ETV Bharat / state

বিশ্বাসঘাতক নরেন গোঁসাইকে হত্যা করেন কানাইলাল, দেশমাতার সেই সন্তানের বাড়ির ভগ্নদশা - Chandannagar Freedom Fighter

চন্দননগরে জরাজীর্ণ, ভগ্নদশা কানাইয়ের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি ৷ অভিযোগ কেন্দ্র বা রাজ্যের তরফে সেই অর্থে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এই দেশের জন্য আত্মত্যাগ করা মানুষটির স্মৃতিসম্বলিত বাড়িটির জন্য ৷

বিশ্বাসঘাতক নরেন গোঁসাইকে হত্যা করেন কানাইলাল, দেশমাতার সেই সন্তানের বাড়ি ভগ্নদশা
author img

By

Published : Aug 15, 2019, 8:04 AM IST

Updated : Aug 15, 2019, 7:01 PM IST

চন্দননগর, 15 অগাস্ট : কলকাতায় চাকরি করতে যাচ্ছেন ৷ এই একটা মিথ্যা কথা বলেছিলেন তিনি নিজের মাকে ৷ প্রথম বার ৷ তখন উত্তাল সময় ৷ স্বদেশী আন্দোলন চলছে ৷ ব্রিটিশ শাসন থেকে দেশমাতাকে মুক্তি দিতে বদ্ধপরিকর একদল যুবক ৷ তাঁদেরই একজন ঠিক করলেন কলকাতায় যাবেন, দেশের কাজে ৷ কিন্তু বাড়িতে কি সত্যি বলা যায় ? প্রাণের ঝুঁকি রয়েছে যে ৷ মা তো কলকাতায় যেতে দেবেন না তাহলে ৷ কিন্তু দেশমাতা যে আগে৷ তাই প্রথম বার মিথ্যা বলা, চাকরির ছুতো ৷ সেই সূত্র ধরেই দেশের কাজে বিশ্বাসঘাতককে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনায় সামিল হন চন্দননগরের সেই যুবক ৷ কানাইলাল দত্ত ৷ ব্রিটিশ চরকে হত্যার 'অপরাধে' ফাঁসির শাস্তি হাসিমুখে মেনে নিয়েছিলেন যে কানাই ৷ সর্বতোষ ৷ কিন্তু চন্দননগরে জরাজীর্ণ, ভগ্নদশা কানাইয়ের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি ৷ অভিযোগ কেন্দ্র বা রাজ্যের তরফে সেই অর্থে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এই দেশের জন্য আত্মত্যাগ করা মানুষটির স্মৃতিসম্বলিত বাড়িটির জন্য ৷

কানাইলালের স্মৃতি বলতে সরিষা পাড়ায় তাঁর মামাবাড়ির যে অংশে তাঁর পরিবার থাকতেন সেইটুকুই ৷ তবে তাও সংস্কারের অভাবে নষ্ট হতে বসেছে । শুধু জন্মদিনে (জন্মাষ্টমী) সেই বাড়ির একটি ঘরে তাঁর আবক্ষ মূর্তিতে মালা দেওয়া হয় । রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র সরকার কানাইলালের এই স্মৃতি বিজড়িত বাড়ি কিছুই করেনি, অভিযোগ স্থানীয় এবং উত্তরসূরিদের৷ বাড়ির মধ্যে আগাছা ছেয়ে গেছে । কড়িবরগা থেকে চাঁই খসে পড়ছে । কানাইলালের কোনও সংগ্রহশালাও নেই চন্দননগরে । কানাইলাল যে চন্দননগর দুঁপ্লে কলেজে পড়াশোনা করেছে, সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কে 1948 সালে বিপ্লবী কানাইলাল দত্তের নামে চন্দননগর কানাইলাল বিদ্যামন্দির নামকরণ করা হয় । অভিযোগ, এই বিদ্যালয় তাঁর স্মৃতি থাকলেও আজ তা অবহেলায় পরে আছে । ফরাসি আমলের এই বিদ্যালয়েও হয়নি সংস্কার ।

দেশের কাজে বিশ্বাসঘাতককে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনায় সামিল হন চন্দননগরের সেই যুবক ৷

