ETV Bharat / state

Locket on Bansberia Unrest: বাঁশবেড়িয়া শান্ত করতে রাজ্যের কাছে কেন্দ্রের সাহায্য নেওয়ার দাবি লকেটের - তৃণমূল

Locket Chatterjee on Bansberia Unrest: বুধবার হুগলির মগরা থানায় যান বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ৷ তিনি সেখানে বাঁশবেড়িয়ার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার দাবি জানান ৷ তাঁর মতে, এই নিয়ে রাজ্যের উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য নেওয়া ৷

Bansberia Unrest
বাঁশবেরিয়ার অশান্তি
author img

By

Published : Aug 16, 2023, 8:24 PM IST

বাঁশবেড়িয়া শান্ত করতে রাজ্যের কাছে কেন্দ্রের সাহায্য নেওয়ার দাবি লকেটের

হুগলি, 16 অগস্ট: বাঁশবেরিয়ার অশান্তি রুখতে রাজ্য না পারলে কেন্দ্রের কাছে সাহায্য নেওয়া হোক । বুধবার এই দাবি তুলেছেন হুগলির সাংসদ বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায় ৷ তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস থেকে মুখ্যসচিবের কাছে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের জন্য আবেদন করেছেন তিনি ৷

বুধবার হুগলির বাঁশবেরিয়া কলবাজার এলাকায় ফের অশান্তির সৃষ্টি হয় । ইঁটবৃষ্টি, বাড়ি ও গাড়ি যথেচ্ছভাবে ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ । এরপরই মগরা থানায় যান হুগলির সাংসদ । অবিলম্বে এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন তিনি । তবে এই বিষয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেছে তৃণমূল । তৃণমূলের বিধায়ক তপন দাশগুপ্তর অভিযোগ, প্রধান বিরোধীদল নোংরা রাজনীতি করছে । সিপিএম ও কংগ্রেস এর মধ্যে নেই । পুরোটার মধ্যে বিজেপি যুক্ত ।

Bansberia Unrest
হুগলির বাঁশবেড়িয়ায় পড়েছে ইটের টুকরো

মঙ্গলবার বাঁশবেড়িয়ায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালীন গুজব ছড়ানোকে কেন্দ্র করে অশান্তি ছড়ায় ৷ পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । এলাকায় জারি করা হয় 144 ধারা । বন্ধ রাখা হয় ইন্টারনেট পরিষেবা । তার পর বুধবার দুপুরে আবার নতুন করে অশান্তি শুরু হয় । ইঁট ও পাথর বৃষ্টি শুরু হয় বলে অভিযোগ । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় ।

Bansberia Unrest
হুগলির বাঁশবেড়িয়ায় গাড়িতে ভাঙচুর

বাঁশবেড়িয়ার ঘটনায় 16 জনকে গ্রেফতার করে ৷ এ দিন অভিযুক্তদের চুঁচুড়া আদালতে পেশ করে মগরা থানার পুলিশ ।তাঁদের মধ্যে 12 জনকে জেল হেফাজত ও চারজনকে পুলিশি হেফাজতে নির্দেশ দেয় আদালত । পুলিশ এ দিনও অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে 15 জনকে আটক করেছে । রাত পর্যন্ত ধরপাকড় চলে । আজ হুগলির সাংসদ মগরা থানায় গিয়ে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি করেন ৷ পাশাপাশি তাঁর দাবি, যাঁরা নিরাপরাধ, তাঁদের মুক্তি দিতে হবে ৷ এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সবার কাছে আবেদন করেন ।

বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘বাঁশবেরিয়ায় আগুন নেভাতে হবে । আগুন লাগালে চলবে না । সেজন্য আমি যাইনি । একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে বাইরে থেকে যা যা করতে হয়, সেটা আমি করব । পরিস্থিতিকে শান্ত করার জন্য পুলিশের সঙ্গে দেখা করা, মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি ৷ কিন্তু তাঁকে ফোনে পায়নি ।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘যারা অন্যায় করছে, তাদের শাস্তি দেওয়া উচিত । পরিস্থিতি ঠিক না হলে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামাতে বলছি । তা নাহলে আমরা এনআইএ তদন্ত চাইব । কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে, রাজ্যপালকে ইমেলের মাধ্যমে জানাচ্ছি । মুখ্যসচিবের কাছেও কেউ আবেদন করছি ।’’

