চুঁচুড়া,2 জানুয়ারি : এক কোটি বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার লিস্ট থেকে বাদ দিলে তৃণমূল দলটাই উঠে যাবে । আজ চুঁচুড়ায় CAA-র সমর্থনে প্রচারে এসে এই মন্তব্য করলেন BJP নেতা সায়ন্তন বসু । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও কড়া সমালোচনা করেন তিনি ।
পার্ক সার্কাসে CAA বিরুদ্ধে আন্দোলনরত এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে গতকাল । সেই প্রসঙ্গে সায়ন্তনবাবু বলেন,"তিনি বাংলাদেশি ছিলেন কি? কারণ ওখানে বেশিরভাগ লোকজন বাংলাদেশ থেকে এসে বসে আছেন । যে মহিলার মৃত্যু হয়েছে আগে তাঁকে চিহ্নিত করুন ভারতীয় না বাংলাদেশি ।" তিনি বলেন," যত আন্দোলনই করুক CAA-র কোনও পরিবর্তন হবে না । ওইখানে বাংলাদেশ থেকে এসে যাঁরা বসে আছেন তাঁদের আমরা দেশ থেকে তাড়িয়ে দেব। ওখানে প্রতিবাদ করে বাঁচা যাবে না ।"
এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন , "ভারতীয় মুসলমান হলে তার কোনও চিন্তার কারণ নেই, কিন্তু বাংলাদেশি মুসলমান হলে চিন্তার যথেষ্ট কারণ আছে । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যাঁর কাজ বিভ্রান্তি দূর করা, তিনি এখন মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করছেন । বাংলাদেশি হিন্দু শরণার্থী ও উদ্বাস্তু তাঁদের কোনও কাগজ না দেখেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে । এতে কোনও বিভ্রান্তি নেই । সমস্যা হচ্ছে এক থেকে দেড় কোটি বাংলাদেশি হিন্দু উদ্বাস্তু যেমন এসেছেন তেমনই এক থেকে দেড় কোটি বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীও এসেছেন । এই জল আর তেলের মিশ্রণটা দিদিমণি করতে চেয়েছেন । আমরা আলাদা করতে চেয়েছি । কারণ দেশটা ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ হয়েছিল । ওনার ভোটব্যাঙ্কে ধস নামতে চলেছে । যখন এক কোটি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার লিস্ট থেকে বাদ দেওয়া হবে তখন তৃণমূল দলটাই উঠে যাবে।এই ভয়ে আতঙ্কিত হয়েই মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। "
জামিয়ার পর শাহিনবাগেও গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে । সেই প্রসঙ্গে এই BJP নেতা বলেন, গুলি কারা চালাচ্ছে? পশ্চিমবঙ্গে প্রতিদিন গুলি চলছে । BJP কর্মী ও নেতাদের লক্ষ্য করে, সভাতে গুলি চালানো হচ্ছে । আমাদের রাজ্য সভাপতির গাড়িতে বোমা মারা হয়েছে । আমার গাড়িও ভাঙচুর হয়েছে । শাহিনবাগ বা জামিয়ার থেকেও পশ্চিমবঙ্গে গুলি চালানোর সংখ্যা বেশি । পশ্চিমবঙ্গটা কে শাহিনবাগ বা পশ্চিম বাংলাদেশ হতে দেব না । "