ETV Bharat / state

ব্যাঙ্কের ID দিয়ে কোড মেসেজ হ্যাকারের, প্রতারিত হুগলির গ্রাহক - প্রতারণার জাল হ্যাকারদের

হ্যাকাররা ব্যাঙ্ক জালিয়াতির নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করেছে ৷ OTP এবং কার্ডের তথ্য চেয়ে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির দিন শেষ ৷ ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের ভেরিফিকেশন ID দিয়ে অ্যাপের মারফৎ জালিয়াতি শুরু করেছে হ্যাকাররা ৷

ব্যাঙ্ক জালিয়াতির নয়া পন্থা
author img

By

Published : Nov 17, 2019, 9:59 PM IST

তারকেশ্বর, 17 নভেম্বর: ব্যাঙ্ক প্রতারণার ক্ষেত্রে নয়া পন্থা নিচ্ছে হ্যাকাররা ৷ আগে গ্রাহকদের কাছে ফোন করে OTP চাওয়া হত কিংবা গ্রাহকদের কাছে কার্ডের তথ্য চাওয়া হত ৷ হ্যাকারদের এইসব জালিয়াতিতে আর ভুলছেন না গ্রাহকরা ৷ তাই হ্যাকাররা নতুন করে শিকারের জাল বুনেছে ৷ প্রথমে গ্রাহকদের মোবাইল নাম্বারে ব্যাঙ্কের ID দিয়ে একটি ভেরিফিকেশন কোড পাঠাচ্ছে হ্যাকাররা ৷ তারপরই তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে ৷ এমন ঘটেছে তারকেশ্বর থানায় কেটেরা গ্রামের বাসিন্দা পার্থ সামন্তের সঙ্গে ৷

ব্যাঙ্কের মেসেজ ভেবে হ্যাকারদের ওই নম্বরে ফোন করতেই হ্যাকারদের খপ্পরে পড়েন পার্থ বাবু ৷ তিনি এ ব্যাপারটি তারকেশ্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ৷

ব্যাঙ্কিংয়ের কোনও পরিষেবা ব্যবহার না করা সত্ত্বেও ভেরিফিকেশন কোড আসতে পারে ৷ গ্রাহক যদি ভেরিফিকেশন কোড দেখে চুপচাপ থাকেন তবে কোনও সমস্যা নেই ৷ কিন্তু ব্যাঙ্কে ফোন করে পাঠানো ভেরিফিকেশন কোডের কারণ জানতে চাইলেই বিপদ ৷ সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগাচ্ছে হ্যাকাররা ৷ কিন্তু কীভাবে ? গ্রাহকদের অভিযোগ জানানোর পরই ব্যাঙ্ককর্মীর পরিচয় দিয়ে ফের আরও একবার হ্যাকাররা ফোন করছে গ্রাহককে ৷

গ্রাহক যদি বিশ্বাস করেন, তাহলে হ্যাকারদের কেল্লাফতে ৷ হ্যাকাররা ব্যাঙ্কের তথ্যের পরিবর্তে একটি অ্যাপ নিতে বলছে ৷ ওই অ্যাপ মোবাইল ফোনে নিলেই বিপদ ৷ গ্রাহকের সমস্ত তথ্য হ্যাকাররা হাতিয়ে নিচ্ছে অ্যাপ মারফত ৷ এই জালিয়াতিরই শিকার হয়েছেন পার্থ বাবু ৷

তারকেশ্বর, 17 নভেম্বর: ব্যাঙ্ক প্রতারণার ক্ষেত্রে নয়া পন্থা নিচ্ছে হ্যাকাররা ৷ আগে গ্রাহকদের কাছে ফোন করে OTP চাওয়া হত কিংবা গ্রাহকদের কাছে কার্ডের তথ্য চাওয়া হত ৷ হ্যাকারদের এইসব জালিয়াতিতে আর ভুলছেন না গ্রাহকরা ৷ তাই হ্যাকাররা নতুন করে শিকারের জাল বুনেছে ৷ প্রথমে গ্রাহকদের মোবাইল নাম্বারে ব্যাঙ্কের ID দিয়ে একটি ভেরিফিকেশন কোড পাঠাচ্ছে হ্যাকাররা ৷ তারপরই তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে ৷ এমন ঘটেছে তারকেশ্বর থানায় কেটেরা গ্রামের বাসিন্দা পার্থ সামন্তের সঙ্গে ৷

ব্যাঙ্কের মেসেজ ভেবে হ্যাকারদের ওই নম্বরে ফোন করতেই হ্যাকারদের খপ্পরে পড়েন পার্থ বাবু ৷ তিনি এ ব্যাপারটি তারকেশ্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ৷

