তারকেশ্বর, 17 নভেম্বর: ব্যাঙ্ক প্রতারণার ক্ষেত্রে নয়া পন্থা নিচ্ছে হ্যাকাররা ৷ আগে গ্রাহকদের কাছে ফোন করে OTP চাওয়া হত কিংবা গ্রাহকদের কাছে কার্ডের তথ্য চাওয়া হত ৷ হ্যাকারদের এইসব জালিয়াতিতে আর ভুলছেন না গ্রাহকরা ৷ তাই হ্যাকাররা নতুন করে শিকারের জাল বুনেছে ৷ প্রথমে গ্রাহকদের মোবাইল নাম্বারে ব্যাঙ্কের ID দিয়ে একটি ভেরিফিকেশন কোড পাঠাচ্ছে হ্যাকাররা ৷ তারপরই তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে ৷ এমন ঘটেছে তারকেশ্বর থানায় কেটেরা গ্রামের বাসিন্দা পার্থ সামন্তের সঙ্গে ৷
ব্যাঙ্কের মেসেজ ভেবে হ্যাকারদের ওই নম্বরে ফোন করতেই হ্যাকারদের খপ্পরে পড়েন পার্থ বাবু ৷ তিনি এ ব্যাপারটি তারকেশ্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ৷
ব্যাঙ্কিংয়ের কোনও পরিষেবা ব্যবহার না করা সত্ত্বেও ভেরিফিকেশন কোড আসতে পারে ৷ গ্রাহক যদি ভেরিফিকেশন কোড দেখে চুপচাপ থাকেন তবে কোনও সমস্যা নেই ৷ কিন্তু ব্যাঙ্কে ফোন করে পাঠানো ভেরিফিকেশন কোডের কারণ জানতে চাইলেই বিপদ ৷ সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগাচ্ছে হ্যাকাররা ৷ কিন্তু কীভাবে ? গ্রাহকদের অভিযোগ জানানোর পরই ব্যাঙ্ককর্মীর পরিচয় দিয়ে ফের আরও একবার হ্যাকাররা ফোন করছে গ্রাহককে ৷
গ্রাহক যদি বিশ্বাস করেন, তাহলে হ্যাকারদের কেল্লাফতে ৷ হ্যাকাররা ব্যাঙ্কের তথ্যের পরিবর্তে একটি অ্যাপ নিতে বলছে ৷ ওই অ্যাপ মোবাইল ফোনে নিলেই বিপদ ৷ গ্রাহকের সমস্ত তথ্য হ্যাকাররা হাতিয়ে নিচ্ছে অ্যাপ মারফত ৷ এই জালিয়াতিরই শিকার হয়েছেন পার্থ বাবু ৷