কিন্তু তৃণমূল বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত বাঁশবেড়িয়ার অশান্তির জন্য বিজেপিকে দায়ী করেন ৷ তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে । গতকাল বিজেপি চেয়েছিল ওখানে গন্ডগোল করার । কিন্তু প্রশাসন শক্ত হাতে রাত পর্যন্ত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রেখেছে । সকালে কিছু দুষ্কৃতি ইঁট ছুঁড়ে বেশ কিছু বাড়িতে । সেটাও পুলিশ নিয়ন্ত্রণে রেখেছে এখন ওখানে র‍্যাফ রুটমার্চ করছে । কিন্তু সুকান্ত মজুমদার এসে গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করেছিল ।’’

একই সঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘এই জেলাতে বিজেপি যা গন্ডগোল করছে ঠান্ডা করতে আমাদের এক ঘণ্টা সময় লাগবে । কিন্তু নেত্রীর নির্দেশ আমরা কোথাও কিছু করছি না । বিরোধী দল বিরোধীদলের মতো করে থাকবে । বিরোধী দল নোংরা রাজনীতি খেলছে । সিপিএম ও কংগ্রেস তারা এর মধ্যে নেই ৷ পুরোটাই বিজেপি করছে । প্রশাসনকে বলেছি, বিজেপির হয়ে যারা থানা ঘেরাও লুটপাট, বাড়ি ভাঙচুর করছে, তাদের গ্রেফতার করতে । মানুষ এলাকায় শান্তি চায় ৷ কিন্তু কিছু লোক বাইরে থেকে গিয়ে অশান্তি করছে ।’’

Bansberia Unrest
হুগলির বাঁশবেড়িয়ায় অশান্তি রুখতে পুলিশ

আরও পড়ুন: বাঁশবেড়িয়ায় 144 ধারা, এলাকায় ঢুকতে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে সুকান্ত

এই নিয়ে পালটা লকেটের দাবি, ‘‘রাজ্য যখন পারছে না, তখন কেন্দ্রের থেকে সাহায্য নিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করুক । সামনে লোকসভা নির্বাচনে আসছে । তাই তৃণমূল বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে । সিপিএম ও কংগ্রেসকে বাদ দিচ্ছে, কারণ সাগরদিঘির মতো হবে না । গতকাল পুলিশ পরিস্থিতি ঠান্ডা করেছিল ৷ কিন্তু আজ পরিস্থিতি তাদের হাতের বাইরে চলে গিয়েছে । বিভিন্ন থানা থেকে ফোর্স নিয়ে এসেও হাতের মধ্যে আনতে পারছে না, পুরোটাই আউট অফ কন্ট্রোল হয়ে গিয়েছে ।’’

বাঁশবেড়িয়া শান্ত করতে রাজ্যের কাছে কেন্দ্রের সাহায্য নেওয়ার দাবি লকেটের

হুগলি, 16 অগস্ট: বাঁশবেরিয়ার অশান্তি রুখতে রাজ্য না পারলে কেন্দ্রের কাছে সাহায্য নেওয়া হোক । বুধবার এই দাবি তুলেছেন হুগলির সাংসদ বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায় ৷ তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস থেকে মুখ্যসচিবের কাছে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের জন্য আবেদন করেছেন তিনি ৷

বুধবার হুগলির বাঁশবেরিয়া কলবাজার এলাকায় ফের অশান্তির সৃষ্টি হয় । ইঁটবৃষ্টি, বাড়ি ও গাড়ি যথেচ্ছভাবে ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ । এরপরই মগরা থানায় যান হুগলির সাংসদ । অবিলম্বে এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন তিনি । তবে এই বিষয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেছে তৃণমূল । তৃণমূলের বিধায়ক তপন দাশগুপ্তর অভিযোগ, প্রধান বিরোধীদল নোংরা রাজনীতি করছে । সিপিএম ও কংগ্রেস এর মধ্যে নেই । পুরোটার মধ্যে বিজেপি যুক্ত ।

Bansberia Unrest
হুগলির বাঁশবেড়িয়ায় পড়েছে ইটের টুকরো

মঙ্গলবার বাঁশবেড়িয়ায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালীন গুজব ছড়ানোকে কেন্দ্র করে অশান্তি ছড়ায় ৷ পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । এলাকায় জারি করা হয় 144 ধারা । বন্ধ রাখা হয় ইন্টারনেট পরিষেবা । তার পর বুধবার দুপুরে আবার নতুন করে অশান্তি শুরু হয় । ইঁট ও পাথর বৃষ্টি শুরু হয় বলে অভিযোগ । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় ।