ব্যাঙ্কিংয়ের কোনও পরিষেবা ব্যবহার না করা সত্ত্বেও ভেরিফিকেশন কোড আসতে পারে ৷ গ্রাহক যদি ভেরিফিকেশন কোড দেখে চুপচাপ থাকেন তবে কোনও সমস্যা নেই ৷ কিন্তু ব্যাঙ্কে ফোন করে পাঠানো ভেরিফিকেশন কোডের কারণ জানতে চাইলেই বিপদ ৷ সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগাচ্ছে হ্যাকাররা ৷ কিন্তু কীভাবে ? গ্রাহকদের অভিযোগ জানানোর পরই ব্যাঙ্ককর্মীর পরিচয় দিয়ে ফের আরও একবার হ্যাকাররা ফোন করছে গ্রাহককে ৷

গ্রাহক যদি বিশ্বাস করেন, তাহলে হ্যাকারদের কেল্লাফতে ৷ হ্যাকাররা ব্যাঙ্কের তথ্যের পরিবর্তে একটি অ্যাপ নিতে বলছে ৷ ওই অ্যাপ মোবাইল ফোনে নিলেই বিপদ ৷ গ্রাহকের সমস্ত তথ্য হ্যাকাররা হাতিয়ে নিচ্ছে অ্যাপ মারফত ৷ এই জালিয়াতিরই শিকার হয়েছেন পার্থ বাবু ৷

Intro:Body:ব্যাঙ্ক প্রতারণার নতুন পন্থা নিয়েছে জালিয়াতরা।
আগে কল করে ওটিপি চাওয়া হত বা কল করে কার্ড ব্লক করা হয়েছে বলে ডিটেলস চাওয়া হতো।কিন্তু এই পদ্ধতিতে সবার কাছেই জানা বা প্রতিটি ব্যংক থেকে বিজ্ঞাপন দিয়ে জানানো হচ্ছে ব্যংক থেকে এরকম কোন ফোন করা হয় না।ফলে এই ভাবে জালিয়াতির শিকার পাচ্ছে না হ্যাকাররা।
তাই এবার পদ্ধতি বদল করে নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করেছে হ্যাকাররা

প্রথমে ব্যাঙ্কের আই ডি দিয়ে ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হচ্ছে গ্রাহক দের মোবাইল নম্বরে।
এবার ভেরিফিকেশন কোড দেখে যদি গ্রাহক দের মনে হয় সে ব্যাঙ্কিং কোনো পরিষেবা ব্যবহার করেনি অথচ তার কাছে এলো ভেরিফিকেশন কোড।
এবার মজা হচ্ছে গ্রহক যদি চুপচাপ থাকেন তাহলে কোন সমস্যা নেই কিন্তু যদি আপনি যেচে ব্যংকে ফোন করে কমপ্লেন করেন বা কারণ জানতে চান তাহলেই বিপদ।এই সুযোগটা কাজে লাগাবে হ্যাকাররা।অর্থাৎ কমপ্লেন করার পরই ফোন আসবে আপনারা নম্বরে ব্যংক কর্মী পরিচয় দিয়ে ।আপনি সহজেই তাকে বিশ্বাস করবেন ব্যাস হ্যাকার দের কাজ সাকসেস।এবার ব্যাঙ্কের কোনো তথ্যই চাওয়া হবে শুধু বলা হচ্ছে একটি এপ্স ইন্সটল করতে।যে এপ্সটি ইন্সটল করলে আপনার মোবাইল অন্য কেউ কন্ট্রোল করবে।সব তথ্যই হাতিয়ে নেবে আপনার মোবাইল থেকে।

এমনই অভিযোগ হয়েছে তারকেশ্বর থানার কেটেরা গ্রামের বাসিন্দা পার্থ সামন্তের সাথে। পার্থ বাবুর কাছে এই ধরনের মেসেজ আসে। ব্যাঙ্কের মেসেজ ভেবে ফোন করেন কনটাক্ট নম্বরে ফোন করতেই হ্যাকারদের খপ্পরে পরেন।তবে প্রতারিত হওয়ার আগেই বুঝতে পারায় তার ব্যাঙ্কের টাকা সুরক্ষিত রয়েছে।তারকেশ্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

wb_hgl_01_bank fraud_copi_10007

B_1_পার্থ সামন্ত (অভিযোগ করি)

B_2_সিতেশ কুমার ঝা(ব্যাঙ্ক ম্যানেজার)
Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.