হুগলি,10 মে :পীযূষ গোয়েলের মতো অপদার্থ রেলমন্ত্রী দেশ কোনওদিন দেখেনি। বিভিন্ন স্টেশনে কোনও পরিষেবা ছাড়া দেখানোর জন্য ট্রেন দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে । আজ রেলমন্ত্রীকে এভাবে কটাক্ষ করেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি শ্রীরামপুরের দুস্থ মানুষকে ত্রাণ দিতে এসে বলেন," বিভিন্ন রেল স্টেশনে দূরপাল্লার ট্রেন দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে।এই ট্রেনে গুলির মধ্যে কোয়ারানটিন সেন্টারের কোনও ব্যবস্থা নেই। শুধু লোক দেখানোর জন্য ট্রেনগুলোকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে।রাজ্য সরকার বা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কোনও যোগাযোগই করে না। লোক দেখানোর জন্য কোয়ারানটিন ট্রেন রেখে দিয়েছে।"
তিনি আজ রেলমন্ত্রীর পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহেরও কড়া সমালোচনা করে বলেন,"অমিত শাহের এই সব শো বাজি চলবে না।এ সব অমিত শাহ ও পীযূষ গোয়েলের নাটক। আমরা ধরতে পেরে গিয়েছি। সত্যি সত্যি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে । আর তাই কোয়ারানটিনের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। ডাক্তার নেই, নার্স নেই, জল নেই, কোথাও পরিষেবা নেই। রেল কথা দিয়েও কাজ করেনি।"
তৃণমূল সাংসদ এদিন শ্রীরামপুরে ত্রাণ বিলি করতে এসে বলেন, "প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেছিলেন, লকডাউনে যে যেখানে আছেন সেখানেই থাকুন। তাহলে অমিত শাহ এখন এসব বলছেন কেন ? অমিত শাহ আর প্রধানমন্ত্রীর কথা মিলছে না।দেশে কোথায় কত শ্রমিক আটকে আছে তার হিসাবও নেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে। কোন রাজ্য থেকে কে কে ফিরতে চাইছে সেটা ঠিক করুক,আর শুধু পরিযায়ী শ্রমিক কেন আরও অনেক লোক আটকে আছে ৷ তাদের ফেরারও ব্যবস্থা করতে হবে ।
রাজ্যে কোরোনা সংক্রমণ নিয়ে কেন্দ্র রাজ্য বিতর্ক দেখা দিয়েছে । কোরোনায় মৃত্যু নিয়ে তথ্য গোপন সহ একাধিক অভিযোগ রাজ্যের বিরুদ্দে করেছে কেন্দ্রীয় সরকার । কেন্দ্রের অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়েছে রাজ্য সরকার ।
এই বিষয়ে আজ কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের তীব্র সমালোচনা করে কল্যাণ বলেন, " পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে অমিত শাহ খুব প্ল্যানমাফিক এগোচ্ছেন। প্রথমত, রাজ্যপালকে দিয়ে চিঠি করাচ্ছেন। দ্বিতীয়ত, কেন্দ্রীয় দলকে পাঠাচ্ছেন তথ্য বের করার জন্য। ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টে কোথাও এই আইন নেই। কেন্দ্র কোন দল পাঠালে সাহায্য করার জন্য বলা আছে।পশ্চিমবঙ্গ টার্গেট । একটাই কারণে 2021 সালের দিকে তাকিয়ে ৷ উদ্দেশ্য একটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কীভাবে ম্যালাইন করা যায়।"
পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানো খরচ কেন রেল বহন করছে না বলেও তিনি রেলের সমালোচনা করেন। পশ্চিমবঙ্গের সরকারকে কোনও আর্থিক সাহায্য করা হয়নি । কেন্দ্র পচা চাল চুরি করে এনে মানুষকে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল সাংসদ।