2017 সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই বিদ্যালয়কে হেরিটেজ কমিশনের অন্তর্গত করলেও তার এখনও কোন উন্নতি হয়নি । বড় বড় খিলান, গম্বুজ, কাঠের সিড়ি সাক্ষী ইতিহাসের ৷ কড়ি বর্গার ছাদ ফেটে জল পড়ছে । আগাছার শিকড় দেওয়াল ফাটিয়ে দিচ্ছে ৷ একথা উল্লেখ করে আলিপুর বোমা মামলার 'অভিযুক্ত' কানাইলালের মামার বাড়ি তরফে এক আত্মীয় শ্যামল দত্ত বলেন, '' স্মৃতিবিজড়িত এই ঘরে সারাই ও আলোর ব্যবস্থা আমি করি । সরকারি তরফে কোন উদ্যোগ নেই । স্বাধীনতা দিবসের দিনে ও 31 অগাস্টের জন্মদিন দিনে ফুল ও মালা দিয়ে সাজানো হয় ।এর বেশি কিছু হয় না ।''

চন্দননগর হেরিটেজের সম্পাদক কল্যাণ চক্রবর্তী বলেন, '' কানাইলাল দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন । কিন্তু দেশবাসী কানাইকে সেই সম্মান দিতে পারেননি । কানাইলালের জন্য একটা ছোট ডাকটিকিট প্রকাশ করার সদিচ্ছা দেখায়নি ভারত সরকার । '' কানাইয়ের যে বাড়িটা সরষেপাড়ায় আছে সে বাড়িটা অধিগ্রহণ করা বা বাড়িটাকে সংগ্রহশালা হিসেবে গড়ে তোলা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি ৷ তাঁর কথায়, ''ভারত সরকার বা রাজ্য সরকার অনেক বাড়ি অধিগ্রহণ করেছেন । তবে কানাইয়ের বাড়িটা আজও সেই জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে আছে । তাই আজকে এই স্বাধীনতার প্রাক্কালে আমার মনে হয় কানাইকে নতুন করে মনে করা উচিত । সেই শ্রদ্ধা জানানোর মধ্যে আমরা কানাইলালকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরব । সেটাই হবে বোধহয় এই স্বাধীনতা সংগ্রামের শপথ ।''

জেল হাসপাতালে দেশদ্রোহী নরেন্দ্রনাথ গোস্বামীকে রাজনৈতিক হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিল চন্দননগরের শ্রীশচন্দ্র ঘোষ । তিনিই খুনের 3 থেকে 4 দিন আগে পিস্তল জেলে পৌঁছে দিয়েছিলেন । সেটা কার্যকর করতে প্রস্তুত ছিলেন সত্যেন্দ্রনাথ বসু । নরেন্দ্রনাথ গোস্বামীর কাছে রাজসাক্ষী হওয়ার অভিনয় করেন তিনি ৷ এরপরই নরেন্দ্রকে হত্যার গোপন পরিকল্পনার অংশীদার হন কানাই লাল দত্ত । 1908 সালে 30 অগাস্ট সত্যেন্দ্রনাথের সঙ্গে অসুখের ভান করে একই সঙ্গে হাসপাতালে ভরতি হন কানাই । গোপবনীয়তার কারণে কেউ জানতেন না দু'জনের কাছেই পিস্তল রয়েছে । 31 অগাস্ট 7টা নাগাদ নরেন গোঁসাই ( নরেন্দ্রনাথ গোস্বামী) সত্যেন্দ্রনাথের সঙ্গে দেখা করতে আসেন হাসপাতালে । সেই সময় প্রথম সত্যেন্দ্রনাথ নরেন্দ্রকে গুলি করেন । সেখান থেকে পালাতে গিয়ে নর্দমায় পরে যেতেই গুলি করে হত্যা করে কানাই । প্রাণ হারায় বিশ্বাসঘাতক ৷ সাজা হিসেবে 10 নভেম্বর কানাইলালের ফাঁসি হয় । 13দিন পর ফাঁসি হয় সত্যেন্দ্রনাথেরও । দেশমাতৃকার এই সন্তানের বাড়িটি সংস্কারে প্রশাসনকে উদ্যোগী হতে অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে চন্দননগরের হেরিটেজ সম্পাদক প্রত্যেকেই ৷

