লকডাউনের জেরে ধুঁকছে ধনিয়াখালির তাঁত শিল্প

দুর্গাপুজো বাদ দিলে চৈত্রের শেষ এবং বৈশাখের শুরুর দিকে বিক্রি বাড়ে । এবার তো চৈত্রের শুরুর অনেক আগেই শুরু হয়েছে কোরোনার সংক্রমণ । জারি হয়েছে লকডাউন । ফলে সমস্যায় তাঁতশিল্পীরা ।

ধনিয়াখালি, 16 এপ্রিল: একসময় বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছিল ধনিয়াখালির তাঁতের কাপড়ের সুনাম । বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে সেই শিল্প ধুঁকছে । তাঁতের শাড়ির বদলে বাজার দখল করেছে হ্যান্ডলুম, সিল্ক, জরি, নেটের শাড়ি । তার মাঝেই খাঁড়ার ঘায়ের মতো নেমে এসেছে লকডাউন । যার ফলে রীতিমতো ধুঁকছে বাংলার এই বিখ্যাত তাঁত শিল্প । চরম দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন সেখানকার শিল্পীরা ।

দুর্গাপুজো বাদ দিলে চৈত্রের শেষ এবং বৈশাখের শুরুর দিকে বিক্রি বাড়ে । এবার তো চৈত্রের শুরুর অনেক আগেই বিশ্ব জুড়ে হানা দিয়েছে কোরোনা । এই মারণ ভাইরাসের থাবায় মুখ থুবড়ে পড়েছে বড় বড় শিল্প থেকে শিল্পপতিরা । সব রকমের ব্যবসায় লোকসানের মুখ দেখেছে ।স্বভাবত রেহাই পায়নি ধনিয়াখালির তাঁত শিল্প ও এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীরাও ।

চরম দুর্দশার মধ্যে তাঁতশিল্পীরা

লকডাউনের আগে যেটুকু কাঁচামালের জোগান ছিল তা দিয়ে তৈরি হয়েছিল কাপড় । সেটুকুও কোরোনা সংক্রমণের ভয়ে নিতে চায়নি মহাজন । মহাজনদের সঙ্গে তন্তুবায়দের লেনদেন আপাতত বন্ধ । ফলে চরম দুর্দশার মধ্যে দিন কাটছে তাঁত শিল্পীদের । সমবায় সমিতির মাধ্যমে কাপড় বিক্রির ব্যবস্থা করেছে সরকার । কিন্তু লকডাউন সেখানেও থাবা বসিয়েছে । এই অবস্থায় সরকারের তরফে কোনও সুযোগ-সুবিধা মেলেনি বলেই অভিযোগ । রেশনে চাল, গম পেলেও তাও মূল্য দিয়েই কিনতে হচ্ছে তাদের ।এছাড়াও লকডাউন উঠে গেলেও কাঁচামালের জোগানের অভাবে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যেতে পারে আশঙ্কা । সরকার যাতে তাঁদের পাশে দাঁড়ায় সেই আবেদন জানিয়েছেন ধনিয়াখালির তাঁতশিল্পীরা ।