ETV Bharat / state

চিকিৎসককে চড়, পরে পা ধরে ক্ষমা চাইল পরিবার !

author img

By

Published : Aug 25, 2019, 9:31 AM IST

ফের চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনা । এবার ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে । পরে অবশ্য রোগীর পরিবার ওই চিকিৎসকের পা ধরে ক্ষমা চায় । পাশপাশি তুলে নেয় গাফিলতির অভিযোগও ।

হাসপাতালের শিশুবিভাগের সামনে

চুঁচুড়া, 25 অগাস্ট : নাবালকের মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে জুনিয়র ডাক্তারকে চড় । পাশাপাশি নার্সদের হেনস্থার অভিযোগ । ঘটনাটি হুগলির ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালের । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দিলে তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । ঘটনায় হাসপাতাল সুপার মৃতের পরিবারের বিরুদ্ধে চুঁচুড়া থানার IC প্রদীপ দাঁয়ের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন । যার জেরে পরে মৃতের পরিবার, চিকিৎসক নরেশ বান্ডেলার পা ধরে ক্ষমা চায় এবং গাফিলতির অভিযোগ তুলে নেয় ।

ভদ্রেশ্বর বিঘাটির বাসিন্দা শুভম পাসোয়ান (7) বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিল । চিকিৎসা চলছিল চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে । গতকাল সকালে শুভমের প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেখান থেকে ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । পরিবারের অভিযোগ, ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তখনই শুভমের চিকিৎসা শুরু করা হয়নি । সেখানে তাকে ফেলে রাখা হয় । নার্সদের একাধিকবার বললেও তাঁরা জানিয়েছিলেন, ডাক্তার এখন নেই পরে আসবে । শুভম ইমারজেন্সি রোগী, এই বলেও কিছু হয়নি । পরে সন্ধ্যা 6.30 নাগাদ শুভমের মৃত্যু হয় । এবিষয়ে তার ঠাকুমা বলেন, "আমরা দুপুরে হাসপাতালে নিয়ে আসি । নার্সদের বললেও ওরা কিছু করেনি । বলেছিলাম প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গেছে । একটু দেখুন । ওঁরা বলছিলেন ডাক্তার এলে হবে । তারপর তো চলেই গেল ও ।"

অভিযোগ অস্বীকার করে হাসপাতাল সুপার উজ্জ্বলেন্দু বিকাশ মণ্ডল বলেন, "যাকে এখানে নিগ্রহ করা হয়েছে তিনি তেলাঙ্গানার ট্রেইনি চিকিৎসক । এধরনের ঘটনা সমাজের অবক্ষয় । মানুষের সচেতনতা না বাড়লে এটা রোখা অসম্ভব । এর জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে ।" ঘটনার বিশ্লেষণ করে তিনি আরও বলেন, "যে বাচ্চাটিকে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল তার চিকিৎসা চলছিল চন্দননগর হাসপাতালে । আমাদের হাসপাতালের পরিকাঠামোও তো ওখানের মতোই । আমাদের এখানে PICU (পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) নেই । উন্নত ব্যবস্থা নেই । তাও আমাদের চিকিৎসকরা সিটি স্ক্যান করে মাথায় টিউমার পায় । সন্ধ্যা 6.30 নাগাদ হঠাৎই শিশুটি মারা যায় । তারপরই উত্তেজিত হয়ে এই চিকিৎসকের গায়ে হাত তোলে । বেধড়ক মারধর করে । আমাদের নিরাপত্তাকর্মীরা আটকায় । কিন্তু তাতেও কিছু না হওয়ায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয় । আমরা চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করি ।" বাচ্চাটির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে বিষয়টিকে দুঃখজনক বলেন উজ্জ্বলেন্দুবাবু । জানান, প্রতিটি মৃত্যুই দুঃখজনক । তবে, কারোর মৃত্যু হলেই পরিবার-পরিজন এসে মারধর করবে তা মানা যায় না ।

চিকিৎসককে মারধরের কথা স্বীকার করেন মৃতের আত্মীয় সুভাষ পাসোয়ান । সাফাই দেন, হাসপাতালে এসেই শুভমের মৃত্যু হয়েছে শুনে মাথার ঠিক ছিল না । বলেন, "আমি রাতে থাকার জন্য এসেছিলাম হাসপাতালে । কিন্তু এসে দেখি আমাদের বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে । মাথা ঠিক রাখতে না পেরে ডাক্তারকে মারধর করি । তাই পা ধরে ক্ষমা চেয়েছি । আমার ভুল হয়েছে, আমি স্বীকার করছি ।" চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে নেওয়ার পর দেহটি ময়নাতদন্ত না করেই ছেড়ে দেওয়া হয় ।

