পুরশুড়া, 29 নভেম্বর: স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে উত্তরকাশীতে আটকে পড়া যুবকদের পরিবার। 17 দিন পর মঙ্গলবার উদ্ধার হয়েছেন তাঁরা ৷ পুরশুড়ার জয়দেব ও সৌভিকের দুশ্চিন্তা ও উৎকণ্ঠা কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে পরিবার। দীর্ঘ 17 দিন মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। নাওয়া-খাওয়া ভুলে টিভির খবরের দিকেই চোখ রেখেছিল পরিবার দু'টি। দুর্বিষহ জীবন কাটছিল তাঁদের। সব বাধাকে অতিক্রম করে মঙ্গলবার রাতে উদ্ধার হওয়ার পরই স্বস্তি মিলেছে।
উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ থেকে একে একে 41 জন উদ্ধারের খবর শুনে মুখে হাসি ফুটেছে বাবা, মার। গতকালই ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে ছেলেদের সঙ্গে কথা বলে আশ্বস্ত হয়েছে দুই পরিবার। আনন্দে সকাল থেকেই জয়দেবের বাবা, মা মাংস-ভাত রান্না করে খাবারের আয়োজন করেছে। এছাড়া তো মিষ্টি তো আছেই। অপরদিকে, সৌভিকের বাড়িতে তাঁর এই দুর্ঘটনার খবরে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় চাষের কাজকর্ম ৷ ধান ঝাড়া থেকে আলু পোঁতা সব কিছুই থমকে গিয়েছিল। রাতে উৎকণ্ঠা কাটতেই সকাল থেকেই চাষের জন্য আলু কাটা শুরু করেন সৌভিকের বাবা, মা ৷
পুরশুড়ার এই দুই পরিবার অনেকটাই সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে পেয়েছে। এদিকে, তিনদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর জয়দেব ও সৌভিক কিছুদিন বাদে ফিরবে বলে জানা গিয়েছে। এখনই পরিবারকে জানাননি কবে ফিরছেন তাঁরা। জয়দেবের বাবা তাপস প্রামাণিক বলেন, "দীর্ঘ 17 দিন বাড়িতে হাঁড়ি চড়েনি, খাওয়া-দাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। স্ত্রীর মানসিক অবস্থা ভালো ছিল না। যদি প্রতিবেশীরা খাবার কথা বলেছিল কিন্তু যেখানে ছেলে আটকে রয়েছে আমরা বাবা, মা হয়ে খাব কী করে। ছেলে গতকাল অন্ধকূপ থেকে বেরিয়েছে। এখন আমরা অনেকটাই স্বস্তি পেয়েছি।"
তাঁর কথায়, "আজ সকালে বাজারে গিয়ে মাংস এনেছি। যদিও ছেলে এখনও বাড়ি ফেরেনি হাসপাতালেই রয়েছেন ৷ সকালেই ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই বাড়ি ফিরবে। তখনও আমি ছেলেকে নিজের হাতে মাংস রান্না করে খাওয়াব।" জয়দেবের মা তপতী প্রামাণিক জানান, সকালেই ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছে, তবে সেই রোমহর্ষ অভিজ্ঞতার কথা এখনও কিছু জানাইনি বলে জানিয়েছেন তিনি। গতকাল ছেলের সঙ্গে কথা বলে এখন অনেকটাই স্বস্তি পেয়েছেন তিনি ৷ সৌভিকের মা লক্ষ্মী পাখিরা বলেন, "ছেলে বাড়ি ফিরুক এটাই চাইব।"
আরও পড়ুন: