শেওড়াফুলি, 29 জুলাই: ভিনরাজ্যে পড়তে গিয়ে হস্টেলের ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হল এক ছাত্রের। তাঁর মৃত্যু ঘিরে দানা বেঁধেছে রহস্য। কারণ, মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় পরিবার। মৃত পড়ুয়ার নাম সুরম্য সাঁতরা (21)। বাড়ি শেওড়াফুলির জগবন্ধু মুখার্জি লেনে। সুরম্যর বাবা বলেন, "দেহ হস্তান্তর করার সময় আমাদের চক্রান্ত মনে হল । ছেলের দেহ থানা ও হাসপাতাল থেকে নেওয়ার কথা সেটা হল না। ঘটনাস্থলে সিনিয়র কয়েকজন ছাত্র ছিল। তাঁরা বারবার বোঝানোর চেষ্টা করছিল এটা নিছক দুর্ঘটনা । কলেজ খুব দ্রুত সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছে । একটা সাদা কাগজে ছেলের নাম লিখে দিয়ে দেয়। হাসপাতাল ও পুলিশের সঙ্গে কোন কথা বলতে পারিনি। আমার ধারণা এর পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র আছে ।"
শেওড়াফুলির জগবন্ধু মুখার্জি লেনের বাসিন্দা সুশান্ত সাঁতরার ছেলে সুরম্য । 2020 সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন তিনি ৷ উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে দু'বছর ধরে বিহারের একটি এগ্রিকালচার কলেজে ছাত্রাবাসে থেক পড়াশোনা করতেন সুরম্য। 28 জুলাই মধ্য রাতে কলেজ থেকে পরিবারকে ফোন করা হয়। বলা হয়, হস্টেলের তিনতলার ছাদ থেকে পড়ে যায় সুরম্য । তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে । এরপরই বিহারের উদ্দেশে রওনা দেয় তাঁর পরিবার । কিন্তু পরিবার যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় সুরম্যর ৷ এমনকী ময়নাতদন্ত হয়ে গিয়েছে বলে জানানো হয় পরিবারকে। কলেজের তরফে মাঝরাস্তায় দেহ হস্তান্তর করে দেওয়া হয় পরিবারকে । পরিবারের অভিযোগ, এই মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ আছে তাদের । তারা চায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর সঠিক তদন্ত হোক । তবে এখনও পর্যন্ত পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়নি ।
আরও পড়ুন: খড়গপুর আইআইটির ছাত্র ফাইজান খুন হয়েছিলেন, আদালতে রিপোর্ট বিশেষজ্ঞ কমিটির
পরিবারের দাবি, মৃত্যুর খবর জানত না তারা ৷ পরের দিন সকালে 8টার সময় পূর্ব এক্সপ্রেস ধরে বিকেলে ছেলেটির পরিবার সেখানে গিয়ে পৌঁছয়। সেখানে গিয়ে জানতে পারে, তাঁদের ছেলের মৃত্যু হয়েছে । কলেজের তরফে পটনা-কলকাতা রাজ্য সড়কের বক্তিয়ারপুর এলাকায় মাঝরাস্তায় অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে ছাত্রের নিথর দেহ বাড়ির লোকের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ । সেখানে তাদের কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে পরিবারের। ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়া কোন কাগজপত্র হাতে পায়নি বলেও অভিযোগ পরিবারের। ছাত্রের মোবাইল ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথি থানা ও কলেজেই রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ছাত্রের দেহ বাড়িতে আনার পর শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায় ।