চন্দননগর, 15 অগাস্ট : কলকাতায় চাকরি করতে যাচ্ছেন ৷ এই একটা মিথ্যা কথা বলেছিলেন তিনি নিজের মাকে ৷ প্রথম বার ৷ তখন উত্তাল সময় ৷ স্বদেশী আন্দোলন চলছে ৷ ব্রিটিশ শাসন থেকে দেশমাতাকে মুক্তি দিতে বদ্ধপরিকর একদল যুবক ৷ তাঁদেরই একজন ঠিক করলেন কলকাতায় যাবেন, দেশের কাজে ৷ কিন্তু বাড়িতে কি সত্যি বলা যায় ? প্রাণের ঝুঁকি রয়েছে যে ৷ মা তো কলকাতায় যেতে দেবেন না তাহলে ৷ কিন্তু দেশমাতা যে আগে৷ তাই প্রথম বার মিথ্যা বলা, চাকরির ছুতো ৷ সেই সূত্র ধরেই দেশের কাজে বিশ্বাসঘাতককে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনায় সামিল হন চন্দননগরের সেই যুবক ৷ কানাইলাল দত্ত ৷ ব্রিটিশ চরকে হত্যার 'অপরাধে' ফাঁসির শাস্তি হাসিমুখে মেনে নিয়েছিলেন যে কানাই ৷ সর্বতোষ ৷ কিন্তু চন্দননগরে জরাজীর্ণ, ভগ্নদশা কানাইয়ের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি ৷ অভিযোগ কেন্দ্র বা রাজ্যের তরফে সেই অর্থে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এই দেশের জন্য আত্মত্যাগ করা মানুষটির স্মৃতিসম্বলিত বাড়িটির জন্য ৷

কানাইলালের স্মৃতি বলতে সরিষা পাড়ায় তাঁর মামাবাড়ির যে অংশে তাঁর পরিবার থাকতেন সেইটুকুই ৷ তবে তাও সংস্কারের অভাবে নষ্ট হতে বসেছে । শুধু জন্মদিনে (জন্মাষ্টমী) সেই বাড়ির একটি ঘরে তাঁর আবক্ষ মূর্তিতে মালা দেওয়া হয় । রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র সরকার কানাইলালের এই স্মৃতি বিজড়িত বাড়ি কিছুই করেনি, অভিযোগ স্থানীয় এবং উত্তরসূরিদের৷ বাড়ির মধ্যে আগাছা ছেয়ে গেছে । কড়িবরগা থেকে চাঁই খসে পড়ছে । কানাইলালের কোনও সংগ্রহশালাও নেই চন্দননগরে । কানাইলাল যে চন্দননগর দুঁপ্লে কলেজে পড়াশোনা করেছে, সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কে 1948 সালে বিপ্লবী কানাইলাল দত্তের নামে চন্দননগর কানাইলাল বিদ্যামন্দির নামকরণ করা হয় । অভিযোগ, এই বিদ্যালয় তাঁর স্মৃতি থাকলেও আজ তা অবহেলায় পরে আছে । ফরাসি আমলের এই বিদ্যালয়েও হয়নি সংস্কার ।

দেশের কাজে বিশ্বাসঘাতককে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনায় সামিল হন চন্দননগরের সেই যুবক ৷

2017 সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই বিদ্যালয়কে হেরিটেজ কমিশনের অন্তর্গত করলেও তার এখনও কোন উন্নতি হয়নি । বড় বড় খিলান, গম্বুজ, কাঠের সিড়ি সাক্ষী ইতিহাসের ৷ কড়ি বর্গার ছাদ ফেটে জল পড়ছে । আগাছার শিকড় দেওয়াল ফাটিয়ে দিচ্ছে ৷ একথা উল্লেখ করে আলিপুর বোমা মামলার 'অভিযুক্ত' কানাইলালের মামার বাড়ি তরফে এক আত্মীয় শ্যামল দত্ত বলেন, '' স্মৃতিবিজড়িত এই ঘরে সারাই ও আলোর ব্যবস্থা আমি করি । সরকারি তরফে কোন উদ্যোগ নেই । স্বাধীনতা দিবসের দিনে ও 31 অগাস্টের জন্মদিন দিনে ফুল ও মালা দিয়ে সাজানো হয় ।এর বেশি কিছু হয় না ।''