চুঁচুড়া, 25 অগাস্ট : নাবালকের মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে জুনিয়র ডাক্তারকে চড় । পাশাপাশি নার্সদের হেনস্থার অভিযোগ । ঘটনাটি হুগলির ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালের । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দিলে তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । ঘটনায় হাসপাতাল সুপার মৃতের পরিবারের বিরুদ্ধে চুঁচুড়া থানার IC প্রদীপ দাঁয়ের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন । যার জেরে পরে মৃতের পরিবার, চিকিৎসক নরেশ বান্ডেলার পা ধরে ক্ষমা চায় এবং গাফিলতির অভিযোগ তুলে নেয় ।

ভদ্রেশ্বর বিঘাটির বাসিন্দা শুভম পাসোয়ান (7) বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিল । চিকিৎসা চলছিল চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে । গতকাল সকালে শুভমের প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেখান থেকে ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । পরিবারের অভিযোগ, ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তখনই শুভমের চিকিৎসা শুরু করা হয়নি । সেখানে তাকে ফেলে রাখা হয় । নার্সদের একাধিকবার বললেও তাঁরা জানিয়েছিলেন, ডাক্তার এখন নেই পরে আসবে । শুভম ইমারজেন্সি রোগী, এই বলেও কিছু হয়নি । পরে সন্ধ্যা 6.30 নাগাদ শুভমের মৃত্যু হয় । এবিষয়ে তার ঠাকুমা বলেন, "আমরা দুপুরে হাসপাতালে নিয়ে আসি । নার্সদের বললেও ওরা কিছু করেনি । বলেছিলাম প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গেছে । একটু দেখুন । ওঁরা বলছিলেন ডাক্তার এলে হবে । তারপর তো চলেই গেল ও ।"

অভিযোগ অস্বীকার করে হাসপাতাল সুপার উজ্জ্বলেন্দু বিকাশ মণ্ডল বলেন, "যাকে এখানে নিগ্রহ করা হয়েছে তিনি তেলাঙ্গানার ট্রেইনি চিকিৎসক । এধরনের ঘটনা সমাজের অবক্ষয় । মানুষের সচেতনতা না বাড়লে এটা রোখা অসম্ভব । এর জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে ।" ঘটনার বিশ্লেষণ করে তিনি আরও বলেন, "যে বাচ্চাটিকে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল তার চিকিৎসা চলছিল চন্দননগর হাসপাতালে । আমাদের হাসপাতালের পরিকাঠামোও তো ওখানের মতোই । আমাদের এখানে PICU (পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) নেই । উন্নত ব্যবস্থা নেই । তাও আমাদের চিকিৎসকরা সিটি স্ক্যান করে মাথায় টিউমার পায় । সন্ধ্যা 6.30 নাগাদ হঠাৎই শিশুটি মারা যায় । তারপরই উত্তেজিত হয়ে এই চিকিৎসকের গায়ে হাত তোলে । বেধড়ক মারধর করে । আমাদের নিরাপত্তাকর্মীরা আটকায় । কিন্তু তাতেও কিছু না হওয়ায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয় । আমরা চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করি ।" বাচ্চাটির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে বিষয়টিকে দুঃখজনক বলেন উজ্জ্বলেন্দুবাবু । জানান, প্রতিটি মৃত্যুই দুঃখজনক । তবে, কারোর মৃত্যু হলেই পরিবার-পরিজন এসে মারধর করবে তা মানা যায় না ।

চিকিৎসককে মারধরের কথা স্বীকার করেন মৃতের আত্মীয় সুভাষ পাসোয়ান । সাফাই দেন, হাসপাতালে এসেই শুভমের মৃত্যু হয়েছে শুনে মাথার ঠিক ছিল না । বলেন, "আমি রাতে থাকার জন্য এসেছিলাম হাসপাতালে । কিন্তু এসে দেখি আমাদের বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে । মাথা ঠিক রাখতে না পেরে ডাক্তারকে মারধর করি । তাই পা ধরে ক্ষমা চেয়েছি । আমার ভুল হয়েছে, আমি স্বীকার করছি ।" চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে নেওয়ার পর দেহটি ময়নাতদন্ত না করেই ছেড়ে দেওয়া হয় ।

