কলকাতা ও চন্দননগর, 11 ফেব্রুয়ারি : সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশের পর ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল বিভিন্ন মহলে ৷ রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, 150টির বেশি আপত্তির কথা জমা পড়েছিল সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে । অনেকেই আবার ক্ষুব্ধ হলেও সে বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে প্রকাশ্যে আনেননি নিজের ক্ষোভের কথা । অনেকে আবার হেঁটেছেন মামলার পথে । ইতিমধ্যেই মালদা, হাওড়া সহ একাধিক পৌরসভার সংরক্ষণ তালিকা নিয়ে মামলা চলছে হাইকোর্টে। এরই মাঝে চন্দননগর পৌরনিগমে আসন সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকায় পরিবর্তন হল ৷
বিভিন্ন আপত্তির সূত্র ধরে শিলিগুড়ি পৌরনিগমের ক্ষেত্রে আমূল বদলে গেছে সংরক্ষণ তালিকা । ওই একই পথে চন্দননগরের ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে খসড়ার সঙ্গে চূড়ান্ত তালিকায় বিস্তর পরিবর্তন । খসড়া তালিকায় চন্দননগরের ক্ষেত্রে তপশিলি উপজাতি ভুক্তদের জন্য সংরক্ষিত ছিল 6, 7, 11, 26 এবং 30 নম্বর ওয়ার্ড । এর মধ্যে তপশিলি উপজাতি ভুক্ত মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ছিল 6 এবং 11 নম্বর ওয়ার্ডটি । অন্য ওয়ার্ডগুলিতে তপশিলি উপজাতি ভুক্তদের জন্য কোনও সংরক্ষণ ছিল না ৷ ওই কর্পোরেশনে সাধারণ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ছিল, 3, 8 ,12, 15, 18, 21, 24, 28 এবং 32 নম্বর ওয়ার্ড । চূড়ান্ত তালিকায় তপশিলি উপজাতি ভুক্তদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে 18, 26, 28 এবং 29 নম্বর ওয়ার্ড অর্থাৎ 26 নম্বর ওয়ার্ডটি বাদ দিলে তপশিলি উপজাতি ভুক্তদের জন্য সংরক্ষণ পুরোটাই বদলে গেছে । চূড়ান্ত তালিকায় তপশিলি উপজাতি ভুক্ত মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে 26 এবং 28 নম্বর ওয়ার্ড । আবার সাধারণ মহিলা সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে বিস্তর পরিবর্তন । খসড়া চূড়ান্ত তালিকার মধ্যে মিল রয়েছে শুধুমাত্র 3,12,15 এবং 32 নম্বর ওয়ার্ডের । নতুনভাবে সংযোজিত হয়েছে 6, 9, 19, 22 এবং 25 নম্বর ওয়ার্ড ।
অনেকেই মনে করছেন, এই পরিবর্তন দেখে মামলার সংখ্যা বাড়তে পারে । কারণ, মনে করা হচ্ছে যদি এই তালিকা পৌরনিগমের হিসেবে ভুল করেছে কমিশন, তবে অন্যগুলির ক্ষেত্রে একই ভুল করা হয়নি সে বিষয়ে গ্যারান্টি কী? তাই আরও বেশি মামলার চিন্তাভাবনা চলছে বলে খবর । সে ক্ষেত্রে তার প্রভাব পড়তে পারে পৌর নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করার বিষয়ে ।