চন্দননগর হেরিটেজের সম্পাদক কল্যাণ চক্রবর্তী বলেন, '' কানাইলাল দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন । কিন্তু দেশবাসী কানাইকে সেই সম্মান দিতে পারেননি । কানাইলালের জন্য একটা ছোট ডাকটিকিট প্রকাশ করার সদিচ্ছা দেখায়নি ভারত সরকার । '' কানাইয়ের যে বাড়িটা সরষেপাড়ায় আছে সে বাড়িটা অধিগ্রহণ করা বা বাড়িটাকে সংগ্রহশালা হিসেবে গড়ে তোলা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি ৷ তাঁর কথায়, ''ভারত সরকার বা রাজ্য সরকার অনেক বাড়ি অধিগ্রহণ করেছেন । তবে কানাইয়ের বাড়িটা আজও সেই জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে আছে । তাই আজকে এই স্বাধীনতার প্রাক্কালে আমার মনে হয় কানাইকে নতুন করে মনে করা উচিত । সেই শ্রদ্ধা জানানোর মধ্যে আমরা কানাইলালকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরব । সেটাই হবে বোধহয় এই স্বাধীনতা সংগ্রামের শপথ ।''

জেল হাসপাতালে দেশদ্রোহী নরেন্দ্রনাথ গোস্বামীকে রাজনৈতিক হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিল চন্দননগরের শ্রীশচন্দ্র ঘোষ । তিনিই খুনের 3 থেকে 4 দিন আগে পিস্তল জেলে পৌঁছে দিয়েছিলেন । সেটা কার্যকর করতে প্রস্তুত ছিলেন সত্যেন্দ্রনাথ বসু । নরেন্দ্রনাথ গোস্বামীর কাছে রাজসাক্ষী হওয়ার অভিনয় করেন তিনি ৷ এরপরই নরেন্দ্রকে হত্যার গোপন পরিকল্পনার অংশীদার হন কানাই লাল দত্ত । 1908 সালে 30 অগাস্ট সত্যেন্দ্রনাথের সঙ্গে অসুখের ভান করে একই সঙ্গে হাসপাতালে ভরতি হন কানাই । গোপবনীয়তার কারণে কেউ জানতেন না দু'জনের কাছেই পিস্তল রয়েছে । 31 অগাস্ট 7টা নাগাদ নরেন গোঁসাই ( নরেন্দ্রনাথ গোস্বামী) সত্যেন্দ্রনাথের সঙ্গে দেখা করতে আসেন হাসপাতালে । সেই সময় প্রথম সত্যেন্দ্রনাথ নরেন্দ্রকে গুলি করেন । সেখান থেকে পালাতে গিয়ে নর্দমায় পরে যেতেই গুলি করে হত্যা করে কানাই । প্রাণ হারায় বিশ্বাসঘাতক ৷ সাজা হিসেবে 10 নভেম্বর কানাইলালের ফাঁসি হয় । 13দিন পর ফাঁসি হয় সত্যেন্দ্রনাথেরও । দেশমাতৃকার এই সন্তানের বাড়িটি সংস্কারে প্রশাসনকে উদ্যোগী হতে অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে চন্দননগরের হেরিটেজ সম্পাদক প্রত্যেকেই ৷

