চন্দননগর , 2 জানুয়ারি : দলীয় কার্যালয় দখলের অভিযোগ উঠল চন্দননগরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের বিরুদ্ধে । যাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব । গতকাল তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে চন্দননগর পৌরনিগমের 13 নম্বর ওয়ার্ডে ছবিঘরের কাছে জিটি রোডের উপর একটি দলীয় কার্যালয় উদ্বোধনের অনুষ্ঠান ছিল । বিদায়ী কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে এই অনুষ্ঠান চলছিল । কম্বল বিতরণ করার সময় হঠাৎ-ই সেখানে উপস্থিত হন চন্দননগরের বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন । তারপরই গন্ডগোল শুরু হয় । বিদায়ী কাউন্সিলর জয়দেব সিংহের অভিযোগ, ওই দলীয় কার্যালয়ের চাবি দীর্ঘদিন তাঁর কাছেই ছিল । কিন্তু, গতকাল অনুষ্ঠান চলাকালীন তাঁর থেকে চাবি ছিনিয়ে নেন ইন্দ্রনীল সেন এবং মুন্না আগরওয়ালকে সেই চাবি দিয়ে দেন ।
চন্দননগর পৌরনিগমের 13 নম্বর ওয়ার্ডে ছবিঘরের কাছে জিটি রোডের উপর নির্মীয়মাণ আবাসনে দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধন ছিল । সেখানে আগে থেকেই একটি দলীয় কার্যালয় ছিল । ওই জায়গায় আবার নতুন করে একটি দলীয় কার্যালয় তৈরি হয় । গতকাল তার উদ্বোধনের অনুষ্ঠান ছিল । এই অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা প্রাক্তন কাউন্সিলর জয়দেব সিংহের অভিযোগ, " এই অফিস থেকে তাঁরা এতদিন দলের কাজ পরিচালনা করতেন । ওই দলীয় কার্যালয়ে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে কম্বলের বিতরণের ব্যবস্থা করি । হঠাৎ দেখা গেল ইন্দ্রনীলবাবু এলেন । সেইসঙ্গে একদল লোক । রাস্তা বন্ধ করে অনুষ্ঠান চলাকালীন আমাদের থেকে মাইক কেড়ে নেওয়া হয় । উলটে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় । পরে ইন্দ্রনীল সেন এসে প্রোমোটারের কাছ থেকে চাবি নিয়ে মুন্নাকে দিয়ে দেন । সেইসঙ্গে ঘোষণা করে দেন আজ থেকে এই কার্যালয়ে যুব এবং ছাত্ররা থাকবে । এই দলীয় কার্যালয়ে আমাকেও না থাকার নির্দেশ দেন । আমি প্রতিবাদ করতে গেলে আমাকে বলেন, যা হয়েছে ঠিক হয়েছে । যেখানে পারেন বলবেন । "
তিনি আরও বলেন, "এখানে কিছু বলতে গেলেই পুলিশ দেখিয়ে দিচ্ছে । বিধায়ক পুরনো লোকজনকে মানেন না । চারজন ব্যক্তিকে নিয়ে চলেন । আমাদের হেনস্তা করে । তাহলে দলটা করে আমাদের কী লাভ? দলের খারাপ সময়ে আমরা কাজ করেছি । আর দল করব না । "
আরও পড়ুন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আইসিইউ-তে সৌরভ
দলীয় কার্যালয় কেড়ে নেওয়া প্রসঙ্গে মুন্না আগরওয়াল বলেন, "নতুন দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন হয়েছে । তাতে জয়দেববাবুও ছিলেন । সেখানে কোনওরকম ঝামেলা হয়নি । আর দলের সবাই অফিসে থাকবে । তিনি কেন এসব বলছেন তা ওঁর সঙ্গে কথা বলে দেখতে হবে ।" তবে এবিষয়ে মন্ত্রী তথা বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেনকে ফোন করা হলে তিনি ফোন তোলেননি ।