Intro:আবারও হুগলিতে নিগৃহত চিকিৎসক।রাজ্য জুড়ে এতো আন্দোলনের পরও চিকিৎসক মারধর কমেনি।রোগী মৃত্যুর এক ঘন্টা যেতে না যেতেই মারধর করে পরিবারের লোকজন।ঘটনাটি হুগলি ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে শিশু বিভাগের।মৃত শিশুর নাম শুভম পাশোয়ান(৭)। ভদ্রেশ্বর বিঘাটীর বাসিন্দা সে ও তার পরিবার।আবার সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনা।এবার শিশু মৃত্যুর জেরে নিগ্রহ করা হয় চিকিৎসকদের।মাথার যন্ত্র না নিয়ে ভর্তি হয় আজ 3টে নাগাদ।সন্ধ্যায় সময় হঠাৎই শুভমের মৃত্যু হয়।তারপরই চিকিৎসক দেখতে গেলে পরিবারের লোকজন চিকিৎসক নরেশ বান্ডেলাকে চরচাপ্পড় দিয়ে মারধর করা হয়।খবর দেওয়া হয় চুঁচুড়া থানার পুলিশ কে।পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।পরে ঐ চিকিৎসকের পায়ে ধরে ক্ষমা চায় রোগীর বাড়ির লোকজন।শিশুর পরিবার চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে নিল ময়নাতদন্ত না করে ছেড়ে দেয়।

চন্দননগর হাসপাতাল থেকে রেফার হয়ে আজ দুপুরে ভর্তি হয় চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে।মাথায় যন্ত্রনা ছিলো তার।সন্ধায় 7টা নাগাদ মৃত্যু হয় শিশুটির।এরপরেই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে জুনিয়ার চিকিৎসক নরেশ বান্ডেলাকে নিগ্রহ ও নার্সদের হেনস্থা করে শিশুর বাড়ির লোকজন।চিকিৎসককে উদ্ধার করে হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীরা।খবর পেয়ে পুলিশ আসে।আসেন চুঁচুড়া থানার আই সি প্রদীপ দাঁ।হাসপাতাল সুপার উজ্জ্বলেন্দু বিকাশ মন্ডল তার কাছে রোগির পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।।
পরে অভিযুক্ত সুভাষ পাশোয়ান নিগ্রিহীত চিকিৎসক নরেশ বান্ডেলার পায়ে ধরে ক্ষমা চায়। মৃত শিশুর পরিবার লিখিত দেয় তাদের কোনো অভিযোগ নেই।তাই শিশুর দেহের ময়না তদন্ত না করেই পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

হাসপাতাল সুপার উজ্জ্বলেন্দু বিকাশ মন্ডল বলেন যাকে এখানে নিগৃহত করা হয়েছে তিনি একজন তেলেঙ্গানার ট্রেনি চিকিৎসক।এই ধরণের ঘটনা সমাজের অবক্ষয়।মানুষের সচেতনা না বাড়লে এটা রোখা অসম্ভব।এরজন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।যে শিশুকে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আনা হয়েছিল তার চিকিৎসা চলছিল।চন্দননগর হাসপাতালে মতোই আমাদের পরিষেবা।আমাদের এখানে পিকু নেই।উন্নত ব্যবস্থা নেই।তাও আমাদের চিকিৎসকরা সিটি স্ক্যান করে মাথায় টিউমার পায়।সন্ধ্যা 6.30 নাগাদ হঠাৎই শিশুটি মারা যায়।তারপরই উত্তেজিত হয়ে এই চিকিৎসকের গায়ে হাত তোলে।বেধড়ক মারধর করে।আমাদের সিকিউরিটি রা আটকায়।পরে পুলিশ আসে।আমরা চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করি।প্রতিটি মৃত্যু দুঃখ জনক।কিন্তু সে জায়গায় মারা হবে সেটাও মানা যায় না।
ঐ শিশুর আত্মীয় সুভাষ পাসওয়ান বলেন আমি রাতে থাকার জন্য এসেছিলাম।কিন্তুএসে দেখি হঠাৎ করে আমাদের বাচ্চার মৃত্যু হয়।মাথার ঠিক না রাখতে না পেরে ডাক্তার বাবুকে মারধর করি।তাই পা ধরে ক্ষমা চাইছি।যাতে আমার ভুল স্বীকার করছি।

Body:WB_HGL_CHUCHURA HOSPITAL INCIDENT_7203418Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.