Intro:কে ছিলেন কানাইলাল দত্ত ?সেই উত্তর দিতে রীতিমত হিমশিম খেয়েছে চন্দননগরের কানাইলাল বিদ্যামন্দির এর ছাত্ররা। কোথায় থাকতেন কানাইলাল? কাকে খুন করেছিলেন তিনি? সেই উত্তরও দিতে পারেননি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্ররা।অবশ্য স্কুল পঞ্জিতে বিদ্যালয়ের ইতিহাস ও কানাইলালের জীবনী থাকলেও কিছুই জানে না স্কুলের ছাত্ররা।তবে ফ্রেঞ্চ সেকসানের প্রধান শিক্ষক অবশ্য পঞ্জি বই দেখেই উত্তর দিয়েছেন।
দ্বাদশ শ্রেণীর কমার্সের ছাত্রদের মধ্যে কেউ বলছেন স্কুল কানাইলাল প্রতিষ্ঠা করেছেন। শহীদ কানাইলাল দত্ত অনেক কাজ করে গেছেন।তিনি নাকি স্কুলের প্রতিষ্ঠাও করে গেছেন। দেশের জন্য শহীদ হয়েছিলেন আমরা তাই স্বাধীনভাবে বেঁচে আছি।
অপরজন বলে একজন বিপ্লবী ছিলেন। তারপর তিনি আমাদের দেশের জন্য অনেক কিছু কাজে নিযুক্ত ছিলেন।তিনি ইংরেজি সাহেবকে মারার জন্য তার ফাঁসি হয়েছিল। এজন্য তিনি মারা যান।বাড়ি কোথায় জানি না।
অন্য ছাত্র আমি এই স্কুলে পড়ি।কানাই লাল একজন বিপ্লবী ছিলেন।অন্যান্য স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মতন অনেক কাজ করেছিলেন ।সরিষা পাড়ার ওখানে ওনার মামার বাড়ি ছিল।আমাদের স্কুল 1862 সালে তৈরি হয়েছিল।কেন এই স্কুলের নাম হল তা জানি না।
আর এক ছাত্র কানাইলাল ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক বিদ্রোহী দেশকে তিনি স্বাধীন করেছেন।এই স্কুলটা কে উজ্জ্বল করেছেন ।এই স্কুলটা কে তৈরি করে দেশের জন্য কাজ করেছেন ।স্কুলের নাম করেছেন। প্রতিষ্ঠা করে চন্দননগরের গৌরব বাড়িয়েছেন ।তিনি ইংরেজদের শাসন এর হাত থেকে ভারতকে বাঁচানোর জন্য ইংরেজদের অনেক লোককে হত্যা করেছেন। যারা অত্যাচার করেছে তাদের মেরেছেন নিজের বলিদান এর জন্য তার ফাঁসি হয়েছে ।
পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র কানাইলাল সম্বন্ধে বলতে গিয়ে বলেন একজন বিপ্লবী এর বেশি কিছু জানি না ।কি করতে গিয়ে ফাঁসি হয়েছিল সেটাও জানি না বলেই দায় সাড়ে।
আর এক ছাত্র বলেন একজন বিপ্লবী দেশের জন্য কানাইলাল লড়াই করেছিলেন। তার বাড়ি কোথায় তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে বলে আমাদের পঞ্জিকায় লেখা আছে মায়ের কাছ থেকে শুনেছি কানাইলাল দত্ত এই স্কুলে পড়তো উনি মারা যাবার পর এই স্কুলের নাম হয় কানাইলাল বিদ্যামন্দির।

বিপ্লবী কানাইলাল দত্তের পরিচিতি।।
1।কানাইলাল দত্তের জন্ম :৩০ শে আগস্ট ১৮৮৮ সাল।
2।জন্ম স্থান :চন্দননগর সরিষা পাড়ায়।
3।কানাইয়ের বাবা ও মা : চুনী লাল দত্ত।ব্রজেশ্বরী দত্ত।
4।শিক্ষা: প্রথমে মাদ্রাজে হলেও।১৯০৪ সালের দ্যুপ্লেক্স কলেজ থেকে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় পাশ করেন।হুগলি মহসিন কলেজে অনার্সে ভর্তি হয়।
5।স্বাধীনতা সংগ্রামের শিক্ষা গুরু :দ্যুপ্লেক্স এর শিক্ষক চারুচন্দ্র রায়।পরে মতিলাল রায় ও শ্রী অরবিন্দ এর সান্নিধ্যে এসেছিলেন।
6।গ্রেফতার হন: ২মে ১৯০৮ সালে আলিপুর বোমা মামলায় ১৫নং গোপীমোহন দত্ত স্ট্রীট থেকে নিরাপদ সাথে কানাই লাল গ্রেফতার হন।
7।নরেনকে গুলি করে হত্যা :৩১ আগস্ট ১৯০৮ সালে নরেন্দ্র নাথ গোস্বামীকে আলিপুর জেল হাসপাতালে গুলি করে হত্যা করে।
8।ফাঁসি:১০নভেম্বর আলিপুর জেলেই ফাঁসি হয়।

Body:WB_HGL_CHANDANNAGAR KANAILAL VOX POB_7203418Conclusion:
Last Updated : Aug 15, 2019, 7:01 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.