ্যে বিস্ফোরণ ঘটবে । এমনও হতে পারে পশ্চিমবঙ্গে লকডাউন দীর্ঘদিন চলল । শুধু পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা লুকিয়ে রাখা হচ্ছে । সেই কারণেই এখানে আরও বেশি আক্রান্ত হতে পারে । কলকাতা সহ বিভিন্ন জায়গার বাজার ও রাস্তাঘাটে প্রচুর মানুষ ঘোরাঘুরি করছে । মানুষ পুলিশের কথা শুনছে না । গার্ডেনরিচে পুলিশকে পাথর দিয়ে মারতে গেছে । পুলিশ কয়েকটি জায়গায় ভালো কাজ করছে । তা সত্ত্বেও তাদের উপর আক্রমণ হচ্ছে । কয়েকটি জায়গা পুলিশের কন্ট্রোলের বাইরে চলে যাচ্ছে । সেসব জায়গায় কোনও কিছু করা হচ্ছে না । তার জন্য সেনা নামানোর প্রয়োজনীয়তা আছে । না হলে অসংখ্য মৃত্যু হতে পারে । তখন কিছু করার থাকবে না । "

জুট মিল খোলার ব্যাপারে লকেট বলেন, " স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সমস্ত জুট মিল খোলায় ভালো ভূমিকা নিয়েছে । প্রত্যেকটা জুটমিলে 15 শতাংশ হারে কাজ চলবে । যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে । এই জুটমিলগুলো চালু হলে একদিকে শ্রমিকরা কাজ পাবেন । সে ক্ষেত্রে শ্রমিকদের কিছুটা হলেও সমস্যা মিটবে । এছাড়াও জুট ব্যাগের প্রয়োজনীয়তা আছে রবিশস্য ফসল মজুত করার ক্ষেত্রে । সবকিছু এবং সমস্ত সর্তকতা মেনে চাহিদামতো কাজ করতে হবে । " জুট মিল শ্রমিকরা তাঁদের বকেয়া টাকা পাচ্ছেন না । সেই পরিপ্রেক্ষিতে সাংসদ বলেন, " আমি জেলাশাসককে চিঠি পাঠিয়েছি । তাঁদের যাতে প্রাপ্য টাকা দেওয়া হয় । জেলাশাসক ব্যস্ত থাকেন । আমাদের কথা শোনার সময় নেই তাঁর । সংবাদমাধ্যমকেও কন্ট্রোলে রাখার চেষ্টা চলছে । "

Last Updated : Apr 16, 2020, 7:51 PM IST

For All Latest Updates

TAGGED:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.