Bansberia Unrest
হুগলির বাঁশবেড়িয়ায় গাড়িতে ভাঙচুর

বাঁশবেড়িয়ার ঘটনায় 16 জনকে গ্রেফতার করে ৷ এ দিন অভিযুক্তদের চুঁচুড়া আদালতে পেশ করে মগরা থানার পুলিশ ।তাঁদের মধ্যে 12 জনকে জেল হেফাজত ও চারজনকে পুলিশি হেফাজতে নির্দেশ দেয় আদালত । পুলিশ এ দিনও অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে 15 জনকে আটক করেছে । রাত পর্যন্ত ধরপাকড় চলে । আজ হুগলির সাংসদ মগরা থানায় গিয়ে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি করেন ৷ পাশাপাশি তাঁর দাবি, যাঁরা নিরাপরাধ, তাঁদের মুক্তি দিতে হবে ৷ এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সবার কাছে আবেদন করেন ।

বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘বাঁশবেরিয়ায় আগুন নেভাতে হবে । আগুন লাগালে চলবে না । সেজন্য আমি যাইনি । একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে বাইরে থেকে যা যা করতে হয়, সেটা আমি করব । পরিস্থিতিকে শান্ত করার জন্য পুলিশের সঙ্গে দেখা করা, মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি ৷ কিন্তু তাঁকে ফোনে পায়নি ।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘যারা অন্যায় করছে, তাদের শাস্তি দেওয়া উচিত । পরিস্থিতি ঠিক না হলে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামাতে বলছি । তা নাহলে আমরা এনআইএ তদন্ত চাইব । কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে, রাজ্যপালকে ইমেলের মাধ্যমে জানাচ্ছি । মুখ্যসচিবের কাছেও কেউ আবেদন করছি ।’’

কিন্তু তৃণমূল বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত বাঁশবেড়িয়ার অশান্তির জন্য বিজেপিকে দায়ী করেন ৷ তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে । গতকাল বিজেপি চেয়েছিল ওখানে গন্ডগোল করার । কিন্তু প্রশাসন শক্ত হাতে রাত পর্যন্ত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রেখেছে । সকালে কিছু দুষ্কৃতি ইঁট ছুঁড়ে বেশ কিছু বাড়িতে । সেটাও পুলিশ নিয়ন্ত্রণে রেখেছে এখন ওখানে র‍্যাফ রুটমার্চ করছে । কিন্তু সুকান্ত মজুমদার এসে গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করেছিল ।’’

একই সঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘এই জেলাতে বিজেপি যা গন্ডগোল করছে ঠান্ডা করতে আমাদের এক ঘণ্টা সময় লাগবে । কিন্তু নেত্রীর নির্দেশ আমরা কোথাও কিছু করছি না । বিরোধী দল বিরোধীদলের মতো করে থাকবে । বিরোধী দল নোংরা রাজনীতি খেলছে । সিপিএম ও কংগ্রেস তারা এর মধ্যে নেই ৷ পুরোটাই বিজেপি করছে । প্রশাসনকে বলেছি, বিজেপির হয়ে যারা থানা ঘেরাও লুটপাট, বাড়ি ভাঙচুর করছে, তাদের গ্রেফতার করতে । মানুষ এলাকায় শান্তি চায় ৷ কিন্তু কিছু লোক বাইরে থেকে গিয়ে অশান্তি করছে ।’’

Bansberia Unrest
হুগলির বাঁশবেড়িয়ায় অশান্তি রুখতে পুলিশ

আরও পড়ুন: বাঁশবেড়িয়ায় 144 ধারা, এলাকায় ঢুকতে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে সুকান্ত

এই নিয়ে পালটা লকেটের দাবি, ‘‘রাজ্য যখন পারছে না, তখন কেন্দ্রের থেকে সাহায্য নিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করুক । সামনে লোকসভা নির্বাচনে আসছে । তাই তৃণমূল বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে । সিপিএম ও কংগ্রেসকে বাদ দিচ্ছে, কারণ সাগরদিঘির মতো হবে না । গতকাল পুলিশ পরিস্থিতি ঠান্ডা করেছিল ৷ কিন্তু আজ পরিস্থিতি তাদের হাতের বাইরে চলে গিয়েছে । বিভিন্ন থানা থেকে ফোর্স নিয়ে এসেও হাতের মধ্যে আনতে পারছে না, পুরোটাই আউট অফ কন্ট্রোল হয়ে গিয়েছে ।’’

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.